somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

গল্পঃ- অ-মানব ও এক বিন্দু রহস্য ( চতুর্থ পর্ব )

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দারগা মনে মনে ভাবছে মানুষটা কি যাদু জানে ? আমি এত বছর ধরে পুলিশে চাকুরী করে আসছি । কত চোর ডাকাত সন্ত্রাস উকিল কে সাইজ করেছি আর একটা পাগলের কাছে হেরে গেলে আমার দারগা গিরি করে কি লাভ ?
অ-মানব মনের সুখে সিগারেট টানছে । দুই পা নাড়াচ্ছে । কুকুর গুলো তার চার চার পাশে বসে আছে । অ-মানব বলল
---- দারগা সাব মানুষ আজ কাল চাহিদার গোলাম হয়ে গেছে । মানুষ কে যদি এই মহাকাশ দেয়া হয় তবে তার তৃষ্ণা শেষ হবে না। এই যে আপনি আজ ভাবছেন আপনার মেয়ে আমি কেন কথা বলছি । ঠিক কি না ? আমি জগতের অন্য কিছু না বলে আপনার মেয়ে নিয়ে কথা বলছি । কেন বলছি জানেন । আমারা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। মা থাকতে মায়ের মর্ম , বাবা থাকতে বাবার মর্ম যেমন বুঝি না । একটা ছোট গল্প বলব দয়া করে কি শুনবেন ।।
----- কি গল্প তা শুনে আমার কি কোন লাভ হবে ?
----- দেখুন দারগা সাব আমাদের স্বভাব কি জানেন আমারা সব কিছুতেই লাভ খুজি । আর সব লাভ রেখে চলে যাই । শ্যালা কিছুই নিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু গল্প টা আপনার জীবনের ।
----- আমার জীবনের গল্প । আপনি কি করে জানবেন ? আর আমার কোন গল্প নেই ।
---- যদি না শুনেন তবে গল্প টা বলব কি ভাবে ?
---- আচ্ছা বলেন । দারগা একটু ভাব নিয়ে বলল । আর মনে মনে বলে দেখি পাগলে কি বলে ?
---- অ-মানব বলতে লাগলো , দারগা সাব আপনার বাবা আপনাকে টাকার জন্য লেখা পড়া করাতে পারে নাই । সেই সময় আপনার মামার শ্যালক আপনাকে লেখা পড়া শিখাতে তার বাড়িতে নিয়ে যায় । তার কোন পুত্র ছিল না । তার দুই মেয়ে দুই জনেই কালো । আপনে তাঁদের বাড়িতে পাঁচ বছর ছিলেন ।
তার পর একদিন সেই লোক আপনাকে পুলিশের চাকুরী ব্যবস্তা করে দেয় । আপনি যখন জানলেন যে কোন এক বোন কে বিয়ে করতে হবে তার পর কিন্তু আপনি ঐ বাড়িতে আর কোন দিন যান নাই । এমন কি আজ পর্যন্ত যান নাই ।
আপনি কি মনে করেছেন আপনার মতো জামাই তারা পাবে না। তারা জামাই আপনার চেয়ে ভাল পেয়েছে । তারা এখন কিন্তু দুই বোন সরকারী স্কুলের মাস্টার । তাঁদের দুই বোনের এক মেয়ে রংপুর মেডিক্যালে কলেজে পড়ে ।
------------- দারগা আপনি এত কিছু কি করে জানেন ? আসলে আপনি কে ?
------------- বললাম তো আমি অ-মানব । কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হলে সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয় । জ্ঞান মানুষের সম্পদ । যা বিক্রি করলে শেষ হয় না। আর সব কিছু বিক্রি করলে শেষ হয়ে যায় । আপনি যদি কোন দেশ যুদ্ধ করে জয় করতে চান তাহলে সেই দেশের ইতিহাস মানচিত্র শিক্ষা ভাষা আর তাঁদের সত্রু মিত্র কে ভাল করে জানতে হবে । আমি তো আপনার সাথে একটা যুদ্ধেই নেমেছি । তবে তা মনোতান্ত্রিক যুদ্ধ ।
দারগা একে বারে চুপ হয়ে যায় অ-মানবের কথা শুনে । মনে মনে ভাবছে !
না তার পিছু লাগলে বরং আমার দেয়া কথাই রাখতে হবে । নিজ মেয়ের ব্যাপার যদি মানুষ জানে তাহলে খুবেই খারাপ । আমার মান ইজ্জৎ চলে যাবে । বরং অন্য কিছু করি ।
এমন সময় অ-মানব দারগার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলল স্যার আজ ভোর বেলায় তবারক খাওয়াবে ঐ যে বাউল জ্ঞান হচ্ছে ঐ খানে । আপনি তো আর ডিউটি রেখে যাবেন না। আর গ্রামের যে রাস্তা আপনাদের পুলিশের লক্কড় যক্কর গাড়ী যাবে না। গাড়ী গেলে আপনাকে দাওয়াত দিতাম । আসি স্যার আমার বিষয়টা চিন্তা করবেন । ঐ ছেলেটার জাবিন কিন্তু আসা করি ডিসেম্বর মাসের শেষে কোর্ট খুললে জাবিন হয়ে যাবে । আসি স্যার ।
দারগা চাতক পাখির মতো অ-মানবের কথা শুনে চুপ হয়ে গেল । রাতের ট্রেনের লাইট দেখা যাচ্ছে । অল্প সময়ে স্টেশনে আসবে , ট্রেনের লাইট অনেক দুর থেকে যায় । এখন কুয়াশা কম ।
কুকুর গুলো দিকে তাকিয়ে দারগা আরও অবাক কাউকে কিছুই বলা লাগে নাই । সবাই শরীর যারা দিয়ে উঠে দাঁড়ালো ।
অ-মানব তার হাত দুটা পকেটে ভরে দারগার দিকে চেয়ে একটা হাসি দিল । দারগা উঠে দাঁড়ালো । কুকুর গুলো ঠিক অ-মানবের আগে হেঁটে যেতে লাগলো । কোন শব্দ নাই । অ-মাবের সাথে দুইটা কুকুর ঠিক পাহারা দারের মতো আগে পিছনে হাঁটতে লাগলো । এত শীত লোকটার শরীরের শীতের কোন জামা কাপড় নেই । আর্মির কম্যান্ডো ট্রেনিং দেয়া কি না আল্লায় জানে দারগা মনে মনে বলল ।
না আজ আর ট্রেন থামে নাই ।
দারগা চেয়ে দেখে বেঞ্চের উপরে একটা ম্যাচ পড়ে আছে । হাতে ম্যাচ টা নিয়ে দেখে মাত্র পাঁচটা কাঠি । একটা কাঠি হাতে নিয়ে বলে হায়রে কাঠি তোর দাম এক টাকাও না । আজ সব সমস্যা তকে নিয়েই হচ্ছে । পকেট থেকে সিগারেট বের করে একটা সুখ টান দিল ।
সাথের পুলিশরা ফিরে এসে বলল স্যার সরি শীতের গাড়ীর ব্যাটারির বসে গিয়েছিল । সেলফে কাজ হচ্ছিল না। পড়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে গাড়ী চালু করতে হল । এখন আর সমস্যা নেই । দারগা বলল চলুন কাজের সময় আর আপনাদের পাওয়া যাবে না।
______________________________******______________________
দারগা সাব রাতের নাইট করে এসে ঘুমাচ্ছে । রেখা বেগম সকালের নাস্তা শেষ করে হাতে চা নিয়ে উঠানে এসে মুড়াতে বসছে । কুকুরটা তার পাশে এসে একটা ছালার মধ্যে চোপ করে শুয়ে পড়লো ।
পাশের বাড়ি থেকে এক ভাবী আসছে । তাকে বসতে দিল অন্য একটা মুড়ায় । এই ভাবির কে সবাই উকিল ভাবী বলে ডাকে । ঝগড়া করতে খুব পারে । যার সাথে ভাব তার সাথে পক্ষ নিয়ে সে ঝগড়ায় খুব বাহাদুর নারী । তার সাথে সহজে কেউ ঝগড়া করে না। এলাকার ছেলেরাও ভয় পায় ।
উকিল ভাবী বলতে লাগলো রেখা ভাবী একটা একটা কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো । আপনাকে জিজ্ঞাসা করব করব করেও করি না। যদি আপনি কিছু মনে করেন ।
----- না উকিল ভাবী কি মনে নিব । আপনি কি বলতে চান বলুন ।
এমন সময় উকিল ভাবী বলল বিষয়টা আপনার মেয়ে বিন্দুর ।
এমন সময় কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কামড়াতে চলে আসে উকিল ভাবে কে? উকিল ভাবী যত দুর দুর করে কুকুর তত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । রেখা বেগম বলল আরে থাম মেহেমান । কুকুর তো থামেই না।
উকিলের ভাবির কাপড়ে কামড় দিয়ে ধরে গেইটের বাহিরে দিকে নিয়ে যায় । উকিল ভাবে ভয়ে পারে না দৌরে পালায় । কোন মতে ভয়ে দারগার বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য বাড়িতে গিয়ে উঠে । একজন জিজ্ঞাসা করে কি উকিল ভাবী কুকুর খ্যাপলো কেন ? উকিল ভাবী বলল - আরে আর বলবেন না দারগার বাড়ি কুকুর দারগাই হয় ।
কুকুরের চীৎকারে দারগা সাবের ঘুম ভেঙে যায় । পরনের লঙ্গি ঠিক করে বাহিরে এসে বলে কুকুর এত জুড়ে চীৎকার করে কেন ? এই হারামজাতা কুকুর আর এর মালিক আমার জীবন টা নষ্ট করে দিল । রেখা বেগম বলল - কুকুর ঠিক করেছে আজ । উকিল ভাবী আছে না। এই বাড়ির কথা ঐ বাড়ি বলে বেড়ায় আর ঝগড়া লাগায় । আজ আমার মেয়ে বিন্দু কে নিয়ে কি জানি বলতে চাইছিল । অমনেই তো কুকুর তাঁরে কামড় দিতে গেল চীৎকার দিয়ে । বোবা প্রাণী কুকুর কিন্তু আমার মেয়ের নাম নিতেই ঐ মহিলারে যে দৌড়ান দিয়েছে মনে হয় ভুলেও আর এই বাড়িতে আসবে না। দারগা কুকুরের দিকে তাকাতেই কুকুর ও দারগার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকায় । রেখা বেগম এক বার স্বামীর মুখ আর এক বার কুকুরের মুখ দেখে । কুকুর আবার সেই ছালার উপর যেয়ে শুয়ে পরে । লেজ নাড়াতে থাকে । দারগা রেখা বেগম কে বলে একটু চা দাও । রেখা বেগম হাসতে হাসতে রান্না ঘরের দিকে চলে যায় ।
চা হাতে দারগার সামনে আসে । দারগা - কি ব্যাপার এত হাসি কেন রেখা বেগম ? মনে হয় তোমার মনে রঙ লাগছে ।
--------------- রেখা বেগম বলল- কুকুরের কাজ দেখে আজ হাসি পাচ্ছে । উকিল বেটি আজ পান টা মুখে দিতে পারে নাই । যে শিক্ষা হয়েছে মনে হয় আমার মেয়ে নিয়ে আর কোন কথা বলবে না।
------------------ দারগা এই কুকুর যার সে থাকলে মনে হয় মহিলার জানাজা পড়াতে হত ।
------------------ এই কথা বললা কেন গো ? মেয়েটা কি ঐ ব্যাটার নাকি ? তোমার মেয়ে । তোমার কি কোন দরদ নাই ।
----------------- দরদ আছে কিন্তু আসল কথা শুনলে তুমি কুকুর আর ঐ কুকুর ওয়ালা বেটা কে বটি দিয়ে দৌড়া বে ?
---------------- বল কি ? কি হয়েছে ? খুলে বল ?
----------------- ঐ বেটার নাম অ-মানব । তার সাথে কথায় পারা যায় না। কেমন জানি প্যাচ মেরে কথা বলে । কথার সাথে যুক্তি থাকে খুব শক্ত । সে চায় তোমার মেয়েকে যেন ঐ ব্যাটারির দোকানে ব্যাটারি মিস্ত্রির সাথে বিয়ে দিয়ে দেই ।
---------------- বল কি ? তুমি না বললে ঐ ঝামেলা শেষ । আরে আমি তো শেষ করেই দিয়েছিলাম ।
কিন্তু বাজী ধরে সব উল্টা পাল্টা করে ফেলেছি । আমি হেরে গেছি বাজিতে । বাজী ধরার আগে সে আলম , সোহাগ মুখলেছ কে সাক্ষী রেখেছে ।
---------------- তুমি পুলিশ মানুষ হয়ে বাজী ধর ।
--------------- আরে বাজী যে বিষয় নিয়ে ধরেছে সেটা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু অ-মানব তাই করে দেখিয়েছে ?
--------------- বল কি ? এমন কি বাজী ধরেছ ।
--------------- কুকুর নিয়ে বাজী ধরেছি । বলেছি এই শীতে যদি কুকুর কে পানিতে নামাতে পারেন তাহলে আপনি যা চাইবেন । তাই দিব যদি সাধ্য থাকে ।
--------------- ওগো তার পর ।
----------------- তার পর এই বদমাইশ কুকুর কে কি জানি বলল আর এই কুকুর এক দৌড়ে পানিতে গিয়ে লাফ দেয় ।
------------------- এখন কি হবে গো ?
------------------- কি হবে তাই ভাবছি ?
------------------- কোন মামলা দিয়ে ওরে জেলে দিয়ে দাও ।
------------------ মামলা তো মুখের কথা । শুন মূর্খ আর গরীব মানুষ কে সহজে মামলা সেয়া যায় ।
লোকটা জামা কাপড় চেহারা কথা বলা আর সাহস দেখলে ই ভয় লাগে । সে পুলিশ কে মানুষেই মনে করে না। আমার বাপ দাদা তোমার বাপ দাদা কে কি করত সে এক মিনিটেই বলে দিতে পারে ।
--------------- কি বলছ গো । আমার তো ভয় ভয় লাগছে ।
ঠিক এমন সময় ভাবী সালাম নিবেন । আমি অ-মানব স্যার আমার ম্যাচ টা স্টেশন থেকে না বলে নিয়ে আসছে । আমি আমার ম্যাচটা নিতে আসছি । এই কথা বলে উঠান থেকে বারান্দায় চলে আসে । দারগা অ-মানবের দিকে বোকার মতো চেয়ে আছে । রেখা বেগম অ-মানব কে ভয়ে ভয়ে বলল ভাই আপনার দারগা ভাই যা বলছে তা কি সত্য ।
অ-মানব একটা হাসি দিয়ে বলে ভাবী আপনাদের বিয়ের সাত বছর একটা মেয়ে হয়েছে । মেয়েকে তো আপনি কোন ঘুষ খোরের কাছে বিয়ে দিতে পারেন না । আমি তাই একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি মাত্র ।
দারগা সাব আমার ম্যাচ টা দেন । দারগা পকেট আলনার উপর থেকে প্যান্টা হাত বাড়িয়ে নিয়ে পকেট থেকে ম্যাচ টা বের করে তার হাতেদিল । অ-মানব ম্যাচ খুলে দেখে দুটা কাঠি । দারগা সাব কারো জিনিস নিলে তা যতন করে রাখতে হয় । আপনারা পুলিশ মানুষ অবশ্য অন্য রকম মরা লাশ থেকে টাকা নিতে পারেন । পুলিশ সব পারে- শুধু পারে না পাগল আর কুকুর সামাল দিতে ।।
------------------------------------------------ চলমান ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×