করিম শেখ গ্রামের বিরাট ধনী গেরস্ত।তার মাঠ ভরা ধান,গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ।গ্রামে তার বিশাল প্রাচীর ঘেরা বাড়ী।গ্রামের কয়েকজন চৌকস লাঠিয়াল করিম শেখের বাড়ীর চৌহদ্দী পাহারা দেয়।
ঐদিকে করিম শেখের বন্ধুর ছদ্মবেশী ডাকাত কেহেরমানের চোখ পড়ে করিম শেখের ধন সম্পত্তির উপর।কিন্তু ঐ চৌকস পাহারাদার গুলির জন্য সে কিছুই করতে পারেনা।কেহেরমান ভেবে দেখে করিম শেখের কয়েকজন বিশ্বস্ত পাহারাদার কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পারলে তার কাজটা সহজ হয়।যেই ভাবা সেই কাজ।কেহেরমান কৌশলে বুদ্ধি খাটিয়ে করিম শেখের কয়েকজন লাঠিয়াল কে হাত করে খুন করে চৌকস ও বিশ্বস্ত লাঠিয়ালদের।
এরপর কেহেরমান করিম শেখের কাছে শোক বার্তা পাঠায়।বন্ধুর দুর্দিনে কেদেঁ কেটে হয়রান হয়ে যায় সে! এবার কেহেরমান করিম শেখ কে তার প্রহরা বাহিনী পূণর্গঠনের পরামর্শ দেয় এবং এটাও জানিয়ে দেয় প্রহরা বাহিনী পূণর্গঠনে বন্ধু হিসেবে সে সব ধরনের সহযোগীতা করবে।বন্ধুর এই সহযোগীতার কথা শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় বোকা করিম শেখ।তৎক্ষনাৎ সে বাড়ীর প্রহরীদের দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত তাজু মিয়া কে ডেকে প্রহরী পুণর্গঠনের কথা জানিয়ে দেয়এবং নির্দেশ দেয় এই ব্যাপারে তার বন্ধু কেহেরমানের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে।এদিকে কেহেরমান মনে মনে হাসে আর ভাবে তার সুদিন বুঝি এল।এবার সে তার অনুগত কিছু লাঠিয়াল কে করিম শেখের বাড়ির পাহারাদার বানাবে আর তাদের সহযোগীতায় দিনে দিনে নিঃস্ব করবে করিম শেখ কে।
যাই হোক তাজু মিয়া করিম শেখের বাড়ির সবাইকে ডেকে সাফ জানিয়ে দেয় পুনর্গঠন করা হবে প্রহরা বাহিনী।গড়ে তোলা হবেএকটা ডিজিটাল প্রহরা বাহিনী আর এই ব্যাপারে কেহেরমানের কাছ থেকে সহযোগীতা নেওয়া হবে..
আমিও সাফ জানিয়ে দিতেছি "বিডিআর পূনর্গঠনে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগীতা নেওয়া হবে"...স্বরাস্ট্র পাতি মন্ত্রীর এই বক্তব্যের সাথে আমার উপরোক্ত কেচ্ছার কোন মিল নাই !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫