somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্ট্রিচ :| ৯০ বছরের পুরানো এক রকেট (স্টিমার) এর ছবিব্লগ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন আগে দেশের সবচেয়ে বড় লঞ্চ ''কীর্তনখোলা ২'' উদ্বোধন করা হয়েছে। এই লঞ্চটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ। ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে যেতে লঞ্চের গুরুত্ব অপরিসীম। সুন্দরবন, সুরভি, কীর্তনখোলা, সাগর এরকম অনেক লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে যাতায়াত করে। সরকারি মালিকানাধীনও কিছু নৌ
যান (স্টিমার) আছে, যেগুলো ''রকেট'' নামে পরিচিত।



বহু আগে থেকেই ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে নৌযানই বেশি জনপ্রিয়। ব্রিটিশ আমলে বেসরকারি বিলাসবহুল লঞ্চের ব্যবস্থা না থাকলেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলত বিশেষ স্টিমার। এই সার্ভিস এখনো টিকে আছে নিরাপত্তা, আভিজাত্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে। স্টিমারকে বলা হয় নদীর রাজা। রাজকীয় ঢঙে পানি কেটে এগিয়ে চলে নিজস্ব গতিতে। ঘাট ছেড়ে যাওয়ার সময় বা ঘাটে থামার আগে বনেদি আওয়াজ তুলে ভেঁপু বাজায় স্টিমার ।
নামের মধ্যেও আছে খানদানি ভাব। গাজী, অস্ট্রিচ, লেপচা, শেলা, টার্ন ইত্যাদি। এ ছাড়া আবদুল মতিন, মনিরুল হক, মাহসুদ_এমন নামও আছে কোনো কোনোটির। সবই বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডবি্লউটিসি) পরিচালনা করে এসব স্টিমার। গাজী এখন নেই। কয়েক বছর আগে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে এখনো গাজীর কথা ভুলতে পারেননি যাত্রীরা। গাজী তৈরি হয়েছিল ১৯২৯ সালে। একই বছর তৈরি হয় পিএস মাহসুদ ও পিএস অস্ট্রিচ। এ দুটি সচল আছে। এমভি লেপচা ১৯৩৮ সালে, ১৯৫০ সালে এমভি টার্ন, ১৯৫১ সালে এমভি শেলা তৈরি হয়। উপকূলীয় সার্ভিসে থাকা আবদুল মতিন ও মনিরুল হক তৈরি হয় ১৯৫০ সালে।

যাইহোক, আজ আমি ৯০ বছরের পুরনো ষ্টীমার ''অস্ট্রিচ'' এর কিছু ছবি এ পোস্টে তুলে ধরব। অস্ট্রিচ এখনও ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করে। এটি ১৯২৯ সালে কলকাতার একটি শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়, সরকারি মালিকানাধীন এ স্টিমারটি আজও সচল অবস্থায় আছে।



ঢাকা থেকে রকেট গুলো বাদামতলি রকেট ঘাট থেকে ছাড়ে। আমি এই রকেট ঘাট থেকেই ''অস্ট্রিচ'' এর ছবি গুলো তুলেছি।


নেম প্লেট :|


নেম প্লেট একটু দূর থেকে :|


এটি বাবুবাজার ব্রিজ থেকে তোলা, বাবুবাজার ব্রিজের একটু পাশেই বাদামতলি রকেট ঘাট অবস্থিত। :|


ব্রিজের উপর থেকে সন্ধ্যার সময় তোলা, তাই অন্ধকার :(


অস্ট্রিচের ছাদে ঝুলন্ত নৌকা, বিপদের সময় ব্যবহারের জন্য :|


পাশ থেকে অস্ট্রিচ :|


প্রবেশদ্বার :|


বারান্দা ও স্টিমারের চাকা :|


চাকা :|


সামনের লাইট :|


ডেক ও দোতালায় ওঠার সিঁড়ি :|


নীচতলায় ইঞ্জিনের করিডোর :|


এটি ইঞ্জিন, ৯০ বছর ধরে যা চলছে, বেলজিয়ামের শক্তিশালী ইঞ্জিন এতে সংযুক্ত রয়েছে :|


ইঞ্জিন :|


অস্ট্রিচের অগ্রভাগ, যেখানে লাইট ও অন্যান্য যন্ত্র রয়েছে :|


লাইট :|


নিচতলার ডেক, এর বাম পাশে ছোট্ট এক দোকান আছে, কিন্তু কিছু লোক ওখানে গঞ্জিকা (!) খাচ্ছিল বলে ছবি তুলি নি :|


বুড়িগঙ্গা নদী ও উপরে ওঠার সিঁড়ি :|


সিঁড়ি ও বুড়িগঙ্গা :|


বুড়িগঙ্গার পাড়ে অস্ট্রিচ :|


প্রবেশ পথ :|


প্রথম শ্রেণীর বারান্দা (দোতালায়) :|


প্রথম শ্রেণী :|


পেছন দিক :|


পেছন দিক, এটি সম্ভবত ঘাটে বেধে রাখার দড়ি :|


দোতালার ডেক (নিচতালার থেকে ভাল) :|


বয়া :|


দ্বিতীয় তলার ডেক :|


কাঠের তৈরি ফ্লোর :|


সিঁড়ি :|


বৃদ্ধ অস্ট্রিচ আজও সচল :|


সম্মুখভাগ, নৌকা থেকে তোলা, ঝাপসা হয়ে গেছে :(


সামনের দিক :|


বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ থেকে নৌকায় তোলা :|


বাবুবাজার ব্রিজের উপর থেকে তোলা :|


ছাঁদ ও চাকা :|


ছাঁদ ও সম্মুখভাগ :|


অস্ট্রিচ অস্ট্রিচ :|


আমার পোস্টটি ফুরাল
নটেশাকটি মুড়াল


> সকল তথ্য এখান থেকে সংগৃহীত :|

কষ্ট করে আজাইরা পোস্টটি দেখার জন্য ধন্যবাদ :|
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×