সম্মানীত পাঠক, এক ভবিষ্যত বাংলাদেশের দাওযাতে এক বাঙ্গালীর আকুতি জানাই।
আমি বাঙ্গালি নাকি বাংলাদেশী?
কে এর উত্তর দিবেন?
এই ছোট্ট বিষযে রয়েছে আমাদের জাতিগত মতপার্থক্য। এর মূল কারন স্বার্থ। কখনোই দেখলাম না সরকারের কোন ভালো কাজে বিরোধীদল প্রশংসা করতে এবং সরকারকে বিরোধী দলের কোন পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে। কি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন উনারা আমাদের জন্য?
বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে প্রধান সবগুলো অঙ্গ বিতর্কীত হতে যাচ্ছে। কিছুটা নিরাপদ ছিলো ধর্মীয় ক্ষেত্র গুলো। কিন্তু এখন তারাও মসজিদ মাদ্রাসা ছেড়ে রাস্তায় আসেন। আরেকটা ছিলো বিচার বিভাগ। যেখানে সর্বোচ্চ সমাধা ও ভরসা পাবে বলে মানুষ যেতো। বিশ্বাস করতো।
হাঁ আমার আলোচনার টার্গেট বিচারবিভাগ। দুঃখ, আফসোস ও হতাশার কারন হচ্ছে বর্তমকনে বিচার বিভাগের হীন অবস্থার চিত্র। হে বাঙ্গালি জাতির প্রতিনিধিরা, আমরা এখন কোথায় যাবো?
প্রধান বিচারপতির কাজ গুলো যদি সমর্থন করি তবে কেন যেন মনে হয় পাকিস্তানের মতো আমাদের অবস্থা হবে। সেনাবাহিনী আর বিচারবিভাগ দেশ চালাবে। এই জন্য কি ১৯৭১ এসেছিলো?
১৯৪৭ সালে তো আমরা ছিলাম না। কিন্তু ইতিহাস যা বলে, তা হলো তখন শুধু জনগণ এক ছিলো আর প্রতিটি অঙ্গই ছিলো বিতর্কিত। এর পরিনাম ১৯৭১। কিন্তু এখন যদি কিছু হয় তবে আমাদের কি হবে?
সকল দেশের নির্বাচনে সে সব দেশে জনগনের ইচ্ছার প্রতি সব নির্ভর করে। দেখুন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের এতো কিছুর পরও সেদেশে অপোজিট কি সুন্দর করে জনতার সমর্থন মেনে নিয়েছে। আমরা কেন পারি না?
বিচার বিভাগ বিতর্কিত হলে সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। যদি বিচার বিভাগ রক্ষা করতে হয় তবে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়াতে হবে। আর সেই শ্রদ্ধার জায়গা তৈরি করতে বিচার বিভাগকেই শুধুমাত্র ভূমিকা নিতে হবে।
আমাদের সেনাবিহীনি এখন রিলিফ কাজে ব্যাস্ত। ভালোই লাগে। তবে ভয়ও হয়। মৌলিক মতাদর্শে আমকদের ঐক্যমত নাই। হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের শহিদের সংখ্যা নিয়েও দ্বিমত আছে। আছে স্বাধীনতার ঘোষনা ও নেতৃত্ব নিয়েও। তাইতো আজ নিজেকে জিজ্ঞেস করি, তুই বাঙ্গালি না বাংলাদেশি?
অপ্রাসঙ্গিক মনে করলে মাফ করবেন। নিজেই চিন্তা করুন আমি খারাপ বলেছি? যদি তাই হয় সম্ভাবনা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নই? আসুন অপেক্ষা করি। দেশকে ভালোবাসি।