১) ডঃ বেলায়েত আহম্মেদ স্বপরিবারে আমেরিকান নাগরিক। বহুদিন তিনি বাংলাদেশে আসেন না কারন বাংলাদেশে তার আগ্রহ নেই বরং বাংলাদেশ প্রসংগ উঠলেই তিনি যে শব্দগুলো উচ্চারন করেন তা হল, মুর্খের দেশ, ভিক্ষেরীর দেশ, জ্যাম আর শব্দ দূষনের দেশ, নোংরা, ময়লা আবর্জনার দেশ ইত্যাদি। আর এই কথা গুলো তিনি যখন উচ্চারণ করেন তখন তার মুখ আর শরীর থেকে এক ধরনের অদ্ভুদ ঘৃনার প্রকাশ ঘটে।
২) প্রফেসর বিলকিস জাহান একজন কানাডিয়ান নাগরিক। বাংলাদেশ প্রসংগে তিনি নিজ মুখে স্বীকার করলেন, “আমার মধ্যে দেশত্ববোধ আছে কিন্তু আমি জীবন ও জীবিকার দৌড়ে চরম ব্যাস্ত থাকি বলে দেশের কথা চিন্তা করার সময় পাই না”।
৩)রিতা রায় মিঠু স্বপরিবারে আমেরিকান নাগরিক। তার নামের সাথে ডক্টর কিংবা প্রফেসর লাগাতে পারছি না কারন তিনি তার নিজের ক্যারিয়ার কিংবা জীবন ও জীবিকার পেছনে কতটা দৌড়া দৌড়ি করেন সেটা আমার অজানা বিষয়।তবে আমি সহ সবাই যে বিষয়টা খুব ভাল্ করে জা্নি সেটি হল বাংলাদেশ বিষয়। এই বিষয়টাতে তার দখলদারিত্বের সিমা নেই। আর এই বিষয়ে সে যে কি করছে কিভাবে করছে কতটা করছে সেটি লিখে প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই এমনিতেই সবাই তা জানে।
৪) গতকাল একটা ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
একাউন্টটি যিনি হ্যাক করেছিল তার প্রথম পরিচয় তিনি বাঙালী, দ্বিতীয় পরিচয় তিনি বাংলাদেশী, তৃতীয় পরিচয়(সরি, আর কোন পরিচয় দরকার নেই)।
যার একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে তিনি বিদেশী নন তিনি রাজাকার বা পাকিস্থানী নন কিংবা ডঃ বেলায়েত আহম্মেদ এর মত দেশ বিরোধী নন আবার প্রফেসর বিলসকিস জাহান’র মত ভন্ড দেশ প্রেমিকও নন।
৫) যার একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে তার নাম রিতা রায় মিঠু।যার একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে তার একাউন্টে দেশের কথা ছিল তার একাউন্টে দেশের মানুষের কথা ছিল রাজনীতি আর জীবনের কথা ছিল। তাই হ্যাক করা হল তার একাউন্ট। কিন্তু প্রফেসর বিলকিস জাহানের একাউন্ট হ্যাক করা হয় না কারন তার একাউন্টে বাংলাদেশের কথা থাকে না।
ডঃ বেলায়েত আহম্মেদ এর একাউন্ট হ্যাক করা হয় না কারন তার একাউন্টে বাংলা কিংবা বাংলাদেশের কথা থাকে না।
রাজাকারদের একাউন্ট হ্যাক হয়না কিংবা পাকিস্থানী বংশোদ্ভূত জারজদের একাউন্ট হ্যাক হয়না কারন তাদের একাউন্টে দেশ দরদি কথা না থাকলেও দেশ বিরধী কথা থাকে।
৬) আমি মোটেও অবাক হইনা কারন ইতিহাস ঘাটলে এরকম অনেক উদাহরন পাবেন। শুধুমাত্র নবাব সিরাজ উদ দৌলা, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা কর্নেল আবু তাহেরই নয় আরো লক্ষাধিক মহামানবের উদাহরন দেওয়া যায় যারা যে মানুষগুলোর জন্য কাজ করেছেন আবার সেই মানুষ গুলোর হাতেই মৃত্যুবরন করেছেন অথবা সেই মানুষগুলোয় তার মৃত্যুর কারন হয়েছে। বাংলায় তিনটা শব্দ আছে ১)“কৃতজ্ঞ”-উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে, ২)“অকৃতজ্ঞ”-উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে, ৩)কৃতঘ্ন- উপকারীর অপকার করে যে।
প্রথম ২টা ঠিক আছে কিন্তু তিন নম্বর শব্দটার সঠিক সমর্থক শব্দ পৃথিবীর আর কোন ভাষায় আছে কিনা কিংবা থাকার প্রয়োজন আছে কিনা আমার জানা নেই।