ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী। দীর্ঘদিন পর ঈদের ছুটি পেয়ে নগর বাসির আশা সস্তিতে ঈদ করবে পরিবার পরিজনদের নিয়ে। এ জন্য শত কষ্ট সত্যেও গ্রামের বাড়ি যাওয়া।
এদিকে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলছে হুমকি পাল্টা হুমকি। কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। ঈদের পর ফাইনাল খেলা। একদল আরেক দলকে ইতোমধ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ খেলায় কে জিতবে কে হারবে তাই এখন আলোচ্য বিষয়। আবার খেলা হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
যাই হোক দু’রাজনৈতিক দলের জনগণকে নিয়ে এ খেলাধুলা আর সহ্য করতে পারছি না। বিদেশি বন্ধুরা আমাদের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে সত্যি খুবই লজ্জা পাই।
ঈদের পর রাজধানীতে যদি এ খেলা শুরু হয় তবে সত্যিই আতঙ্কের হবে। স্বজাতীর লাশ দেখে কোন প্রাণীই আনন্দিত হতে পারে না। রাস্তায় নামলে কখন যে কি ফুটে! তার ভয় নিয়ে থাকতে হয় প্রতি মুহূর্ত। অফিস করা নিয়ে দুচিন্তা আমরা যত না করি তার চেয়ে বেশি করেন আমাদের বাড়ির লোকেরা।
আমরা চাই আমাদের নিয়ে যেন কোন খেলার আয়োজন না করা হয়। আমরা চাই আমার ভাইয়ের লাশ যেন রাস্তায় পরে না থাকে। আমরা চাই আমাদের গাড়িগুলো যেন কেউ না ভাঙ্গে, না পোড়ায়। বিকট শব্দে আমাদের কান যেন স্তব্ধ না হয়ে যায়। আমাদের শিশুরা যেন ঠিকমত পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে।
আমারা কারো স্বার্থে দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকতে চাই না।