আহা ! কী অপরূপ আমার দেশটি
অঙ্গ জুড়ে সবুজ-শ্যামল শাড়ি
সে যেন গো রঙের দেবী
ছয় ঋতুতে নয় রূপিণী
মন হরিণী অনিন্দ্য সুন্দরী
তবুও আমি গৃহ কোণে কপাট দিয়ে থাকি
আমি নিজের খাঁচায় নিজেই বন্দি পাখি !
বাহিরপানে ডাকে আমায়
রূপ সুধার হেমেলিনের বাঁশি
নিশিদিন বাজে কানে ....
"এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাক তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভুমি ।"
ইচ্ছে করে বদ্ধ দুয়ার খুলে দিয়ে
শহর ছেড়ে অনেক দূরে যাই পালিয়ে
আকাশ যেথায় নদীর বুকে ভাসে
সূর্য যেথায় জলের মাঝে হাসে
মাটির ঘরে সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বলে
প্রজাপতি ঘাস-ফড়িং উড়ে স্বপ্নের আড়ে
জোনাকিরা সবুজ আলো জ্বালে অরণ্য-নীড়ে
বনবাদাড়ে পাতার ফাঁকে জ্যোৎস্না হেসে ওঠে ।
হেথায় সর্ষে ফুলের হলুদ-রঙা ঢেউয়ের বুকে
সবুজের মাতাল হাওয়ায় করি ছুটাছুটি ;
রুপালী ঢেউয়ে জলসিড়ি নদীর জলে
ডুব সাঁতারে এপার অপার করি
ইচ্ছা খুশির কাদা-জলে লুটোপুটি খেলি
কিংবা পদ্ম-পাতা শাপলা জলে
পাতিহাঁসের পাখনা ছুঁয়ে ফেলি ।
মাটির গন্ধ বুকে নিয়ে
ঝরনা পায়ে ছন্দ তুলে
ভেসে যাই নদীর জলে
পালতোলা ঐ রঙিন-দিনে
মাঝির সুরের মধু মেখে
মিশে যাই ফসলের ঐকতানে
ভ্রমরের গুণগুণ সুর নিয়ে
হারিয়ে যাই চেনা হতে অচীনে ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩