somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রুস্কাইয়া ব্লুদা-১৪( রাশিয়ার কিছু জানা-অজানা কথা)বুরান-২

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্রার স্পেস শাটল 'বুরান' সন্মন্ধে তখন জানতামই না ভাল করে। তবুও স্পেস শাটলের অর্থ ততদিনে বুঝেছি খানিকটা- কিন্তু বুরান যে সোভিয়েত যুগের একমাত্র স্পেস শাটল এইটে আমার জানা ছিলনা । আর বুরানে'র এই কপি মহাকাশ যানটা যে বহুবার টেষ্ট ড্রাইভ করেছে সেটাও আমি জানতামটা মোটেও। সেদিন গোর্কি পাকে নতুন একটা কিছু দেখার বাসনা আর খানিকটা এ্যাডভেঞ্চারের আশায় টিকেট কেটে ঢুকে ছিলাম বুরানের পেটে।
বহুদিন আগের কথা, ভুলে গেছি অনেকটা তবুও যতদুর মনে পড়ে বিমানের সিড়ি থাকে ঘাড়ের কাছে কিংবা লেজের কাছটায় কিন্তু বুরানের সিড়ি ঠিক পিছনে। ঠিক বিমানের মত সিড়ি বেয়ে উঠে গিয়ে ঢুকলাম স্পেস শাটল বুরানের মধ্যে।একজন গাইড আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন একটা হলরুমে। সেখানে একটা সিনেমা হলের আদলে বেশ বড়সড় রুম-সামনে একটা বিশাল পর্দা আর সারি বদ্ধভাবে খান ত্রিশেক সিট পাতা। আমাদের অনুরোধ করা হল সিটে গিয়ে বসতে। গিয়ে বসলাম এক কোনায় পছন্দমত সিটটায়। ধীরে ধীরে আরো বেশ ক’জন দর্শনার্থী এসেও বসলেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে। হলঘরের আলো কমিয়ে দিয়ে ছোট্ট একটা ব্রিফিং হল- সবাইকে বলা হল বেশ কষে সিটবেল্ট বাঁধতে।
ব্রিফিং এ যতটুকু বুঝলাম তাতে বেশ একটা থ্রিলিং অনুভব করছিলাম।পরবর্তী চল্লিশ মিনিট আমাদের নাকি মহাকাশে ভ্রমন করানো হবে। ভ্রমনটা যদিও ভার্চুয়াল কিন্তু অনুভুতিটা হবে একদম সত্যিকারের!
আলো নিভাতেই পর্দায় ফুটে উঠল বাইকোনুরের রকেট উৎক্ষেপন পাটাতনের ছবি।সিট বেল্ট বেঁধে অপেক্ষা করছি; কাউন্ট ডাউন শুরু হল –এখুনি আমরা ছুটে যাব দুরন্ত গতিতে আমাদের বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশের পানে।
রকেট বুষ্টারের জ্বালানী পুড়ছে- নির্গত হচ্ছে আগুন আর ধোয়া। বুষ্টারের শব্দে কানে তালা লাগার জোগাড়। ধীরে ধীরে কাঁপছে আমাদের সিটগুলো- কাউন্ট ডাউন শেষ হতেই উর্ধ্বাকাশের দিকে মুখ করে প্রচন্ড বেগে আমরা উড়ে গেলাম ভুমি থেকে শুন্যে।উর্ধ্বাকাশে মুখ করে আছি। সিটগুলো কাপছে গতি আর শব্দের কম্পনে থর থর করে। খানিকটা সময় এভাবে উড়লাম। একটু সময় বাদেই পৃথিবীর চাপাশে ঘিরে থাকা বায়ুমন্ডল ভেদ করার জন্য স্পেস ক্রাফটকে বহন করে নেয়া একজোড়া রকেট বুষ্টার তাদের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ করে ভয়ঙ্কর এক বিস্ফোরন ঘটিয়ে এক ধাক্কায় পাঠিয়ে দিল মহাশুন্যে।
... এরপর সবকিছু খুব বেশী রকমের শান্ত-নিরব নিঃস্তব্ধ। একটুখানি ওজনহীনতা অনুভব করছি। আমাদের বহনকারী স্পেস ক্রাফট ভেসে বেড়াচ্ছে মহাশুন্যে হালকা পালকের মত। বহুদুরে নীচে তাকিয়ে দেখি বিশাল একটা নীল গোলক লক্ষকোটি জীবনের আবাসভুমি আমাদের চিরচেনা এই পৃথিবীটা অচেনা এক রুপ নিয়ে অতি মন্থর গতিতে ঘুরে ঘুরে ভেসে চলছে এই মহাবিশ্বের মহাশুন্যে কোন এক অদৃশ্য পথে- যে পথের দিশা আমাদের এই চর্মচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যাবে অনন্তকাল।
মিনিট দশেকের সপ্নের ভ্রমন শেষে একসময় উল্কাপিন্ডের গতিতে পৃথিবীতে ফিরে এসে রানওয়েতে ঝুপ করে নেমে পড়লাম।
আলো জ্বলে উঠল।পাঠক ভাবছেন কি দারুন একটা ভ্রমন করে আসলাম তাইনা? কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই তেমন ছিলনা।
কেন?বাকি দর্শকদের দিকে তাকালেই একটু আঁচ করতে পারবেন। প্রতিটা দর্শকই কিছুটা বিব্রত – আর বিরক্ত। পরিচর্যার অভাবে সিটগুলোতে মরিচা পড়েছে-কলকব্জাগুলো ঢিলে হয়ে গেছে। রকেটের শব্দের থেকে সিটের ক্যাচ ক্যাচর শব্দ আর অমসৃন নাড়াচাড়া পুরো ভ্রমনটাকেই বিরক্তিকর করেছিল। অতি নিচু মানের সাউন্ড সিস্টেম আর পর্দার উপরে ছবির কাপুনি মনে করিয়ে দিবে সোভিয়েত উত্তর রাশিয়ার দৈন্যতা। কিন্তু দেখুন, সবে দু’বছরমাত্র (এটাকে পার্কে রাখা হয়েছে ১৯৯৫ সালে)এই এক’শ পাঁচটন ওজনের ৩৬ মিটার লম্বা আর চওড়ায় ২৫ মিটার বুরান মহাকাশ যানটা এখানে বসেছে ক্লাউন সেজে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য। পেরেস্ত্রোইকার পরে রুশীয় মর্কট অধিকর্তাদের দ্রুত অর্থ কামানোর এইসব স্থুল কাজকারবার দেখলে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল।
এদের এই চরম মানসম্পন্ন সেবা দেবার জন্যেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা নামতে নামতে প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল।তাইতো আজকে এরা বুরানের কিছুটা নিজেদের জিম্মায় রেখে বাকিটুকু অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য ক্রেতার খোজ করছে।শুধু তাই নয় উনারা আস্ত বুরানটাও বিক্রি করে দেবার জন্য ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে!
কিনবেন নাকি?দাম মাত্র তিন মিলিয়ন ডলার! তারপরেও কেউ কিনতে রাজি নয়। কেননা এর আরেক সহোদরকে কিনে তিন কোম্পানী দেউলিয়া হয়ে গেছে-আর কারো সাহসে কুলোচ্ছেনা নতুন করে দেউলিয়া হবার ভয়ে। দর্শনার্থীর সল্পতার জন্য ৪০ মিনিটের মহাকাশ ভ্রমন কাটছাট করে বিশ মিনিটে নেমে এসেছে।এখন নাকি সেই সিনেমা হল ভেঙ্গে রেস্টুরেন্ট করছে!
আর ওদিকে ২০০০ টন ওজনের আট মিটার চওড়া বুরানের রকেট বুস্টার বায়কোনুরের এক হ্যাঙ্গারে স্থবির হয়ে উর্ধ্বাকাশে মুখ করে দাড়িয়ে আছে। সে আর উড়বেনা কখনো সোভিয়েতদের গর্ব স্পেস শাটল বুরানকে পিঠে করে।
১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্টের এহেন করুন দশা দেখে মনে কষ্ট লাগে ভীষন।
কি আর করার? এমন একটা মহা বিরক্তিকর মহাকাশ ভ্রমন শেষে মন খারাপ এরপরে ঘুরে ঘুরে দেখলাম পুরো বুরানটা। শুধু যন্ত্রপাতির সাড়ি দেখতে দেখতে যান্ত্রিক এই লোহার খাচার মধ্যে দম আটকে আসছিল।তবুও কিছুটা মজা পেলাম ককপিটে মহাশুন্যচারীর সিটে বসে। সেখানে বসে নিজেকে যেন ইউরি গ্যাগারিন মনে হচ্ছিল। রাশিয়া তখন পোলারয়েড ক্যামেরার রমরমা বাজার। সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছে পঙ্গপালের মত আর তাদের পিছনে পিছনে ছুটছে। সেই অতি মহার্ঘ্য ক্ষনকে ক্যামেরা বন্দি করে রাখার জন্য পোলারয়েড ক্যামেরা হাতে ফটোগ্রাফাররা। সেদিন আমরাও খান কয়েক ছবি তুলেছিলাম বুরানের ককপিটে বসে।
ফিরে আসার পথে সবাইকে একটা করে অতি সস্তা ধাতুর তৈরি একটা করে স্বারক মুদ্রা উপহার দেয়া হল যেটায় লেখা আছে ‘অরবিটালনি কারাব্বল ‘বুরান’(স্পেস শাটল’বুরান) ১৫ই নভেম্বর ১৯৮৮।
তবে হ্যা সেই সময়ে প্রতিদিনের জন্য একগুচ্ছ করে স্মারক মুদ্রা তৈরি করা বেশ ব্যায় সাপেক্ষই ছিল।
বুরান ছাড়া আরো যেসবমহাকাশ যান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল সোভিয়েত কতৃপক্ষ, তার মধ্যে সবার আগে আসে পিচকা'র কথা;
দ্বীতিয় মহাকাশযান ‘পিচকা’যেটার প্রায় ৯৭ ভাগ কাজ হয়ে গিয়েছিল সেটার কাজ ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।পিচকাকেও গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে ‘বাইকোনুরে’। যদিও এর সত্যিকারের অবস্থা ও অবস্থান কেউ বলতে পারে না তবে বিশ্বাস করা হয় যে এর অবস্থা এখনো তুলনামুলকভাবে ভাল আছে। আর ৫০-৬০ ভাগ তৈরি হওয়া তৃতিয় মহাকাশ যান’বৈকাল’ অবস্থা আরো খারাপ । সেটা নাকি কোন এক মোটর গ্যারেজের পিছনের উঠোনে চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। পাঠক এই মহাকাশগুলো সন্মন্ধে ভয়ঙ্কর কিছু সত্য জানতে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন;
For those, who wondered “Where did all the three Russian shuttles go?”. One has been found on the backyard of some repairing shop.
Click This Link
চতূর্থটার যন্ত্রপাতি আর তাপনিধরোক টাইলস শেষ পর্যন্ত ইন্টার নেটে বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে। পঞ্চমটারও কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু সেটারও অবস্থা তথৈবচ! সেই মহাকাশ যান তৈরির কারখানা এখন তৈরি করে বাস,সিরিঞ্জ আর বাচ্চাদের ডায়াপার!!!
এবার আসি সেই মুল বুরানে’র কথায় যেটা একবার মাত্র সফল মহাকাশ ভ্রমন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরন করে সোভিয়েতদের গর্ব করার মত একটা উপলক্ষ্য এনে দিয়ে ছিল সেই মহাকাশ যানের শেষ পরিণতির কথা;
প্রথমে চরম অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় এটা পড়ে ছিল বাইকোনুরের(মহাকাশযান তৈরি আর উৎক্ষেপনের স্থান নির্ধারন ছিল কাজাকস্থানের ‘বাইকোনুরে’। যাকে বলা হয় Baikonur Cosmodrome বা বাইকোনুর রকেট বন্দর।) নিভর্জন নিভৃত এক স্থানে খোলা আকাশের নীচে-সূর্যের তাপ বৃষ্টি আর বরফ থেকে একে রক্ষা করার জন্য সামান্য এক খন্ড কাপড় দিয়েও একে মুড়িয়ে রাখা হয়নি।সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে ভাগ হয়ে গিয়ে কাজাকস্থান চরম দারিদ্রতায় নিপতিত হয়। যেখানে একটা জাতির শুধু আহার্য্য সংগ্রহই কঠিনতর হয়ে দাড়ায় সেখানে এইসব শ্বেত হস্তি তা হোক তার বিশাল ঐতিহাসিক মুল্য সেগুলোর ঠিকমত দেখভাল ও পরিচর্যা করার সামর্থ তাদের ছিলনা । রাশিয়ার নিজের-ই তখন টালমাটাল অবস্থা !সেই সময়ে রুশীয় সরকারের এই নিয়ে ভাববার সময় বা সামর্থ ও ইচ্ছা কোনটাই ছিলনা।তবুও তারা অল্প বাজেট বরাদ্দ করে সেই প্রজেক্টটা ঠেকিয়ে রাখতে চেয়েছিল । দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকার পরে-কতৃপক্ষ অনিচ্ছা সত্বেও শুধু ঐতিহাসিক গুরুত্ব চিন্তা করে একে নিয়ে রাখা হয় বাইকোনুর কসমোড্রমের এক হ্যাঙ্গারে এপ্রিল ২০০২তে।এর ঠিক মাসখানেক বাদে সে বছরের শীতের তুষারের ভার আর প্রচন্ডবেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের চাপ সইতে না পের অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা পরিচর্যাহীন চরম জরাজীর্ন সেই মহাকাশযানের হ্যাঙ্গারের ছাদ ১২ই মে ২০০২ সালে ভেঙ্গে পড়ে ‘বুরানে’র যান্ত্রিক দেহকে চিরতরে ভুমির সাথে মিশিয়ে দেয়-এই দূর্ঘটনা অকালে প্রান কেড়ে নেয় সেখানে কর্মরত আটজন কর্মীর।
যদিও বরাবরই রাশিয়ানারা অল্প বাজেট বরাদ্দ করে সেই প্রজেক্টটা ঠেকিয়ে রাখতে চেয়েছিল – কিন্তু অপ্রতুল অর্থ, চরম অব্যাবস্থাপনা আর তাচ্ছিল্য শেষ পর্যন্ত ধ্বংস ডেকে আনে সোভিয়েত যুগের গর্ব অহংকার শৈর্যের প্রতীক আর মহাকাশ বিজ্ঞানে তাদের চরম উৎকর্ষের সেই সাক্ষী রুশ ভাষায়’বেদনী বুরান’এর বাংলা দরিদ্র ঠিক মানায় না -বেচারা বা দুর্ভাগা শব্দটাই মানানসই হবে। সেই দূর্ভাগা‘বুরান’সহ একটা অধ্যায়ের চির সমাপ্তি।
ফের ফিরে আসি স্করপিওনের সেই গানের কথায়’
'Listening to the wind of change...magic of the moment'
'সোভিয়েত ইউনিয়নের সেই পরিবর্তনের ছোয়া কিংবা পরিবর্তিত হাওয়া আর জাদুকরী মুহুর্ত ‘বুরানে’র মত এইরকম শত সহস্র প্রজেক্টের অনিবার্য ধ্বংস ডেকে এনেছে।
সোভিয়েত স্পেস শাটল বুরানের দ্বীতিয় অংশ শেষ।আগের পর্বের জন্য;http://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29681659
ছবি(বা থেকে ডানে); গোর্কি পার্কে রাখা স্পেস শাটল বুরান।বুরানের ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের জন্য স্যুভেনির কয়েন( আমার সংগ্রহের) আর সোভিয়েত স্পেস শাটল পোগ্রামের অন্যতম মহাকাশ যান বৈকালে'র বর্তমান চিত্র।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২১
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×