যখন টকশো দেখি তখন কেন জানি মনে অন্যরকম একটা প্রশান্তি অনুভব করি। মনে হয় এখানে উপস্থিত রাজনীতিবীদদের গঠনমূলক আলোচনার ফুৎকারে বাংলাদেশ হতে সকল অন্যায় অবিচার,রাজনৈতিক অস্থিরতা দূরীভূত হয়ে প্রতিটা মানুষের শান্তি ত্ত নিরাপত্তা নিশ্চত হবে।টকশো শেষে আবার যখন খবরের চ্যানেলে গিয়ে দেখি রাজনীতীবীদদের ক্ষমতার দ্বন্ধ দেশের নিরীহ মানুষের প্রানগুলো কেড়ে নিচ্ছে,সাধারন জনগনের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরাই জনগণকে চরম অনিরাপত্তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে তখন মনে হয় এতক্ষন আমি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি বাস্তবে যার কোনো অস্থিত্ব নেই।তখন নিজেকে প্রশ্ন করি কি লাভ এই টকশো’র আয়োজন করে??উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এত সব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সত্যিই যদি অন্তর থেকে করত তবে আজকে দেশের,দেশের মানুষের এত করুন অবস্থা কখনোই হতনা
আমার হয় মনে এসব আলোচনা টকশো’র ঐই সময়টাকে অতিবাহিত করতে এবং সুন্দর,সাবলীল ভাষা ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা অর্জন করার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয় এবং হতেই পারেনা।টকশো থেকে বেরিয়ে এসব আলোচনা তাদের চিন্তা ভাবনা বা কাজে কর্মে মোটেও স্থান পায়না।তাদের চিন্তা ভাবনা গঠনমূলক হলেও কাজ কর্ম কমার্শিয়াল ছাড়া গঠনমূলক হতেই পারেনা।না হয় দেশের বা রাজনীতীর গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে দেশ আর দশের ভালোর জন্য এতসব আলোচনার সামান্যও বাস্তবায়ন করতে পারেননা বা কোন পদক্ষেপই নিতে পারেননা তা সম্পূর্ণ অবিশ্বাষ্য,শুধু আমার কাছে নই দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের কাছে।
রাজনীতীবীদদের কথা বাদই দিলাম।টকশো’র এত সুন্দর সুন্দর আলোচনা বা পরামর্শ সরকার বা দলীয় প্রধানের দৃষ্টিতেও পড়েনা নাকি পড়লেও তাঁরা এসবের তোয়াক্কা করেনা??তবে কি আজ কোন রাজনীতীবীদ দেশের এমন শোচনীয় অবস্থা বা নিরীহ মানুষের করুন মৃত্যুকে অন্তর দিয়ে উপলদ্ধি করেনা বা গুরুত্বই দেয়না?তবে উনাদের রাজনীতী কিভাবে দেশ আর জনগণের স্বার্থে বলে দাবি করেন?বিরোধীদলীয় প্রধানের চেয়ে সরকারের প্রধানের উচিত টকশো’র আলোচকদের পরামর্শগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আত্বসার্থ ত্যাগ করত দেশ আর জনগনের ভাল’র জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটি নেয়া।ওনি যেহেতু দেশ প্রধান তাই দেশের ভাল খারাপ বেশিরভাগই উনার উপর নির্ভরশীল এবং দায় দায়িত্বও উনার বেশি।উনি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশের এই করুন পরিনতির দায়কে নিজে এড়িয়ে গেলেও দেশের জনগণ অবশ্য় সরকার প্রধানকেই দায়ী করবে।
এক টকশোতে জনপ্রিয় এক রাজনীতীবীদকে বলতে শুনেছি,ওনারা টকশোতে যা বলেন রাজনীতীতে ওরকম প্লাটফর্ম তৈরি হয়নি বিধায় এসব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়না।যদি তাই হয়ে থাকে তবে কেন ওনারা জনগণকে আশার কথা শুনান,কেন মিথ্যা আশ্বাস দেন?এসব মিথ্যা আশ্বাসের রাজনীতী পরিহার করুন।মনে রাখবেন,এই ধবংসাত্বক রাজনীতীর বলি হয়ে যেসব শিশু,তরুনী,যুবক বা বৃদ্ধ উপরে চলে যাচ্ছে তারা কিন্ত রাজনীতীবীদদের কুকর্মের স্বাক্ষি হয়ে চলে যাচ্ছে এবং আমরা যারা শেষ বিচারের দিনকে বিশ্বাস করি সেদিন কিন্ত এরাই আল্লাহর কাছে রাজনীতীবীদদের সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষিদাতা হবে।