somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাগ্রত হোক মনুষ্যত্ব, ফিরে আসুক সুস্থ মেহেদী

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






আপডেট : আমাদের কাঁদিয়ে মেহেদী মারা গেছে! সবাই তার বিদেহী আত্বার জন্য দোয়া করবেন।

আপডেটঃ মেহেদীকে সাহায্য করার ফান্ডে এখন পর্যন্ত কালেক্ট হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার মতো , ভারতের টাটা মেমোরিয়ালে নিয়ে যাবার জন্য দেরী হচ্ছে ভিসা জটিলতার জন্য । এই ব্যাপারে কেউ সাহায্য করতে চাইলে মেহেদীর বন্ধু শাহীনের নাম্বার পোষ্টে দেয়া আছে , তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন , সে এই ব্যাপারে কাজ করছে । সবার সার্বিক সহযোগীতা কাম্য

আপডেটঃ
মেহেদীকে আগামী বুধবার ভারতের মুম্বাইতে টাটা মেমোরিয়ালে নিয়ে যাওয়া হবে ,ভিসা পাওয়া সাপেক্ষে। এখন পর্যন্ত মেহেদীর বন্ধুদের প্রচেষ্টায় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মতো কালেক্ট করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল । আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার মতো লাগবে সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাহায্য পারে মেহেদীকে বাচাতে ।

আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার আমিনুর রহমান ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে ছোট্ট বাচ্চা রুশানের হেল্প ক্যাম্পে কাজ করতে গিয়ে । তারপর থেকে বিভিন্ন সময় মানুষটা আপনাদের কাছে নানা আবদার নিয়ে এসেছেন , কখনো শীতার্ত মানুষের সাহায্যার্তে , কখনো কোন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া সৈনিকের পাশে দাড়ানোর আকুতি নিয়ে । এই ব্লগের ব্লগাররা ও সানন্দে এসে পাশে দাড়িয়েছেন । সর্বশেষ আমার মনে পড়ে ব্লগার আলম দীপ্রের দৃষ্টি আকর্ষন পোষ্টে আমরা জানতে পারি চট্ট্রগ্রামের সেতু ভাই এর কথা , পরে আমিনুর ভাই এর উদ্যোগে তার বই বিক্রি করে তাকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নামি আমরা । ব্লগাররা অনেক বই কিনেছেন , আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে সেতু ভাই চলে গেছেন অনেক দূরে ।
আমার বন্ধুপ্রতীম ছোট ভাই মেহেদী হাসান (মৃদুল) মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে । এই খবরটা যখন আমি পাই , সাথে সাথে ভাবলাম আমিন ভাই সুস্থ থাকলে আমিন ভাইকে বললে উনি কিছু একটা করতে পারতেন । কিন্তু উনি নিজেই তো এখন আই সি ইউতে । তবে কি আমি থেমে যাবো ? তাই এবার আমি নিজেই দাবী নিয়ে এসেছি , মেহেদীকে বাঁচানোর দাবী ।
তার বন্ধুদের লড়াইয়ে আমরা ও সামিল হতে পারি । নিচের অংশ টুকু তাদেরই আকুতি ।

মেহেদী হাসান (মৃদুল)

.. একজন যোদ্ধার নাম! একাকী যোদ্ধা।

যে যুদ্ধ করে, সেই তো যোদ্ধা। সে যুদ্ধ করছে ধেয়ে আসা নীরবতার সাথে, সে যুদ্ধ করছে ধেয়ে আসা শীতলতার সাথে। কি ভয়াবহ একা সে!

আগে কখনো বুঝিনি ক্যান্সার রুগীর অনুভূতিগুলো কেমন হয়। বন্ধুর অনুভূতিগুলো চিনি বলেই এখন একটু একটু বুঝতে পারি। বুঝতে পারি যে, প্রতি মুহূর্তে সে একটু একটু করে ভাঙছে। ভাঙতে চাইছে না, যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙছে।

বুকে জড়িয়ে বলতে চাই ভেঙে যাস না রে। আমরা আছি না !

মেহেদী এখন ঢাকার মহাখালীতে ‘ক্যান্সার হসপিট্যালে’ চিকিৎসারত অবস্থায় আছে। তার চিকিৎসার জন্য মোটামুটিভাবে ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনভাবেই এই চিকিৎসাভার বহন করা সম্ভব নয়। কিন্তু একের বোঝা দশের লাঠি।

কিছুদিন আগেই ধরা পড়ে রোগটি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। কুষ্টিয়ার বেশ কিছু কোচিং সেন্টারেও মেহেদী ইংলিশ ক্লাস নিতো। অনেকেই ওকে বেশ ভালোভাবেই চেনে। বেশ হাস্যজ্জ্বল একটা মুখ। চোখ বন্ধ করলেই যেন দেখি মেহেদী আমাদের চায়ের আড্ডায় হাসির রোল বইয়ে দিচ্ছে।

মেহেদী আমাদেরই কারোর বন্ধু, কারোর বড় ভাই আবার কারোর ছোট ভাই। আপনজনের এমন বিপদে ভেতরে আসলেই একটা চিনচিন ব্যাথা আসে। আমরা সমস্যায় পড়লে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি আর এমন কারোর কাছেই যাই, যার কাছে হয়ত আমরা সাহায্য পেতেও পারি। ঠিক এমনই অবস্থায়.. মৃদুলের বাবা আমাদের কাছেই এসেছিলেন। কারণ তিনি জানেন, তার পরিবার এই চিকিৎসাভার বহন করতে অক্ষম। কিন্তু নিজে বাঁচতে আর নিজের কাছের মানুষদের বাঁচাতে কি মানুষ চায় না?

... অবশ্যই চায়; আমরাও চাইই!

মেহেদীর মেডিকেল রিপোর্টের স্ক্যান কপিঃ






সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম;
bKash: 01722-636417 (শিশির, মেহেদীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু)।

ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার: 01722-636417-9 (শিশির)

যোগাযোগের জন্য: 01722-636417(শিশির) এবং 01677-138838 (শাহিন, মেহেদীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু)।

#মেহেদীর বাবার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নং:-

মোঃ রওশন আলী (মেহেদী ভাইয়ের বাবা)
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৮৯৫৯
অগ্রণী বাংক
আলমডাঙ্গা শাখা
আলমডাঙ্গা
চূয়াডাঙ্গা ।

DBBL Account :-
Md. Eaqub Ali
Account No:- 168.101.15860
Kushtia Branch, DBBL..

অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত:-
"ইবির মেধাবী ছাত্র মেহেদী বাচতে চাই"
http://lekhapora24.com/?p=22021


ইবির মেধাবী ছাত্র মেহেদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
Click This Link
http://www.timesnews24.com/07/01/2015/688631
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.priyo.com/2015/01/08/127401.html

পিসি থেকে দেখেন

Click This Link

ফেসবুকে খোলা ইভেন্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
৬৮টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×