somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শরাফত
“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে”

দুর্যোগপূর্ন আবওহায়া এবং সতর্ক সংকেতের অর্থ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে চলছে ঘুর্নিঝর কোমেন, আর এই কারনে আমরা প্রতিবার খবরেই বা আবহাওয়া বুলেটিনে বিভিন্ন রকম সতর্ক সংকেত শুনতে পাচ্ছি। এই সতর্ক সংকেত কোনটার কি অর্থ তা জানাতে এই পোষ্ট।

প্রধানত সতর্ক সংকেত ২ ধরনের, সামুদ্রিক এবং নৌ সতর্ক সংকেত এই দুটো সম্পুর্ন আলাদা অর্থ বহন করে।


সমুদ্র বন্দরের জন্যঃ

১নং দূরবর্তী সংকেতের অর্থ হলো দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়োহাওয়া অঞ্চল রয়েছে। যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১কি.মি.। ঝড়টি সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।

২নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, দূরে গভীর সাগরে ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। সুতরাং সেদিকে যাওয়া যাবে না। তবে বন্দর এলাকায় ঝড়ের আশঙ্কা নেই।

৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, বন্দর এবং বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হতে পারে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

৪নং হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকা ঘূর্ণিঝড় কবলিত। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।

৫নং বিপদ সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকা ছোট বা মাঝারি তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে রয়েছে। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬নং বিপদ সংকেতের মানে হলো, বন্দর এলাকার আশপাশে বিরাজ করছে, যে কোন মুহুর্তে বন্দর অঞ্চলে বা তার আওতায় প্রবেশ করতে পারে।

৭নং বিপদ সংকেতের সঙ্গে ৬নং বিপদ সংকেতের পার্থক্য হলো, এ ক্ষেত্রে ঝড়টি বন্দরের ওপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৮নং মহাবিপদ সংকেত কিন্তু সত্যিকার অর্থেই বিপজ্জনক। এর অর্থ, বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে।

৯নং মহাবিপদ সংকেত কোনো অনুমানের কথা শোনায় না। এর মানে, বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত।

১০নং মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, একটানা ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৮৯ কি.মি. বেগে প্রবাহিত এই ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

১১নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়, আবহাওয়া বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ, যে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা।

নদী বন্দরের ক্ষেত্রেঃ

১নং নৌ সতর্ক সংকেত দেখানো হলে ধরে নিতে হবে, নদী বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. গতিবেগের কালবৈশাখীর ক্ষেত্রেও এই সংকেত প্রদান করা হয়।

২নং নৌ হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, নদী বন্দর এলাকা নিম্নচাপের সমতুল্য তীব্রতার একটি ঝড়ের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় অনুর্ধ্ব ৬১ কি.মি.। ৬৫ ফুট বা তার কম দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট নৌযানকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

৩নং নৌ-বিপদ সংকেতের অর্থ হলো, বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। সকল প্রকার নৌযানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।

৪নং নৌ মহাবিপদ সংকেতের মানে ঝড়টি সামুদ্রিক ঝড়ে রূপ নিয়েছে। অর্থাৎ বন্দর এলাকা একটি প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা তার বেশিও হতে পারে। সকল প্রকার নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।

আপনার আমার একটি সতর্ক পদক্ষেপই পারে দেশকে ঘুর্নিঝরের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঘুরে দাড়াতে।
সতর্ক থাকুন সাবধানে থাকুন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে দেশকে রক্ষা করুন।


সুত্রঃ আবহাওয়া ভবন, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×