এই শহর , এই সভ্যতা , এই আমি
নিঃশব্দ ঘোর অভিমান স্বপ্ন বুকে নিয়ে,
আমি হেঁটে বেড়াই তোমাদের চোরা গলিতে
একটা বাঁশীতে ফু দিয়ে যাই হ্যামিলনের মতো
ঠিক তোমাদের বুকে লুকিয়ে থাকা ভয় তাড়াতে !
এই নগরে কেউ নাই বাঁশী শুনার মতো কি ??
অথবা সবাই ঘোরে আছে কোন কল্পলোকে
ধারালো কোন অস্ত্রে হয়ত ধরা গলার শিরায়
না হয় কি করে লুটে নেয় তাদের ব্যালট পেপার
কেড়ে নেয় বুকের রক্তের দামে কিনা মানবতা !!
পুরো শহরের মানুষ আতংকে আছে ভয়ে
কেউ কি তাদের একে একে অবশেষে বাঁধে,
গোলামির শিকলে লোহার বেড়ী পরাচ্ছে ছলনায়
শহরের সমস্ত সাংবাদিকরা ঘুর ঘুর করছে অন্ধ হয়ে,
কে কার আগে শিকলের ব্রেকিং নিউজ দিবে গোলামের!!
হ্যামিলনের বাঁশীর সুর আজ অবরুদ্ধ
পুলিশ ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তার বেষ্টনিতে,
সাদা কালো আর নীল পোশাকে চারদিক
কাউকে কথা বলতে দেয় অস্ত্র তাক করে
দেশটা লগ্নী নিয়েছে নাকি কিতাবের আইনে !!
বিপ্লবীর মত অনেকদিন কেউ বাঁশী বাজায় না
অমাবস্যার অন্ধকারে লুকিয়ে চাদের আলো
বজ্র কণ্ঠের অস্ত্র বুকে লুকিয়ে হ্যামিলনের সুরে,
যেই বাঁশীতে একদিন একদিন অগ্নিবীণা ঝরবে
চাষা জানে কি করে শক্ত মাটি মুগুরে ভাঙে !!
দুখ বিলাসী কবিদের মত, আমি একটা বাঁশীর খুঁজে
ঝরের মতোবৃষ্টি তুফান আসুক এই বাঁশীর সুরে
গোলামীর ঘোর থেকে উদ্ভাসিত হউক অগ্নিগিরি
প্লাবিত হউক এই শহর , এই নগর এই সভ্যতা
লুটেরার রক্তে প্লাবিত হউক পদ্মা মেঘনা যমুনা !!
আমার বুকের এই অভিমানের ভয়ংকর অস্ত্র
তোমার সমস্ত নিরাপত্তার বেষ্টনি তছনছ করে দিবে,
তারপর, একদিন শহরের মানুষ ঠিকই জানবে,
সাংবাদিকরা পত্রিকায় হেড লাইনে লিখবে,
বিপ্লবীরা কোন দিন মরে না এদের মৃত নেই !!
বিপ্লবীরা এই শহর ,এই সভ্যতা , এই আমি
নিঃশব্দ অভিমানের স্বপ্ন বুকে নিয়ে,
সুপ্ত অগ্নিগিরি হয়ে হ্যামিলনের বাঁশী জন্য
অজনা ঘোরের মধ্যে হেঁটে চলছি অজানা পথে
কেউ একজন আসবে সেই বাঁশীতে ফু দিতে.........।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪