somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতকালীন সতর্কতা

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বলা হয়ে থাকে শীতকাল মানেই সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বরভাব ইত্যাদি। কিন্তু সত্যিই কী তাই? না, কিছুটা সতর্ক বা পূর্ব প্রস্তুতি নিলে শীতকালটাও আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে।

পূর্ব প্রস্তুতি:

শীত আসার আগেই যেমন অনেকে সোয়েটার বোনেন বা কাপড় কেনেন, ঠিক তেমনি শীতের সময় যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন, তারও প্রস্তুতি নিতে হবে। অন্তত দু-একমাস আগে থেকেই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার, অর্থাৎ যথেষ্ট ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে। গ্রীষ্মকাল থাকতে থাকতেই শরীর যাতে যথেষ্ট সূর্যের তাপ পায়, সেদিকেও ছোট-বড় সকলেরই খেয়াল রাখতে হবে।

সর্দি, কাশি, গলাব্যথা:

সর্দি, কাশি বা সামান্য গলাব্যথা এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। তবে একবার ঠান্ডা লাগলে, তা সারতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবেই। কাশির জন্য সকালে এক চামচ আদার রসের তুলনা নেই, তবে সামান্য মধু বা চিনি মিশিয়ে নেবেন। তবে কাশির সঙ্গে যদি জ্বর হয়, তাহলে কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে, অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই শ্রেয়।

ঠান্ডা লাগা:

অসুখ-বিসুখ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথমে আক্রান্ত হয় শ্বাস ক্রিয়া চলাচলের পথ। তবে সেটা যে সবসময়ই ক্ষতিকর, তা কিন্তু নয়। ঠান্ডা লাগার উপসর্গ দেখা দিলে গলা খুসখুস করে, নাক বন্ধ হয়ে থাকে, নষ্ট হয় ঘুম। এর সাথে জ্বর না হলে ঘরে বসে নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারেন। সবচেয়ে উপকারী বেশি করে হাল্কা গরম পান করা আর বিশ্রাম নেওয়া।

নাক বন্ধ?

সমস্যা নেই। বড় একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি ঢেলে, তাতে ক্যামেলিয়া পাতা বা মেন্থল দিয়ে দিন। তারপর মুখ নীচু করে এবং অবশ্যই খোলা রেখে সেই পানির ভাপ নিন কয়েক মিনিট। পুরো ভাপটি যাতে আপনি ঠিকমতো পান, সেজন্য বড় একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ডেকে নেবেন। দিনে কয়েকবার এই ভাপ নেবেন এবং কিছুক্ষণের জন্য খোলা বাতাসে যাবেন, কেমন?

চাই যথেষ্ট রোদ:

সংক্রমণকে থেকে নিজেকে দূরে রাখতে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ফল এবং সবজি খাওয়া উচিত। শরীরের প্রয়োজন ভিটামিন সি, ই, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম। এছাড়া ভিটামিন ডি-রও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, কারণ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে চাই যথেষ্ট রোদ। শীত প্রধান দেশে ভিটামিন ডি-র অভাব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।

ঔষধি গাছ:

ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি সারাতে ভেষজ ঔষুধ বাঙালির ঘরেই থাকে। এই যেমন আদা বা রসুন। রসুন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। শীতকালের ঠান্ডায় শুধু আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে মুরগির স্যুপ খেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা ওষুধের কাজ করে, শরীরটা ঝরঝরে লাগে। রসুনকে জার্মানিতে ১৯৮৯ সালে বছরের ‘সেরা ভেষজ উদ্ভিদ’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

কাশিতে লবঙ্গ:

কাশি বা গলা খুসখুসে লবঙ্গ বেশ কার্যকর। ছোট্ট একটি লবঙ্গ মুখে কিছক্ষণ রেখে আস্তে আস্তে চেবালে তা রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া লবঙ্গ জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতাও রাখে।

শীতে স্যুপের তুলনা নেই:

মুরগির স্যুপ শীতে অতি উপাদেয়। ঠান্ডার মধ্যে আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে মুরগির স্যুপ করে খান। আগেই তো বললাম, এটা সাথে সাথে ওষুধের মতো কাজ করবে, শরীরে এনে দেবে খানিকটা শক্তিও। তবে মুরগির সাথে গাজর, সালগম ইত্যাদি সবজিও দেওয়া যেতে পারে। পরামর্শ পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন ক্লাউস স্ল্যুইটার-এর।

পানীয়:

সর্দি বের হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। কুসুম গরম পানিতে একটু লেবু এবং আদার রস মিশিয়ে পান করলে মুখেও একটু স্বাদ পাওয়া যায় এবং পাশাপাশি লেবু থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। এছাড়াও আদা শরীরের ব্যথা কমায়। তাই আদা ও লবঙ্গ দিয়ে পান করতে পারেন ‘গ্রিন টি’ বা পুদিনা পাতার চা।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×