{ঘটনা শুরুর আগেই কেন্দ্রীয় চরিত্রের গল্পঃ এখানে “সে” হিসেবে যাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে তার নাম পরিচয় দেবার কোন দরকার নেই, তিনি ভালো থাকুন । সোশ্যাল মিডিয়া একটু বেশিই কাছে এনে ফেলেছে সবাইকে। ফলে যাকে ঘিরে গল্প তাকে “সে” এবং “ও” হিসেবেই বুঝতে হবে পাঠককে।}
সে তখন ডাক্তার হইতে চাইত। অন্য শহর থেকে এসেছিল আমার শহরে। সেই শহরটাকে আমি নিজের শহরই ভাবতাম। প্রতিটা অলিগলি আর মানুষের মনের ভাষা বুঝতে পারতাম। সাইকেল চালাতে চালাতে যেকোন মানুষের দিকে তাকালেই জানতাম কি ভাবছে। শহরটার সাথে আমার সেই লেভেলের সম্পকর্ ছিল।
তো, ওর বাবা এসেই কবরাস্তানের বিপরীতে একখন্ড জমিতে একটা বাড়ী তুলেছিল, সম্ভবত পুকুর ভরাট করে। সেই বাসাটা আমার বাসা থেকে বেশি দূরেও নয়। ও যেদিন প্রথম ক্লাসে ঢুকল, তখন মনে হল কিছুক্ষণের জন্য চোখে দেখতে পাচ্ছি না। আক্ষরিক অথর্েই। এত শুভ্র এক পোশাক, কোন ইউনিফমর্ যে ডিডি মেট্রোর এ্যাড থেকে সরাসরি সামনে হাজির হতে পারে তা প্রথমবারের মত বুঝলাম। বাই দ্যা ওয়ে, আমাদের ওখানে তখন বাঁশের উপর এ্যান্টেনা লাগিয়ে ইন্ডিয়ার চ্যানেল দেখতে পারতাম। এ্যাড চলত “নিরমা নিরমা নিরমা”।
ইউনিফমর্ের মধ্যে আবার দুই স্ট্রাইপের V, একদম কোমর পর্যন্ত। একই সাথে সাদার-কালোর কন্ট্রাস্ট। ঘণ কালো চোখ আর চুল। উফ! একবার দেখেই গুনগুন, “প্রথম প্রেমের মত প্রথম কবিতা এসে হাত ধরে নিয়ে চলোওওওও, অনেক দূরেরও দেশে...”
ও প্রায় স্ট্যান্ড করার কাছাকাছি নম্বর পেয়ে ভতর্ি হয়েছিল। ভালো ছাত্রী হিসেবে শীতল অহম এবং উষ্ণ গরিমার কোনই কমতি ছিল না। শিক্ষকরা ঠিকমত চিনতো। সে, এক লহমায় বুঝতে পেরেছিল, আমি রেজিষ্টাডর্ খারাপ ছাত্র। ফ্যা ফ্যা করা মোটা গরুর দিকে মানুষ যেভাবে তাকায় সেভাবে তাকাতো আমার দিকে। আর আমি তো মোটাই, এখনো। কিন্তু আমার তখন “জ্বালা জ্বালা এই মন জুড়ে, হায় জ্বালা জ্বালা এই অন্তরে…এত নিষ্টুর কেন হলে”...
আমি হাসতাম। কারণ হাসাটাই আমার শক্তি । ও ছিল অকল্পনীয় গোছানো। ওকে দেখাতোও গোছানো। মনিকা বেলুচ্চির চুল ছিল আর ছিল ঘোর কৃষ্ণ চক্ষু, কি অতল। কিন্তু ওর দৃষ্টি ছিল শীতল, মাছের মত, ভেতরের কিছু বোঝা যেত না। সেই না বোঝা, বোঝার জন্য বালকদের পুরুষ হতে হয়। শয়তান পুরুষ। ফলে আমি তখনো রোমান্টিক বালক। আমার চোখে তাই ও বাইরেও, অনবদ্য ছিল। একহারা এবং স্নিগ্ধ। একটা প্রাণ সমগ্র, মানুষ; শরীর নয়।
ভালো ছাত্ররা ছিল ওর পছন্দের, সেই বন্ধুত্বও নোট আদান প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাওয়ারা সম্ভবত খুব ছোটবেলা থেকেই এই গেইমে ঢুকে পড়ে। তাদের কষ্টও শুরু হয় বেশ আগে থেকে।
জীবনের হিসাব খুব গোছানো ছিল ওর, কোন সমবয়সী প্রেম নয়, বড়জোর মনোযোগটা এনজয় করবে; কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ না, যাতে লক্ষভ্রষ্ট না হয়ে যায়। কি ভীষণ আত্মনিয়ন্ত্রণ। মফস্বল শহরে থেকে, তখনি লন্ডনে যাওয়া, পড়া এবং বিয়ে করা সবগুলো বিষয় ওর পরিকল্পনায় ছিল। দুর্দান্ত ব্যাপার। কিন্তু একটা অন্তর্গত আন্দোলনও ওর ভেতরে ছিল, যেটা খুব সুন্দর করে লুকিয়ে রাখতো, নিজেকেও বুঝতে দিত না। (এইটার জন্য কোন গান ঠিক মনে পড়ছে না। সম্ভবত, যদি লক্ষ থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে টাইপ গান হবে হয়ত)।
আর আমি তখন ক্রিকেট, কবিতা আর ব্যান্ড নিয়াই বিরাট ব্যাস্ত, পরিবার এবং দেশ উদ্ধারও। বিদেশ সুদূর পরাস্ত। আমার প্রতি ওর করুনা দেখে আমি হাসতাম। একটু ভ্যাবদা মার্কা হাসি, আর একটু বিষন্ন হাসি তবে বেশিটাই তীক্ষ্ণ হাসি। সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। আর মোটা শরীরে যে তীক্ষ্ণ অনুভূতি থাকতে পারে তা ওর অনুমানে সম্ভবত ছিল না। আমি ওর পরিমাপ বুঝতাম। ওর হিসাবও। কিন্তু নিজেকে নিয়ে আমি কখনোই অনিশ্চিত ছিলাম না, অপ্রস্তুতও না। এখনো দেখি একইরকম আছি। ঠ্যাটা আর পাটবাজ। ভাব নিয়ে একইরকম থাকতাম। আর গাইতাম “কি যাদু, তোমার চোখে, কি যাদু তোমার প্রেমে…আমি তোমায় যে চাই কাছে যেন পাই চীরদিন..তোমায় করেছি আপন…”
কিন্তু ওর কোন হিসেবের চক্রেই আমি পড়িনা। না ভালো ছাত্র, না ভালো রেজাল্ট, না গোছানো, না একই ধর্মের। কেন যে হিন্দু হলাম না, তা নিয়ে বিরাট কষ্ট, বিরাট সেই কষ্ট। আমার যে বন্ধুটি তখন খুব ভালো ছাত্র এবং মেডিকেলমুখি তার সাথে ওর বন্ধুত্ব, আমি গোনারও বাইরে। আঙ্গুল তো আঙ্গুল, হাতের গোনারও বাইরে। তো আমি সেই বন্ধুর প্রেমের এবং ডেটের ব্যাবস্থা কইরা দেই। আর বালিকার খোঁজখবর নেই। এদিকে আমার বান্ধবীর সংখ্যাও অনেক। বান্ধবীরা কোন এক অজানা কারণে আমার সাথে তুমুলভাবে মিশে, তাদের প্রেমের গল্প বলে। তাদের প্রেমিকরা আমারে ঈর্ষা করে। যদিও করার কোনই কারণ নাই।
না আমি ফ্রেন্ডজোনে না আমি প্রেমিক জোনে। এইটা একটা বিশেষ জোন, যাদের জীবনে ঘটে তারা বুঝতে পারে কেবল। প্রথমে মনে হইতে পারে এইটা ফ্রেন্ডজোনের, “হাসতে দেখো গাইতে দেখো…অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো, দেখোনা কেউ হাসি শেষে নিরবতা..”। কিন্তু ঘটনা তা না। কেননা গানের পরের অংশ আমি আর ওউন করিনা……, “বোঝে না কেউ তো চিনলোনা, বোঝে না আমার কি ব্যাথ্যা”। কারণ আই এ্যাম ভেরি ওয়েল ক্যান ডিল মাই স্টাফ। আর আমার ব্যাথা তখন লুতুপুতে প্রেমের ব্যাথায় নাই, এরচেয়ে অনেক বড় ব্যাথায় নিবিষ্ট।
না আমি ফ্রেন্ডজোনে না আমি প্রেমিক জোনে। “আমি আগার দিকে রইনা আমি গোড়ার দিকে রইনা আমি দুই দিকেতেই রই পরাণ জলাঞ্জলী দিয়া হে…।”
পাট আমার তখনো বহাল। দূরবতর্ী একটা যোগাযোগ আছে। কৌতুহলটাও আছে। কিন্তু ওর সতর্ক স্বভাবটা শেষ পর্যন্ত ওর জন্য ভালো হয়েছিল কিনা তা জানিনা। কিন্তু মেডিক্যাল এ হয়নি যতদূর মনে পড়ে। সম্ভবত খুব গোছানো ভাবে ওর প্রেম-বিয়ে হয়ে যায়। প্রেমটা ওর আগে থেকেই ছিল। কি তাজ্জব ঘটনা। আর সেটা সে খুব দক্ষতার সাথে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিল। এখানে কোন গান হবে না, আমি পুরাই স্তব্ধ...। ফলে বিশ্লেষণ হবে।
আমাদের জামানায় মেয়েরা সিরিয়াস প্রেমে পড়ত ক্লাস এইটে এবং তাদের প্রেমিকরা থাকতো অনার্সের মিডেলে আছে বা মাস্টার্স করছে এমন পোলারা।
“হোয়াট দ্যা ফুকো, মিশেল ফুকো (জ্ঞান/ক্ষমতা তাত্ত্বিক)? Michael Foucault লিখা সাচর্ দেন।”
তো মোষ্ট অফ দা কেসে তারা প্রথম প্রাইভেট মাষ্টারের সাথেই প্রেম করত। ফলে আমি তখন গাইতাম, “গতকাল রাতে বিবেক আমার স্বপ্নের কড়া নেড়ে করল জিজ্ঞেস….এমনে হলে কীভাবে হবে,?????”
যাই হোক, ওর একটা বিরাট ভালছাত্রীয় রোগও ছিল, সেটা সাইনাস। সাইনাস আর জ্ঞান সাধনাকে তখন এক করে দেখা হতো। যার যত সাইনাস তার তত প্রতিভা। তবে সেইটা সবার ক্ষেত্রে খাটতো এমন না। আমার পরিচিত এক বড় আপু ছিল, যার সপ্তাহে সাড়ে ছয়দিন সাইনাস থাকতো। আরে কাহীনি কি !! এত সাইনাস কেন?
—টিভি দেখবেন? না সাইনাস।
— আচ্ছা “মুক্তির গান” এর ভিডিও ক্যাসেটটা দেন।ড্রয়ারের উপরে আছে নিয়া যাও, আর কথা বইলো না, আমার সাইনাস”।
ভাত খাইতে সাইনাস, ঘুরতে গেলে সাইনাস, চারদিকে সাইনাস আর সাইনাস। আর সাইনাস হইলেই বমি। কিঞ্চিত পরিমাণে ভদ্রগোছের বমি। পরে অবশ্য ঘটনা বুঝছিলাম। তার প্রেমিকের সাথে অনেক ঘটনা করেই তার বিয়ে হয়েছিল, এরপর থেকেই তার সাইনাস চলে যায়। নাই তো নাই ই, আমি পুরাই থ!। হায়রে প্রেমিক, তোরা কি যে করসোস...
ফলে আবারো আমার গান, “গতকাল রাতে বিবেক আমার স্বপ্নের কড়া নেড়ে করল জিজ্ঞেস….এমনে হলে কীভাবে হবে,?????”
তো যাই হোক ফিরে আসি অথেনটিক সাইনাসে। পড়ুয়া মেধাবী সাইনাসে। সে যখন সাইনাসে আক্রান্ত হইতো, ততই তার রূপ খুলত। তখন তারে রূপার মত ঝকঝকে ইলিশ মাছ মনে হইত। কিন্তু সে তো খুব পড়ুয়া তখন। ফলে মাথার মধ্যে ব্যান্ড লাগায়ে খালি পড়ত। আর ও যখন পড়ত তখন মনে হোত ও সম্ভবত টেনিস খেলতে যাবে। কিন্তু তখন আমি খেলতাম টেনিস আর ও পড়ত ত্রিকোণমিতি। বারো আঠারো ঘন্টার নীচে তো নয়ই। সে এক সাধনাই বটে। দুজনাই বিজ্ঞান পড়ি, আমার কৌতুহল তখন গেছে মানবের দিকে, আর তার দক্ষতা বায়োলজি। সে দক্ষতার দিকে আমি কৌতুহলের দিকে। আর তখন আমার গান হইত, “শেষ বিকেলের আলোয় বিষাদ সন্ধ্যায় চলতে চলতে পথে হটাৎ প্রশ্ন জাগে…আর কতকাআআআআআল খুঁজবো তোমায়…মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গে চেয়ে দেখি আকাশে….হঠাৎ প্রশ্ন জাগে আর কতকাআআআআআল খুঁজবো তোমায়…”
সেটা কখনোই ওকে জানানো হয়নি, ও সুযোগই দেয়নি। আমারে ভয় পাইতো মনে হয়। বুঝতো ঠিকই এবং সেই প্রেমের প্রতি, নিজের লক্ষের প্রতি ভীষণ নিবেদিত ছিল। ক্লাস এইটেই জীবনের লক্ষ যারা খুঁজে পান তাদের স্যালুট দেই, আপনাদের হয়। তবে…”এরই মাঝে রাত নেমেছে কতদিন গেছে চলে এএএ....”
যাইহোক, যেই শহরটাকে আমি নিজের মনে করতাম, সেই শহরটাকে ছাড়তে হয় আমার। ভেজা চোখে, অনেক কষ্ট নিয়ে, শেষ রাতের বাসে সেই শহরটা ছাড়ার সময় আমি ওরে ফোন দিছিলাম। ল্যান্ডফোন থেকে। যেই ল্যান্ডফোনটা আমি জানতাম আর কখনোই আমাদের থাকবে না। সেই থ্রি-জিরো-এইট-থ্রী, তখন আবার সিক্স যুক্ত হইছে সামনে, ডিজিটাল টেলিফোন বলে কথা।
যদিও পাট বজায় ছিল তখনো। কষ্টে মাইর যাইতেছি, কিন্তু প্রায় পুরো বিপরীত কন্ঠে , সকল কষ্ট আড়াল করে বলেছি, "কেমন আছো? পড়াশুনো কেমন হচ্ছে? আচ্ছা শোন, শহর ছেড়ে যাচ্ছি"। আমি আরো একবার বলেছিলাম মনে পড়ে, “একবারেই ছেড়ে যাচ্ছি এই শহর”।
ওর কোন ভাবন্তার ছিল না। ও এমন একটা কন্ঠে উত্তর দিয়েছিল যেন এইটা একটা চা খাবার মত ঘটনা। নিয়মিত অন্তত তিনবার ঘটে। সেইটা ঠিকই, কিন্তু সেইটা তো হানিফ-নাবিল বাসওয়ালাদের কাছে, সে তো বাসের বিজনেসে ছিল না। তো সে এমনভাবে বলল যেন, এমন একটা চা হইছে যেইটাতে লিকারও হয় নাই। ফলে সে; যেকোন মুহুর্তে চা ফেলে দিয়ে বলতে পারে,
"মামা কিসব চা বানান ধুর!"।
আমি ফেলে দেবার ভয়ে তখন আর কথা বাড়াই নাই। কিছুই ঘটেনি কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে, নিজের পাট বজায় রাখছি, কন্ঠে কিছু বুঝতে দেইনি, শান্তভাবে বলেছি, “ভালো থাকো”। এরপর ফোন রেখে দিছি। সম্ভবত সেই ফোনটা থেকে আমার শেষ ফোন। সিক্স প্লাস থ্রি-জিরো-এইট-থ্রী থেকে শেষ ফোন।
ভালো ছাত্রছাত্রীদের আমার বিশেষ ভালো লাগতো না, বোরিং আর নিষ্ঠুর মনে হইত সবসময়। ভালো ছাত্রত্ব একটা বিশেষ ভীতি, চালাকী এবং মহত্ব-নিষ্ঠুরতার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। সেই নিষ্ঠুরতাটা আমার ভালো লাগতো না। নব্বইয়ের গান শুনতে শুনতে মনে হইল, সে কি এখন বিশ্বাস করবে যে সেই খারাপ ছাত্র এখন তিনটা মাস্টাসর্ করে মনবুশোতে পিএচডি করছে? পড়ায়ও মাঝেসাঝে? হাহাহাহা।
গানগুলো শুনে মনে হইল আবারো, সে কি পেরেছিল তার স্বপ্নের ডাক্তার হতে? নাকি লন্ডনবাসী হওয়াটাই তার গন্তব্য হয়েছিল? তার সাইনাস কি তাকে বেশি কষ্ট দিয়েছিল? এখনো দেয়?
নব্বইয়ের গান, নব্বইয়ের অনুভূতি আর নব্বইয়ের পাট তোমারে সালাম। প্রিয় শহর প্রিয় দেশ প্রিয় জীবন মাঝেমাঝে এটাও কিন্তু মনে হয়, “আমি তোমার দূরে থাকি, কাছে আসবো বলে। আমি তোমার কাছে আসিনা, চলে যেতে হবে বলে। তোমাকে ভালোবাসিনা, তোমাকে হারাবার ভয়ে।”
এন্ড ভালো ছাত্রী টিনএজজ বালিকা হ্যাভ এ ভেরী প্রসপরাস লাইফ, এন্ড থ্যাংকু ভেরিমাচ ফর বিং দ্যা ফ্যান্টাসী অফ মাই টিনএজ। নো হাডর্ ফিলিংস, ওকে?
ফে্রন্ডস?
আর ঘটনার বাকী অংশ জানতে চোখ রাখুন জীবনের পদর্ায়। কারণ আসল জাদু জীবনের চোখে। তাই বালিকাদের চোখে তাকাই না, তারা থাকবেনই। তাকাই স্থায়ী প্রেমিকার চোখে, জীবনের চোখে। সরাসরি, প্রতিদিন। আর বলিঃ
একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে
মায়াবি সন্ধ্যায়
চাঁদ জাগা এক রাতে
একটি কিশোর ছেলে
একাকী স্বপ্ন দেখে
হাসি আর গানে
সুখের ছবি আঁকে
আহা কি যে সুখ।
২৭শে জুন, ২০১৮
শরৎ চৌধুরী, হিরোশিমা, জাপান।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫