আমরা সবাই সমাজটাকে বদলে ফেলতে চাই কিন্তু নিজেরা একচুল বদলাই না।
চালকের ফিটনেস নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই রাস্তার ফিটনেস নেই এমন কি ফিটনেস নেই পুরো ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনার।
লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি নিয়ে পথেই বা নামে কি করে ওরা?
গাড়ির ফিটনেসের আগে ভাবতে হবে চালকের ফিটনেস নিয়ে। শুনেছি ওদের একটা বিরাট অংশই নেশা করে। এসব মনিটর করা হয় কি কখনো?
প্রতিটা ব্যক্তি এবং পরিবার বদলালে সমাজের চেহারা এই থাকতো? যেহেতু নিজেরা বদলাই না সেইহেতু সমাজও বদলাবে না। চিৎকার করে, মারামারি রক্তারক্তি করে সাময়িক ভাবে কিছু দাবী হয়তো আদায় করা যায় কিন্তু সমাজ বদলানো যায় না।
আমাদের বাচ্চারা আর কোমলমতি কোথায়? রোদ ঝড় বৃষ্টি ক্ষুধা উপেক্ষা করে এখনো রাস্তায়। না--বরং এরা অনেক কষ্ট সহিষ্ণু বলা যায়। অতএব এই বাচ্চারা যদি এখন ঘরে ফিরে প্রত্যেকে তার নিজ নিজ পরিবারটাকে বদলানোর চেষ্টায় নামে তাহলেই কেবল বদলে যাবে সমাজের চেহারা চরিত্র। এভাবে রাস্তায় নেমে রাষ্ট্রকে কে যে সংবাদ সংবেদ তাদের দেবার কথা ছিল সেটি দেয়া হয়ে গেছে। এখন তাদের ঘরে ফেরা উচিত। নিজেদের ঘর-পরিবার পরিচ্ছন্ন করার সময় এটা । এটা তাদের নিজেদেরও গড়ে তুলবার সময়।
শাহবাগের আন্দোলন আমাদেরকে মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু সেই আন্দোলনটাও ভেসে গেছে বন্যার জলের মতো। এখন বাচ্চাদের এই সুন্দর আন্দোলনটাও ভেসে যাবে কারণ আমাদের পরিমিতিবোধটা নেই। আমাদের চলা আছে থামা নেই। কোথায় কখন থামতে হয় আমরা জানিনা। একবার চার ছয় মারা শুরু করলে প্রতিটা বলেই চার ছয় হবে মনে করে পরের বলেই আউট অথবা কট বিহাইন্ড নয়তো লেগ বিফোর উইকেট !
রাস্তায় বাচ্চাদের রক্তমাখা মুখের ছবি দেখে এখনও তিনি কি হাসেন? হাসতে পারেন? একটা পৈচাশিক হাসির মালিক গোটা দেশটা অস্থিতিশীল করে দিল। সরকার বিরোধীরা ওঁৎ পেতে থাকে, থাকবেই। এরকম সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় ওরা থাকবে জানা কথাই। ওরা চাইবে জল আরো ঘোলা হোক--তখন ওদের অনেক সুবিধা। তাই জল ঘোলা করতে ওদের বিভিন্ন মেকানিজম নামিয়ে দেবে--সত্য মিথ্যার সঙ্গমে গুজব ছড়াবে--এটাই স্বাভাবিক। মিডিয়ার পরিচিত মুখগুলো ব্যাবহার করবে এটা তো জানা কথাই। এটাই ওদেরও চরিত্র। কথা হচ্ছে এই সুযোগ ওরা পাবে কেন?
রাষ্ট্রযন্ত্র যে সব দেশে ঠিক ঠাক কাজ করে সেসব দেশে এসব ঘটনা ঘটে না। এখন আমরা রাষ্ট্র চালাই কাদের দিয়ে? ঘুষ কিম্বা বিশেষ বিবেচনা বা অনুকম্পায় যেসব ফিটনেস বিহীন লোক চাকরী পায় ্তারা কিভাবে দেশ চালাবে? চাকরীতে ঢুকেই তাদের প্রধাণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় বিনোয়গকৃত টাকা উদ্ধার। তো তারাও মেতে ওঠে টাকা কামানোর ধান্ধায়--নিয়ম নীতি তখন কেবল কাজির কেতাবি গরু।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২