বহু প্রতিক্ষিত ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বেলা না ডুবতেই ভোট জালিয়াতি , ভোট কারচুপি , সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা এবং কোন কোন কেন্দ্র ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা ঘটে গেলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই সিটিতে । ভোট কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করলো । কেনইবা করবে না ? ভোট কেন্দ্র থেকে তাঁদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে আলীগ সমর্থিতরা গেরে বসেছেন কেন্দ্র গুলোতে । পুলিশ এক্ষেত্রে নির্বাক । আর নির্বাচন কমিশনতো এক্কেবারেই বোকা মফিজ বনে গেছে । বলি , মাঠে সেনা থাকলে কি এসব হতো ? আলীগ এই নির্বাচন নিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে । কেননা তাঁরা মাঠে তাঁদের নিয়ন্ত্রীত পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ দিয়েছে । " ওদিকে ঘটছে মারামারি আর, পুলিশ এদিকে খাচ্ছে ঝালমুড়ি " । এই হচ্ছে পুলিশের কাড়বার । পুলিশের তীব্র ঘুষ প্রবণতার কারণে সাধারণ জনগণ পুলিশের উপর আস্থা কবেই হারিয়েছে ফেলেছে , তা আর বলতে ! সেনাদের উপরিই জনগণ বেশী আস্থাশীল । আর অন্যদিকে বিরোধী দলও সেনা থাকলে কাজকর্ম সুন্দর করেই করতে পারে । কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাশীন দল আলীগ সেনাদের দু চোখ্যেই দেখতে পারে না । আলীগ সেনাবাহিনীকে কেন এতো ভয় পায় তা কেবল তাঁরাই জানেন । বিগত সরকারের আমলে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রেই দেখতাম সেনা মোতায়ন । যার দরুণ ভোট কেন্দ্রে কোন আসুবিধাই দেখতাম না । কিন্তু এ সরকারের আমলে কি দেখছি এসব ? পুলিশ বাহিনীর কথা বাদই দিলাম কারণ যে সরকারই আসুক তাঁরা সেই সরকারেরই গোলাম । অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনতো পুতুল বনে গেছে । সরকারের যেটাতেই ভালো তাঁরা সেটাই করছে । সেনা নামানোর কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়ালেন আমাদের নির্বাচন কমিশনার । আসলে এভাবে যদি চলতে থাকে তবে বিরোধীদল আরো হিংস্রতায় পরিণত হবে । কেননা তাঁদের কোন কথা , কোন ইচ্ছাই সরকার দল আলীগ কর্ণপাত করছেন না । বিরোধীদের সভাসমাবেশে করতে বাঁধা দিয়ে বিরোধীদের মনোভাবকে আরো উস্কে দিচ্ছেন বর্তমান ক্ষমতাশীন দলেরা । এভাবে যদি চলতে থাকে তবে দেশে কি আদৌ শান্তি শব্দটি টিকে থাকবে ? দেশের মানুষকি স্বাধীনভাবে রাস্তাঘাটে চলতে পারবে ? আমার মতে শতোভাগই উত্তর না , না এবং না । তাই সরকার দলীয়কে বলতে চাই আপনারা বিরোধীদের সামান্যতম হলেও তাদেরকে তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না । অযথা মামলা দেখিয়ে বিরোধীদের হয়রানি না করে তাঁদেরকেও কিছু বলার সুযোগ দিন । কেননা তাঁরাও হয়তো একদিন ক্ষমতায় আসবেন । তাঁরাও যদি আপনাদের মতো এরকমটি করে তো তখন কি বলবেন ?
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন