ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে একটি লেখক বা লেখক গোষ্ঠি তাদের বই প্রকাশ করেছে এবং তা বই মেলায় বিক্রি হচ্ছে(হচ্ছিল)। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ প্রশাসন বইয়ের স্টল বন্ধ করে, বাংলা একাডেমি বই নিষিদ্ধ করে। আমি এর কোন বিরোধীতা করছি না। আমার মনে হয় যে ব্যাক্তি পবিত্র কোন মর্যাদার বিরুদ্ধে অপবিত্র কিছু লিখে তার শক্তির চেয়ে আমাদের পবিত্র সেই মর্যাদার পবিত্রকরণ শক্তি আরো প্রকট। তাই বাইট নিষিদ্ধ না করে এর জবাবে আমরা একটি বই লিখতে পারতাম , যেন সেই লেখক এর লিখনী-শক্তির পরাজয় ঘটে। সে এবং তার মতো ছোট মনমানসিকতার লোক ধর্ম নিয়ে বতর্কে না আসে। স্টল-টি বন্ধ না করে আমরা পাঠক, দর্শনার্থরিা একে বয়কট করতে পারতাম যেন সে বুঝে সে অন্যায় করছে। আরো দু:খজনক হলো বাংলা একাডেমী বা প্রকাশনার কোন নিয়মনীতির প্রয়োগ না থাকা বা উদাসীনতা দেখে। বইটিকে নিষিদ্ধ করে জনমতন এর গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমারও কৌতুহল জেগেছে কি আছে সেই বইতে? বই নিষিদ্ধ করে আমরা তাদের অন্য দুস্কৃতি কাজের সুযোগ দিচ্ছি না তো? লক্ষ করুন আই.এস যদি অস্ত্র/ধ্বংস লিলায় না মেতে লেখালেখি দ্বারাও কিছু একটা করতো তবে অন্তত বেঁচে যেতো অসংখ্য নিরীহ প্রাণ । কিন্তু তারা অন্যায় ভাবে মানুষ হত্যা করছে। বই অনেক সৃজনশীল আক্রমণের জায়গা। কেউ যদি এর মাধ্যমে আমাকে অাঘাত করে আমিও এর মাধ্যমে তাকে আঘাত করবো। এতে করে জ্ঞানের ও শান্তির পথ সুগম থাকবে। এখন হয়তো অনেকেই মনে করেন বেশি বেশি বই প্রকাশ ও লিখলেই হয়তো আমরা বাঙ্গালি হয়ে উঠবো ভাষা প্রেমিক। ফেব্রুয়ারী মাসে ভাষার প্রতি অতিরঞ্জিত এই দরদের প্রতি আমি অসন্তোষ জানাই। বাংলা একাডেমিকে সবিনয়ে অনুরোধ, প্রকাশনা বন্ধ না করে এর জবাব প্রদানের মাধ্যমে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করুন। ধর্মপ্রেমিদের লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের জবাব দেওয়ার প্রতি আকর্ষণ করুন। হয়তো কেউ তখন আপনাদের নাস্তিকও বলতে পারে। আমি মনে করি আল্লাহর সৃষ্টির অংশ সেই নাস্তিক, যেইভাবে তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাই নাস্তিকদের খোদা দর্শনের সন্ধান দিতে হবে, তাদের আল্লাহর রজ্জু চিনাইতে হবে, তাদের সত্যের সন্ধান দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সকল মুসলমানের এক শান্তির ও ঐক্যের মধ্যে আসা।
লেখাটিকে কেউ ধর্মীয় দৃষ্টিতে না নিয়ে একজন সাধারণ মানুষের মনের কথা মনে করলে খুবই কৃতার্থ থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮