somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাইছি তোমার বন্ধুতা!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাকে সামনাসামনি প্রথম দেখি পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে; সে তার কয়েকজন সহযোদ্ধার সঙ্গে হেটে আসছিল। দ্বিতীয়বার তার সাথে দেখা পাবলিক লাইব্রেরীর সিড়িতে; সে সেখানে তার ২ বান্ধবীর সাথে বসে গল্প করছিল। আমি তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘাড় ঘুরিয়ে তার দিকে তাকালাম। দেখলাম, ও আসলে অনেক সুইট আর কিউট একটা মেয়ে; মাথার চুলগুলো সুন্দর আর সিল্কি; শুধু গায়ের রংটা কালো। আমাকে ওভাবে তাকাতে দেখে সেও ঘাড় ঘুরিয়ে ‘আগ্রহ সহকারেই’ আমার দিকে তাকালো। তখন আমি আবার নজর ফিরিয়ে সামনের দিকে হাটতে থাকলাম।



এরপর, ওর ওকে শাহবাগে অনেক দেখেছি। অনেক চোখাচোখি হয়েছে; আমিও সময় সময় দুষ্টামি করে ওর দিকে চোখ চোখ রেখে তাকিয়ে থাকতাম। সেও হয়তো বুঝতো, এই ছেলেটা ‘হয় আমার সাথে দুষ্টামি করছে, নয়তো আমার প্রতি তার আগ্রহ আছে’! আর আমার অবশ্য কখনোই মনে হয়নি ও আমার এই দুষ্টুমিতে বিরক্তবোধ করতো। কিন্তু, মজার ব্যাপার হল, শাহবাগে যখনি আমি তাকে দেখতাম, আমার খালি হাসি পেত। অর ড্রেস আপ আর হাটার স্টাইল আমার কাছে খুবই মজাদার মনে হত!

একটা পত্রিকা অফিস থেকে সুকৌশলে ওর নাম্বারটা জোগার করে একদিন ওকে ফোন দিয়েছিলাম। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ওর সাক্ষাতকার ছাপা হওয়ার জন্য ওকে অভিনন্দন জানালাম। ও আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমার পরিচয় জানতে চাইলো। আমি বললাম, “আমি শেহজাদ আমান। চিনতে পেরেছেন?” ও বললো, “হ্যা, নামটা পরিচিত।” তারপর ও শাহবাগে আছে জানিয়ে পরে কথা বলবে জানিয়ে বিদায় বললো।

এর পর আর ওকে ফোন দেয়া হয়নি। আমার মোবাইল সেট হারিয়ে যাওয়ার কারণে ওর নাম্বারও হারিয়ে গেছে।

সে একটা বাম রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত! তার সাথে আবার দেখা হয় তার দলের আয়োজিত একটা সেমিনারে। সে ঐ প্রোগ্রামের সঞ্চালক ছিল এবং ডায়াসের উপর বসা ছিল। আমি যথারীতি দর্শক সারিতে বসেছিলাম। ওখানেও আমাদের চোখাচোখি হল। ওকে দেখলেই আমার খালি হাসি পাচ্ছিল; তাই মাঝে মাঝে আমি মুখ ঘুরিয়ে রাখছিলাম! হঠাৎ দেখি ও আঙ্গুল দিয়ে আমাকে দেখিয়ে ওর পার্টির একটা মেয়েকে কি জানি বল্লো। ওই সময় আমি আবার একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম; আশঙ্কা করেছিলাম আবার কোন কেচাল না হয়! শেষ পযন্ত অবশ্য কিছুই হয়নি।

ওকে লাস্ট দেখলাম আমার স্বপ্নে, ঘুমের ঘোরে — কয়েকদিন আগে। দেখলাম ও যথারীতি তার মোবাইল প্যান্ট পরে আছে, সাথে নীল’ কালোর মধ্যে একটা চেক শার্ট। ওর মাথা থেকে কোমরের নীচ পর্যন্ত লম্বা চুলের অসাধারণ সুন্দর বেনিটাও আমার নজর এড়ায়নি :D। আমি স্বপ্নের মধ্যেই ওর সাথে হাত মেলালাম; দেখলাম ও আমাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে।

মেয়েটার নাম না হয় নাই বললাম। তবে, আশা রাখি নিকট ভবিষ্যতেই ওর সাথে আমার ভালো একটা ‘দোস্তি’ হবে। কোন এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আমিও বলতে পারবো, “এবার কিছু বলার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি, আমার বোন, আমার বন্ধু, আমার সহযোদ্ধা ………কে।”

ওর প্রতি আমার অনুভূতিটা জাস্ট মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা; বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ফিলিংসের চেয়ে বেশি কিছু না।

আজকাল তো বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ে একে অপরের সাথে জৈবিক সম্পকের বেশি কিছু ভাবতে পারেনা। সেখানে আমার চিন্তা-ভাবনা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ছেলেমানুষী বা পাগলামী মনে হতে পারে। কিন্তু, আমি জানি আমি ওকে যেভাবে দেখি, বন্ধুত্বের স্বরুপ এমনই হওয়া উচিত!

ওর সম্পর্কে পুরোপুরি জানিনা; তবে, বিশ্বাস করি ও ভালো একটা মেয়েই হবে। আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের জীবনে ওর কাছ থেকে শক্তিশালী একটা বন্ধুতা পেলে আমিই সমৃদ্ধই হব আশা করি!

তারপর আমরা হয়তো একসাথে আন্দোলন করবো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাতে হাত রেখে রুখে দাঁড়াবো!

ওর বন্ধুত্ব, সহমর্মিতা আর সহযোগিতার বাড়িয়ে দেয়া হাতের প্রত্যাশায় রইলাম!

হে আমার অনাগত বন্ধু, তোমায় স্বাগতম!
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×