somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিষ্ঠিত একদল ব্যান্ড ম্যামবার কর্তৃক একটি মেয়ে হ্যারেসমেন্টের (!) ঘটনার চাক্ষুস বিবরণ

২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেইদিন আমাদের ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে ফেয়ারওয়েল উপলক্ষ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড আসছিল । মোটামুটি সবাই এক্সসাইটেড । তবে আমি নষ্টালজিক । কারণটা সেই ব্যান্ডের গান বা তাদের সাথে কাটানো পুরানো সময়গুলোর জন্য নয় বরং অন্য এক দল ব্যান্ড ম্যামবার কর্তৃক একটি মেয়েকে হ্যারেস সংক্রান্ত পুরানো একটা ঘটনাকে স্মরণ করে ।
.
আমি একসময় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সাথে ভালোই জড়িত ছিলাম । সেই সময়গুলোতে বাংলাদেশের মোটামুটি সব প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখা হয়েছে । তাদের গাঁজার ধোঁয়া খুব কাছ থেকে শোঁকাও হয়েছে । এই রকমেরই এক প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের "সার্বিক সাহায্যর্থে" তাদের রুমের দায়িত্বে ছিলাম ।
.
হঠাৎই ব্যান্ড ম্যামবারদের রুমে এক মেয়ের আগমন । চোখ ধাঁধানো সুন্দর মুখশ্রী অধিকারিনী । কোন এক ব্যান্ড ম্যামবারের রেফারেন্সে ভলেন্টিয়ারদের টপকে সে ঢুকতে পেরেছে । গানের প্রথমার্থ তখন সবে শেষ হয়েছে । ব্যান্ড ম্যামবারগুলো টলমল পায়ে রুমে ঢুকলো । এরপর যা করলো তা শালীন ভাষায় বলা বা লিখা সম্ভবপর না । তাদের হাতগুলো একসাথে মেয়েটার শরীর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । মেয়েটা নিজেকে বাঁচাতে হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়লো । ভেজানো দরজার বাহিরে দাড়িয়ে পুরো দৃশ্যটি অবলোকন করে কিছুক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গেলো ! আমি কি এই অমানুষদের ফ্যান ছিলাম !
.
আমি ব্যাপারটা আমার হেডকে জানাতে সে এক বিরক্তির হাসি হাসলো । আর যা সে জানালো তাও রীতিমত শকিং
.
মেয়েটা স্থানীয় এক প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটির ছাত্রী । আর মেয়েটা পার্টটাইম প্রস্টিটিউড । যাকে ব্যান্ড ম্যামবাররা বড় অংকের টাকার বিনিময়ে এক রাতের জন্য ঠিক করেছে ।
.
কাহিনী তখনো বাকি । কনসার্টের দ্বিতীয়ার্থ শুরু হলে বিস্মিত আমি আবার রুমটিতে গেলাম । উঁকি দিয়ে দেখি মেয়েটা কাঁদছে । আমাকে দেখে চোখ লুকিয়ে ওয়াসরুম কোথায় জানতে চাইলো । বললাম । ওয়াসরুমের ঢুকার পাক্কা ১টা ঘন্টা পর সে বেরুলো । চেহারায় সেই আগের রূপ ও কনফিডেন্স ফিরে এসেছে । এসেই সিগারেট ধরাবার জন্য লাইটারের জন্য ডাকাডাকি শুরু করলো ।
.
এক প্রস্টিটিউড হতে এই রকম পরস্পর বিরোধী রুপ আশা করিনি । কনসার্ট হেডকে বিষয়টি আবার বললাম । উনি সহজ একটা সমাধান দিলেন । মেয়েটি পেশায় "প্রস্টিটিউড" হলেও জাতে "মেয়ে" তো তাই সবার সামনে এইভাবে অপদস্থ হওয়াটা সহ্য করতে পারিনি ।
.
চট্টগ্রাম ষ্টেডিয়াম জিমেশিয়ামে "চলো বাংলাদেশ" এর ব্যানারে কানসার্টটি অবশেষে শেষ হয়েছে । ভক্তরা কান ফাটিয়ে তাদের নাম ধরে ডাক দিচ্ছে । ভিতরে ঢুকবার জন্য ডাইহার্ট ফ্যানরা পারছেন না ভলেন্টিয়ারদের মানব দেয়াল টপকে সেই ব্যান্ড ম্যামবারদের পায়ে ধুলি নিয়ে আসতে । তারপরও কেউ কেউ বিভিন্ন জনের রেফারেন্সে ভেতরে ঢুকে পড়েছে । সেলফিতে সেলফিতে রুম সয়লাব । প্রিয় দেবতাদের ছবিগুলো হয়তো আজই তাদের প্রোফাইল পিকের শোভা বর্ধন করবে । অ্যাসক্লেপিয়স রুপী এই সংগীত দেবতাদের বাহ্যিক রুপ দেখে সবই পাগল অথচ ভেতরটা যে কতটা কালো , কতটা অন্ধকার , কতটা বিভৎস কেউ জানে না । অথচ এরাই নৈতিকতার গান গায় ! ভালোবাসার গান গায় !
.
.
রাত অনেক হয়েছে । মেয়েটাকে ব্যান্ড ম্যামবারদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে আগেই তুলে দেওয়া হয়েছে । এখন খালি তার অপেক্ষার পালা । মেয়েটা গোল গলা একটা টি শার্ট পরে আছে । বুকে সবুজ কালিতে আঁকা ব্যান্ডটির নাম । আমার প্রিয় ব্যান্ড ......
.
ছিল ...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩০
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×