ফেসবুকে ইসলামী ব্যাংকের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা নিয়া কারন দর্শাইলেন আব্দুন নূর তুষার
"প্রায় বছর তিনেক আগে ১৫০০০ গরীব ও মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য সেবা মূলক একটি প্রকল্পে রক্ত পরীক্ষা, ইকো ও আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে করার জন্য আমি বহু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সহায়তার জন্য আবেদন করি। এই কাজে আমার কোন ব্যক্তিগত লাভের বিষয় ছিল না। ইসলামী ব্যাংক প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা এগিয়ে এসে আমাকে এই কাজে সাহায্য করেছিল।
সক্রেটিস তার মৃত্যুর আগে শেষ কথাটি বলেছিলেন, “আমার একটি মুরগী ধার ছিল, সেটি শোধ করে দিও।” কারন সক্রেটিসের ধার তাকেই শোধ করতে হয়। আমি সক্রেটিস না, হতেও পারবো বলে মনে হয় না। তাই মৃত্যৃর দিন এ ধার শোধ না করে আগেই ধারটি শোধ করে দিয়েছি।"
ইসলামী ব্যাংক একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। এই কর্পোরেটগিরি চালাইতে তাদের সিএসআর করা লাগে, মানে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির নাম কইরা সামাজিক দান খয়রাত। এইটাও একটা প্রমোশন। তিন বছর আগে দেড় হাজার গরীব আর মধ্যবিত্তদের জোগাড় কইরা আ.নু. তুষার যে ইসলামী ব্যাংকের সিএসআর করার সুযোগ কইরা দিলেন, তাতে তিনি নিজেরে ধারগ্রস্থ ভাবতেছেন কোন হিসাবে বোঝা গেলো না।
কর্পোরেট খামাখা কাউরে টাকা দেয় না। ইসলামী ব্যাংক অবশ্যই সরকারের কাছে সেই টাকা গুলা খয়রাত করছেন বইলা হিসাব দাখিল করছেন। বছরে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা সিএসআর না করলে তো তারা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান চালাইতে পারবে না।
এই হিসাব জনাব আ.নু. তুষার ভালোই বোঝেন বইলা আমার অনুমান। এখন আত্নপক্ষ সমর্থন করতে গিয়া আউলা প্রলাপ দিতাছেন তিনি।
আব্দুন নূর তুষাররে নিন্দা।