somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জার্নি বাই প্লেন (অসমাপ্ত ভালবাসা)

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঈশান কি অবস্থা তুমি এখনো ছবি উঠাচ্ছো সময় হয়ে গেছে চলো প্লেনে সবাই উঠে যাচ্ছে চলো না একটু তাড়াতাড়ি।

ঈশানঃ প্লিজ প্রিয়তি এইটা আমাদের প্রথম বিয়ের প্রথম হানিমুন তাই একটু বেশি পাগলামি তো করাই যায় তাই না। চলো স্মাইল দাও।
ঈশান তুমি না পারো ও প্রথম হানিমুন ঠিক আছে কিন্তু কথা হলো প্রথম বিয়ে এটা কেমন কথা হু?

ঈশানঃ না মানে যদি এমন হয় তুমি মারা গেলা তখন তো দ্বিতীয় বিয়ে করতে হবে তখন সেটা হবে দ্বিতীয় বিয়ে দ্বিতীয় হানিমুন।

ঈশান বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই একটা সময়ে তুমি এসব বলছো, তুমি জানো আমি কখনো বিমানে উঠিনি আর অনেক ভয় ও পায় আর এই সময় এসব কথা।
এত্ত দ্বিতীয় বিয়ে করার ইচ্ছে হলে ৭ বছর প্রেম করলা কেন?

ঈশানঃ প্রিয়তি বাবু সরি। আমি জানি তো আমার প্রিয়তি বাবু এখন ভয় পাচ্ছে। আচ্ছা পাগলী বিমানে উঠলেই বুঝবে এখানে ভয় পাবার কিছুই নেই।
উইন্ডো সিট টা তোমার ওকে।

না ঈশান আমার কোনো শখ নাই।

ঈশানঃ আচ্ছা তুমি আমাকে বিশ্বাস করতো?
তোমার মনে হয় আমি থাকতে তোমার কিছু হতে দিবো।

ঈশান তুমি না। হয়ছে এত্ত অয়েল দিতে হবে না।

ঈশানঃ ১ মিনিট ছবি গুলা আপলোড দিয়ে নেই। সবাই জানোক ঈশান আর প্রিয়তি নেপাল যাচ্ছে তাদের হানিমুনে।

ঈশান একটা কাজ করো পোস্টে লিখে দাও বেশি বেশি শেয়ার চাই।

ঈশানঃ মজা নেও নাহ আমার সাথে। চলো যায়, সিঁড়ি দিয়ে তুমি আগে যাও আমি আম্মুকে একটা ফোন দিয়ে নেয়।

আমি গিয়ে বসলাম এরিমধ্যে ঈশান এসে পড়লো।

ঈশানঃ ডিয়ার বউ সিট বেইল টা কি আমি পড়িয়ে দিবো?

৭ বছরের রিলেশন আমাদের আমি তোমাকে ভালো করেই চিনি। তুমি চাচ্ছো এই কাজ টা তুমি নিজে করতে সেটা মুখে বললেই হয়।

ঈশানঃ কি রোমান্টিক নাহ। কত কিছুর পরে আমাদের বিয়ে আর দেখতে দেখতে ৭ দিন চলে গেলো।তোমার হাতের মেহেদী এখনো আছে দেখেছো তোমার স্বামী তোমাকে কতো ভালোবাসে।

ঈশান আল্লাহ কে ডাকো আমার এখন রোমান্টিক মোড একদম নেই তুমি তোমার এসব রোমান্টিক কথা পরে বইলো প্লিজ।ঈশান দেখো কেমন জানি একটা ঝাঁকুনি দিলো।

ঈশানঃ প্রিয়তি মাই বেবি প্লিজ এত্ত ভয় পাচ্ছো কেন?
এরকম করলে হবে নাকি , এমন হয় বিমান টা ফ্লাই করেছে তাই এমন হয়েছে।

ওকে ওকে ভয় পাচ্ছিনা।

ঈশানঃ আচ্ছা প্রিয়তি চলো আমরা একটু ফ্ল্যাশব্যাক করি নিজের এই ৭ বছর তাহলে দেখবে সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে আর তোমার ভয় ও করবেনা।

ঈশান এর জন্যি তো তোমাকে এত্ত ভালোবাসি। তুমি আমাকে বুঝো যদিও মাঝেমাঝে মজা ও করো ইচ্ছে করে।এইটা তোমার সেই আদি অভ্যাস।
ঈশান তোমার মনে আছে সেই বড় আপার বিয়েতে আমাদের প্রথম দেখা। তুমি এমন ভাবে এসেছিলে মনে হচ্ছিল তোমার ভাইয়ের নাহ তোমার নিজের বিয়ে।

ঈশানঃ প্রিয়তি এইটা নিয়ে আর কতো হাসবা। ছোট ছিলাম ৮ বছর আগের কথা।

ঈশান তোমার মনে আছে আমাকে প্রপোজ করতে গিয়ে আপুকে প্রপোজ করে ফেলেছিলে।

ঈশানঃ আরে অন্ধকার ছিল ভাবলাম এইটাই ঠিক সময় কেউ দেখবে না কিন্তু সেই সময় তুমি উঠে চলে গেলে আর ভাবি বসে গেলো খাটে আমি তো জাস্ট হাত টা নিছি আর রিং টা পড়াই দিছি।

আরে আমার বুদ্ধু হয়ছে আজ সেদিন আপুকে প্রপোজ করাতেই আমাদের বিয়েতে আপু সাহায্য করেছে, তার তোমার ভালোবাসা সত্যি মনে হয়েছিল।

ঈশান কিছু বলছো না কেন?
একি ঈশান ঘুমিয়ে পড়লো, ঈশান ঘুমাচ্ছে তাকে আরো বেশি কিউট লাগচ্ছে। এসব মাঝেমধ্যে স্বপ্ন মনে হয় সেই সময় একটা চিমটি কাটি নিজেকে আর ফিল করি এটা স্বপ্ন নয় ঈশান আজ সত্যি আমার হয়েছে।
এরিমধ্যে আমার ও টায়ার্ড লাগছে তাই ঈশান এর কাঁধে ঘুমিয়ে পড়াই ভালো মনে হলো।
হঠাৎ বিমান টা অনেক ঝাঁকুনি দিতে শুরু করলো আমি ঈশান এর হাত টা জোড় দিয়ে ধরলাম তখনি ঈশান উঠলো ঘুম থেকে। ঈশান কিছু বুঝে উঠতে পাচ্ছেনা তারমধ্যে পাশের সিটের যাত্রীরা ও চিৎকার করছে।

আচ্ছা ঈশান এমন হচ্ছে কেন?
ঈশানঃ বুঝতে পারছিনা প্রিয়তি, কিন্তু তুমি ভয় পেয়ো না আমি আছি তো।

আমি ঈশান এর হাত টা আরো জোড় দিয়ে ধরলাম আর বুঝলাম কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে সবাই কান্নাকাটি শুরু করলো আর আমি ঈশান এর দিকে চেয়ে ছিলাম।
ঈশান ও ভয় পাচ্ছে।
একি ভয় ঈশান এর চোখে তাহলে কি সত্যিই কিছু হতে চলেছে।
১ মিনিট এর মধ্যে বিমান টায় ক্রাশ করলো তখনো ঈশান এর হাত টা ধরেই ছিলাম।আগুনে গাঁ পুড়ে যাচ্ছে আমদের কিছুক্ষণ এর মধ্যে কেয়ামত এর হালকা নজিরা বুঝি দেখলাম আমরা। অনেক কষ্টে শেষ পর্যন্ত আত্নাটা চলে গেল ঈশান এর আর আমি মরার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।ঈশান হাত তখনো আমার আঙ্গুল গুলো ধরে আছে।

শেষ পর্যন্ত হয়তো আমিও চলে যাবো না ফেরার দেশে...

মুল গল্প: সুমনা হক
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×