somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরু আর আমার এক জোড়া কবুতর

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল থেকে কেমন নির্ভার বসে আছি!
চারিদিকে সোনাঝরা রোদ,
বাইরে পাড়ার ছোট ছোট ছেলে পেলেরা দলবেধেঁ খেলছে...
হই হুল্লোড়েরর শব্দ কানের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে...
আমার সামনে দিয়ে একটা কবুতরের সাদা কালো পালক খুব ধীরে ধীরে হেলে দুলে উড়ে এসে পড়ল।


পালকটি দেখে আজ অনেকগুলো বছর পর অরুর কথা মনে পড়ে গেল।

অরুর সাথে ছয়টি বছর হেসে খেলে বেড়িয়েছি।
শ্যামলা বরন মেয়েটার কালচে ঠোটেঁ এক চিলতে হাসি সব সময়ই লেগে থাকত। সেবার বইকুন্ঠের মাঠে দুর্গাপূজোর মেলা বসেছিলো বিরাট। বুবুর কাছে বায়না ধরেছিলাম এক জোড়া কবুতর কিনবো বলে। বুবু আমাকে দশটাকা দিয়ে বল্ল - "দেখে শুনে রাখিস কিন্তু।" আমি বল্লাম- "সে আর তোমাকে বলতে হবে না।"
আমি অরুকে সাথে নিয়ে মেলায় চলে গেলাম কবুতর কিনতে। অনেক দেখে শুনে অরুই আমাকে দুটো কবুতর পছন্দ করে দিলো। গিরিবাজ না কি যেন জাতের ছিলো ওটা। ছাতার এত বছর পর কি আর মনে থাকে?

বাড়ী ফিরলাম দুজনে নাচতে নাচতে। কবুতর হলো আমার! আর অরু আল্হাদে বাচেঁ না! "জানিস দাদা, কবতুর না এটা খায় বেশী, ওটা একদমই পছন্দ করে না। আর এই ছোট্ট খাচায়ঁ তোর কবুতর তো দম বন্ধ হয়েই মারা যাবে। খুব বড় দেখে একটা খোপ বানাবি, বুঝলি? আর প্রথম ডিমটা কিন্তু তুই আমায় দিবি, আমি শো কেসে সাজিয়ে রাখব, মনে থাকবে তো?" আরো কত কথা। সারা রাস্তা আমার কান ঝালাপালা।

ও আমার হাত থেকে নিয়ে খাচাঁটা বারবার উল্টে পাল্টে দেখে। একসময় মন খারাপ করে বলে - জানিস, বাবাকে বলেছিলাম এরকম দুটো কবুতর কিনে দিতে, মেলা শেষ হয়ে গেলে এত সস্তায় আর পাওয়া যাবে বল?
- তা জেঠা মশাই দিলেন না কেন?
- দেবে কোথা থেকে? ঘরে খাবার চালই তো নেই! দশটাকা দিয়ে তিন দিন পেট পুরে খেতে পারি আমরা !" বিষন্ন হয়ে গেল অরুর হাসি খুশী মুখটা।

- ও।

বাড়ী এসে বুবুকে দেখালাম। বুবু খুব খুশী হলো। আমি এক গাল হেসে বুবুকে বল্লাম, "বুবু, অরুকে নাকি প্রথম ডিমটা দিতে হবে। ও নাকি শোকেসে সাজিয়ে রাখবে। কবুতরের জ্যান্ত ডিম কেউ কখনো শো কেসে সাজিয়ে রাখে বলো?"

বুবু হেসে ওকে বল্ল- "কিরে বোকা মেয়ে? সত্যিই কি তাই বলোছিস?"

ও খুব লজ্জা পেল! মাথা নিচু করে ফেলল।

কয়েকদিন পর মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। হঠাৎ অরু এসে আমাকে ডাক দিয়ে নিয়ে গেল। বল্ল সে নাকি কি বাজে একটা স্বপ্ন দেখেছে আমার কবুতর দুটোকে নিয়ে। বাসায় এসে খোপের ভেতর থেকে ও দুটোকে বের করে বুকে জড়িয়ে ধরল অরু। কবুতর দুটোর নামও দিয়েছিলো ও। ভুলে গেছি। হঠাৎ আমায় বল্ল - "তোর কবুতর দুটোকে কি আমায় দিবি দাদা? আমি তোকে আস্তে আস্তে দশটাকা শোধ করে দেবো।"

আমি মাথা ঝাকালাম। বল্লাম - আচ্ছা।

তারপর কতদিন কেটে গেল। কতগুলো বছর। আমি বিলেত চলে গেলাম পড়তে। যাবার আগে অরু আচলে মুখ চাপা দিয়ে বল্ল - "চিঠি দিবিনে?"

- হুমম, দিবো।
- বিলেতি মেম দেখে আমায় ভুলবি না তো?
- না, ভুলব না।
- ঠিক মনে রাখবি তো?
- হুমম, রাখব।

বাবা চেয়েছিলো ব্যারিস্টারি পড়াতে। বাবার ইচ্ছা পূরনে এমন জোরে সোরে লাগলাম যে দেশে চিঠি লিখার ফুসরৎ টুকুও পেতাম না।
একদিন হঠাৎ অরুর চিঠি পেলাম। ঠিকানা কোথায় পেয়েছে কে জানে। মনে হয় বুবুর কাছ থেকে নিয়েছে।
গোটা গোটা মেয়েলি অক্ষরে লিখা। সারমর্ম হচ্ছে যে - সে আমাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত, আমি কবে না যেন এক বিলেতি মেম বিয়ে করে দেশে এসে হাজির হই। আর কবে আমি দেশে আসবো? আমার কথা খুব নাকি মনে পড়ে।

চিঠি পড়ে খুব একচোট হাসলাম। সাথে সাথে জবাব লিখতে বসে গেলাম। লিখলাম- "অরু, তুই এখনো ছোট্টটিই আছিস। তাই বিলেতি মেম না, তোর জন্য বরং একজোড়া বিলেতি কবুতর নিয়ে আসবোখন।"

চিঠি তো লিখলাম ঠিকই, কিন্তু পড়াশুনার চাপে সেটাকে আর পোস্ট আপিসে দিয়ে আসার সুযোগ পেলাম না। পড়ার টেবিলেই খামে বন্দী হয়ে পড়ে রইল কয়েকটা মাস।
এর ভেতর একদিন দেশ থেকে বাবার চিঠি। মা বেশ অসুস্থ্য। আমাকে দেখতে চান। অথচ দুমাস পরেই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। ভাবলাম, মা আগে। মার কিছু হয়ে গেলে কি হবে এত লেখাপড়া করে? তাই এক সপ্তাহের ভেতরই মার সামনে গিয়ে হাজির হলাম। মা আমাকে দেখেই যেন অর্ধেক ভাল হয়ে গেলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে কপালে কত চুমু! একমাত্র ছেলে বলে কথা!

এক ফাকেঁ বুবুকে বল্লাম - "বুবু, অরু কোথায়? ওকে দেখছি না যে!"
- কেন, তুই কিছু জানিস না নাকি?
- কই? না তো?
- অরুর বিয়ে হয়ে গেছে।
- ও... কবে হয়ে গেল?
- তা প্রায় মাস চারেক তো হবেই।

আমি চুপ করে বসে রইলাম দাওয়ায়। বুবু আমাকে এসে আনমনে বল্ল- খুব কেঁদেছিলো মেয়েটা। বাবাও নিষেধ করেছিলো জ্যাঠা মশাইকে। শুনলো না কারো বারন। তার ই বা দোষ কি? অভাবের সংসার! একটা মুখ কমলেই অনেক!

আমি কিছু বল্লাম না। চুপ করে শুনে গেলাম। এক সময় উঠে আমার কবুতরটির খোপের কাছে গেলাম। জাগাটা শূন্য ছিলো। অরুকে খোপসহ দিয়ে দিয়েছিলাম। বেচারীর তো কবুতর কেনারই সার্মথ্য ছিলো না। খোপ আবার কই পাবে? তাছাড়া আমার কবুতর না থাকলে আমিই বা খোপ দিয়ে কি করব? সাথ পাছ ভেবে দুটোই ওকে দিয়ে দিয়েছিলাম।

রাস্তায় একটা হাড় জির জিরে মেয়েকে দেখলাম উঠোনে বসে চালের খুত বাছছে। আমার দিকে তাকিয়ে লাফিয়ে উঠল। দাদা বলে চেচিয়েঁ উঠে আমায় বুকে জড়িয়ে ধরল! আমি তো হতভম্ব!! এই মেয়েটা যে আমাদের অরু, সেটা বুঝতে খানিকটা সময় লাগল। আমায় বল্ল- তুই তো অনেক শুকিয়ে গেছিস রে দাদা!
- আর তুই বুঝি খুব গাট্টা গোট্টা হয়েছিস তাই না?
- "তা তোর বিলেতি মেম কই?" অরুর চোখে দুষ্টুমির হাসি।
- হ্যাঁ, বিলেতী মেমদের তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই! আমার সাথে আসার জন্য তৈরী হয়ে বসে আছে, তাই না?
- "তাহলে আমার বিলেতী কবুতর?" অভিমানি মেয়ের মত আবদার করল।
- আমি তো পড়া শেষ করে আসিনি রে! মাকে দেখতে এসেছিলাম। তাড়া না থাকলে তোর জন্য একটা কিছু আন্তে পারতাম।
- লাগবে না আমার কিছু্। তুই যে এসেছিস, এতেই আমি ঢের খুশী!

অরু মৃদু হাসল। চেয়ে দেখলাম, চোখের নীচে কালি পড়ে গেছে। কত রাত ঘুমায় না, কে জানে!

- অরু, তুই কেমন আছিস?

অরু অনেকক্ষন চুপ করে রইল। তারপর বল্ল, "ভেতরে আয়। মুড়ি আর গুড় এনে দিচ্ছি! বসে বসে খা। বিলেতী ছাইপাশ খেয়ে শরীরের যা হাল করেছিস!"

এমন সময় ভেতর থেকে এক মহিলা এসে কড়া গলায় ধকম দিলো ওকে - "বিলেত থেকে চাচাত ভাই আসলেই বুঝি অমন আদিখ্যেলেপনা দেখিয়ে বুকের উপর ঝাপিয়েঁ পড়তে হবে? বলি, আমরা কি স্বামীর ঘর করিনি? কলি কাল কি এত জলদি জলদিই এসে পড়ল নাকি রে বাপু!! ছি ছি ছি!! লজ্জায় মরে যাই। এই দেখার আগে আমার মরন হলো না কেন?"

অরুকে দেখলাম ওর মুখ শুকিয়ে গেছে ভয়ে! আমি বল্লাম- অরু, আজ থাক, আরেকদিন আসবখন। "

- "বিলেত থেকে আসলেই বুঝি চাচাত বোনের সাথে অমন রং ঢং করতে হয় বুঝি? বিয়ে হতেই এই অবস্থা। বিয়ে না হলে যে কি হতো, মাবুদ জানে।

আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেল। কিন্তু অরুর কথা ভেবে আমি আর কথা বাড়ালাম না। ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেমন আছে? ও উত্তর না দিলেও উত্তরটা পেয়ে গেছি আমি।

আরো সপ্তাহ খানেক থেকে ফিরে গেলাম বিলেত। পড়াশুনার চাপে আবার সব কিছু ভুলে গেলাম। পড়া শেষ করে দেশে এলাম মাস ছয়েক পর। অরুর নাকি ততদিনে ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে। অরুকে বল্লাম- "তুই দিনে দিনে এত শুকাচ্ছিস কেন? খাস না কিছু?"

আবার সেই হাসি। কোন কথা বল্ল না। ওর মেয়েটাকে কোলে নিলাম। আদর করে দিলাম। ওর দজ্জাল শাশুড়িরর কথা ভেবে অরুর জন্য কিছু আনিনি বিলেত থেকে। পকেট থেকে তিনটা পাচশঁ টাকার নোট বের করে ওর মেয়েটার হাতে গুঁজে দিলাম। অরু বল্ল- কি করছিস? আমি বল্লাম - "ভাল মন্দ কিছু রেধেঁ খাস। আর ভাল দেখে একটা শাড়ী কিনে নিবি। তালি দিয়ে দিয়ে আর কয়দিন চলবি?"

চলে এলাম ওর কাছ থেকে। চলে এলাম না বলে পালিয়ে এলাম বলাই ভাল হয়ত। শহরে এসে একটা দপ্তর খুলে বসলাম। দুদিনেই রীতিমত পসার জমে উঠল। চারিদিকে বেশ নাম ডাক আমার। ঢাকায় এসেছি তখন বেশ কবছর হয়ে গেছে। মা বাবা নাকি আমার জন্য পাত্রী খোজাঁ শুরু করেছে। প্রায় প্রতিদিনই একটা না একটা টেলিগ্রাম পাঠান মা, সেই সাথে কোন না কোন মেয়ের ছবি। সে এক যন্ত্রনা বটে!

এরি মধ্যে হঠাৎ গ্রাম থেকে একদিন বুবুর টেলিগ্রাম। অবাক হলাম। ভাবলাম, বুবুও বুঝি আমার পেছনে লেগেছে। কিন্তু টেলিগ্রাম পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।

অরু আর নেই!

সব কিছু ফেলে সেদিনই ছুটে গেলাম বাড়ীতে। লাশ দাফন করা হয়ে গেছে ততক্ষনে। অরুকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারলাম না। এটা যখন ভাবি, তখনই বুক ফেটে কান্না আসে।

অরু আত্নহত্যা করেছিলো। স্বামী আর শাশুড়ীর অত্যাচার সইতে না পেরে। যৌতুকের জন্যই নাকি প্রায়ই ওকে ভীষন মার ধোর করত। সেসব কথা কোনদিনও মুখ ফুটে আমায় বলেনি ও। সারাজীবনেও এই মেয়েটা এতটুকু সুখ পায়নি। এতটুকু আনন্দও ওর কপালে জোটেনি।

বাড়ি ফিরে দেখি সেই খোপটা পড়ে আছে উঠোনের এক কোনায়। বুবু বল্ল- গতকাল সকালে এসে অরু নাকি এটা দিয়ে গেছে বুবুকে। আমি হাটুঁ গেড়ে বসলাম খোপটার সামনে। চোখ ফেটে কান্না আসছিলো। ওর মায়া মায়া মুখটা বারবার ভেসে আসছিলো! যেন বলছিলো - "তুই আর আমাকে বিলেতী কবুতরজোড়া কিনে দিলিনা দাদা?"





ক্লাস এইটে বঙ্কিমচন্দ্র - শরৎচন্দ্র পড়া হতো খুব বেশী। গল্পটায় তাই হয়ত তাঁদের লেখার গন্ধ পাবেন অনেকেই। আট বছর আগের স্মৃতি থেকে লিখা। কারন, যেখানে লিখেছিলাম, সে ডায়রিটা হারিয়ে গিয়েছিলো বাসা মুভ করার সময়। ৭০ এর দশকের থিমে লিখেছি। এটা ছিলো মূলত আমার একটা পরীক্ষামূলক চর্চা। তৎকালীন কলকাতার লেখকদের স্টাইলে আমি কোন লেখা লিখতে পারি কিনা সেই পরীক্ষা। লেখার পরে বুঝলাম এইটাও যথারীতি একটা ছাইপাশ হয়েছে। প্রথম পাঠক ছিলেন আমার গৃহ শিক্ষক। পড়ার পর সে হতাশ হয়ে মাথা নাড়িয়েছে!:(

লেখার চরিত্র কাল্পনিক হলেও সামাজিক প্রেক্ষপটে ঘটনা সত্য তবে জীবিত বা মৃত কারো সাথে ঘটনা মিলে গেলে আমি দায়ী থাকব না।



ছবি সূত্রঃ http://collectingtokens.wordpress.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৯
৪১টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×