আজ পুরো দিনই মাশরাফি সাকিবের নির্বাচনের গুঞ্জনে ছড়াছড়ি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যে নিউজপোর্টালে দিনে অন্তত পাঁচবার ডু মারি তাতেও এই খবর দেখতে হলো। যাইহোক, মেনেই নিলাম মানুষের আবেগ/ইমোশনকে তারা কেয়ার করেনা যা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত। মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনো মাথা ঘামাইনা সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যেও পড়েনা।
সাকিব-মাশরাফিদের মত মানুষগুলো নির্বাচনে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। কারন এতে অন্তত নতুন এবং শিক্ষিত প্রজন্ম কিছুটা হলেও নির্বাচন কিম্বা রাজনীতি করার আগ্রহ দেখাবে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের কথিত রাজনিতীবিদরা যে অপসংস্কৃতি আর হিংসার রাজতী ছড়িয়ে গেছেন মাশরাফি-সাকিবদের হাত ধরে তার কিছুটা হলেও পাপমোছন হবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন হতে পারে, এতই যদি ভাল হয় তাহলে আমি কেন তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের ব্যপারে আপত্তি দেখাচ্ছি? আমি তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের ব্যপারে আমার কোন আপত্তি দেখাচ্ছিনা। আপত্তি হলো নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতীক দলের অধীনস্থ হওয়ায়। কারন, আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত সে রকম কোন সংস্কৃতি কিম্বা যোগ্যতা অর্জন করেনি যারা মাশরাফি-সাইবকে হোল্ড করতে পারবে। যখন এ রকম খবর শুনলাম তখন হতাশ হতে হয়েছেই। কারন, তারা এ ধরনের রাজনৈতিক দলে গিয়ে কতটা স্বাধীন বা সৎভাবে দায়িত্ব পালন করবে সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। যাইহোক, আজ আশার আলো দেখলাম যখন বুঝতে পারলাম আসলে এই ঘটনার কোন সত্যতা এখন পর্যন্ত নাই।
মাশরাফি-তামিমদের যে ইমেজ আমাদের দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাতে আমি মনে করি দেশের জন্য কিছু করতে হলে তাদের অন্য কোন দলের অধীনস্থ হওয়ার প্রয়োজন নাই। দেশের মানুষ একজন নিবেদিত দেশপ্রেমীককে নির্বাচিত করার জন্য সর্বদা বসে আছে। এখনো দেশের মানুষ সত্যিকার দেশপ্রেমীক রাজনীতিবিদের অপেক্ষায় বসে আছে। আমি মনে করি মাশরাফি-সাকিবদের হাত ধরে পরিবর্তন হবে আমাদের দেশের রাজনীতির নোংরা সংস্কৃতি। কে জানাবে এই মেসেজটা তাঁদের? আশাকরি, তারা মানুষের আশাভরসার প্রতিদান দিবে এবং তাঁদের যোগ্যতার সুন্দর প্রয়োগ করবে।
বাংলাদেশ চিরজিবী হোক
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৬