পোষ্টটি একবার ছেপেছিলাম আমার বাংলা ব্লগে, সামুর পাঠক ব্লগারদের জন্য কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে ছেপে দিলাম।
একদা ব্লগিং করতে গিয়ে সারাদিন, সারারাত কাটিয়ে দিয়েছি শুধু কম্পিউটার মনিটরের দিকে তাকিয়ে, থেমে ছিল না যেমন ব্লগের কমেন্টের উত্তর দেওয়া তেমনি রাজ্যের উৎসাহ উদ্দীপণা নিয়ে নিত্য-নতুন ব্লগ নিয়ে আবারও উপস্হিত হতাম, যদিও প্রথম আলো ব্লগ ফুরোলো ও সেই সাথে নটি গাছটিও মুড়োলো, কিন্তু ব্লগিং কি শেষ করতে পেরেছি? পারিনি, যেমন দুই বছর ধরে সামুতে তেমন ভাল কিছু দিতে পারছি না নিজের দোষে, যদি লেখালিখির চাইতে পড়ার অভ্যাস আমার বেশীই।
মাঝে ব্লগ বা ব্লগিং করা যেনো এক বিপদজনক কিছু করা মনে করছিলো পরিচিতজনেরা, কিন্তু তাদের ভুল ভাঙ্গানোর দায়িত্ব নিজে্কেই নিতে হলো এই বলে যে, ব্লগার বলতেই কেবল উগ্রবাদ বা ধর্ম বিকৃতিকারীদের বুঝানো হয় না। ভালো মানের ব্লগাররা এখনো লিখে যাচ্ছেন যাদের লিখা পড়ে অনেক কিছু শেখার আছে, যাই হউক, পথ চলতে গেলে অনেকের পায়ের উপর পা পড়তেই পারে আর তাই সাবধানী হ্ওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বৈকি।
দেশ চলছে পেট্রল বোমা, ককটেল, হরতাল ও অবরোধের মধ্য দিয়ে, এতে সরকারের প্রচুর টাকা ক্ষতি হচ্ছে যার হিসাব প্রকাশ করে যাচ্ছে সরকার নিজের গরজে, কিন্তু সাধারণ মানুষের যে দূর্ভোগ, হয়রানি এবং কষ্ট, তা কোনো ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না, প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হচ্ছে পুড়ে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ/হাহাজারি, যত শীঘ্রই এসব শেষ না হবে ততদিন আমরা অন্ধকারেই পড়ে থাকবো। পিছিয়ে পড়তে হবে আমাদেরই। যারা এইসব অঘটন ঘটাচ্ছে একদিন জনতার কাঠগড়ায় অবশ্যই তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
আমরা বাংলাদেশে যারা বসবাস করি, তারা বাংলাদেশের কোনো ভাল সংবাদ শুনলে আশায় বুক বাধিঁ, তেমনিই আশার মধ্যমনি হয়ে ধরা দিলো আমাদের প্রিয় ক্রিকেট বাংলাদেশ টিম যারা আমাদের সকল হতাশা থেকে কিছুক্ষনের জন্য হলেও মুক্তি দিয়ে পুুরো জাতিকে আনন্দের সাগরে ভাসিয়েছে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর মধ্য দিয়ে। তাদের এই জয়ে গর্বিত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশের সকল মানুষই। এখন শুধু বাকী রাজনৈতিক সুস্হতা, তবেই কেটে যাবে সকল অমানিষার মেঘ। খুব শীর্ঘ্রই এই ব্যাপারে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পুরো দেশবাসীর কাছে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
সকল পাঠক, লেখক ও সহব্লগারবৃন্ধকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের ব্লগিং, ধন্যবাদ।