রোলেক্সের ঐ কালো বেল্টের চকচকে ঘড়িটা তোমাকে কিনে দিবো বলে ভেবে রেখেছিলাম,
দামটা একটু বেশিই পড়ে গেল। মন খারাপ করে ব্র্যান্ডের ঘড়ির দোকানটা থেকে বেড়িয়ে এসেছি সেদিন।
আসলেই আমার ইচ্ছেগুলোর দাম কেন জানি একটু বেশিই পড়ে যায় সবসময়।
এমনই একটা ইচ্ছে করেছিলাম সেদিন,
চেয়েছিলাম রাতের বেলা যমুনা ব্রিজের ওপর কালো ভেলভেটের শাড়ি পড়ে তোমার সাথে পূর্ণিমা দেখবো ।
বাবা! সে ইচ্ছের দাম এত বেশি হবে কে জানতো?
তবু আহ্লাদের কি আর শেষ আছে? এখনো জেদ ধরে আছি গান শুনবো বলে।
তোমার গলায় হিন্দী গান খুব সুন্দর শোনায়, সত্যি বলছি তোমার ভয়েস অনেকটা আরমান মালিকের মত! আচ্ছা তুমি ইন্ডিয়ান কালচার কে এত অপছন্দ কেন কর বল শুনি? নিজের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে হলে বুঝি অন্যের কালচার কে ঘৃণা করতে হয়? কে শিখিয়েছে ভালবাসার গন্ডিসীমাকে এত ছোট রাখতে?
পুরনো দিনের হিন্দী গানগুলোর সাথে আমার অনেক ভালবাসাময় মুহুর্ত জড়িয়ে আছে। আমার বাবা আমার মা কে এই গান গুলো গেয়ে শোনাতো। তখন প্রেমের আমেজ অনুভব করতাম আমি।
তাই তোমার কাছে আবদার করেছিলাম হিন্দী গান শুনবো বলে।
তোমার গলায় হিন্দী গান শুনতে চাওয়ার ইচ্ছাটার দাম ও অনেক বেশি পড়ে গেল। কালো ভেলভেটের শাড়ির থেকেও বেশি দামী। পুরো মাসের স্যালারি দিয়েও একে কেনা যাবেনা।
তুমি গাইবেনা জানি। ভালবাসবে, তবু মুখে বলবেনা এটাও জানি!
তুমি কি মনে কর তোমার মনের কথা আমি কিচ্ছু জানিনা? নিজেকে এত চালাক ভাবতে নেই।
ভালবাসা দিবসে আমাকে কে একতোড়া গোলাপ পাঠাতে পারে তা আমার খুব ভালো করে জানা আছে, আর যার মাধ্যমে তুমি দিয়েছিলে তার থেকেই সব উগড়ে নিয়েছি আমি।
জানো?
আমি একসময় খুব করে চাইতাম তুমি মুখ ফুটে প্রকাশ কর! এখন আর চাই না।
জানি তোমার ভালবাসার দাম দেবার মত সামর্থ্য আমার নেই।
তাই সাধ্যের বাইরের জিনিস চেয়ে নিজের ঋণের বোঝা কে আর ভারী করতে চাই না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭