বন বিড়ালগুলোর হত্যা দায় কে নিবে ? কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ চাই।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বন বিড়াল দ্রুত দৌড়াতে পারে, পানিতে ভাল সাঁতার কাটতে পারে, গাছে চড়তে পারে, ঝোপ-ঝাড় থেকে প্রায়ই শূণ্যে লাফিয়ে শিকার ধরে। অর্থাৎ জলে স্থলে শূণ্যে সবখানেই সে শিকারে পারদর্শী। প্রথম বন বিড়ালের সাথে আমার দেখা হয় কৈশরে। স্কুলের পুকুর পাড়ের একটি মুরগীর শিকারের দায়ে এলাকাবাসী পানিতে চুবিয়ে বন বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। তারপর আর বন বিড়াল দেখা হয়নি। গত সপ্তাহে ধানমন্ডি বছিলায় এক সৌখিন পশু পালনকারী খাচায় কয়েকটি বন বিড়াল দেখি। তিনি বিড়ালগুলো ধরেছেন বছিলা ও মোহাম্মদপুর বেড়ি বাঁধ এলাকা থেকে। তারপর থেকে তার খাচায় এই শিকারী প্রাণীর বদ্ধ জীবন ঝাপন চলছে। একটা পারদর্শী শিকারী কতটা অসহায় জীবন যাপন করতে পারে তার প্রমাণ মিলে ঐ সৌখিন পশু পালনকারী খামারের গেলে। তার অভিযোগ বিড়ালগুলো তার খামারের মুরগী,কবুতর, নানা প্রজাতির পাখি হত্যা করে । তাই ব্যবসায়ী স্বার্থে তিনি তাদের হত্যা কিংবা আটক করা ছাড়া বিকল্প কিছু করা নেই।
বছর পাঁচ আগেও বছিলা, মোহাম্মদপুর বেড়ি বাঁধ এলাকায় প্রচুর বন বিড়াল পাওয়া যেত। কিছু আশেপাশের ঝোপঝাড় কেটে ফেলায়, আবাসন কোম্পানীগুলো নদীর তীরের ঘন কাশবনগুগো দখল করে আবাসন প্রকল্প বাস্তাবায়ন করায়। বিড়ালগুলো বাসস্থানের অভাব দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এখনও ঢাকা নগরের খুব কাছাকাছি যে বন্যপ্রাণী আছে তার প্রমাণ এই বনবিড়ালগুলো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই বনবিড়ালগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এই বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারে যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে তাদের একাধিকবার বিভিন্ন সময় জানিয়ে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। কতৃপক্ষের একটি জরুরী সেল ফোন নাম্বার আছে “ বন্যপ্রানী অপরাধ দমন হটলাইন ০১৭৫৫৬৬০০৩৩” ইমেল [email protected] গত কয়েকদিনে একাধিক বার তাদের ফোন দিয়ে অপেক্ষায় থাকুন। অপেক্ষায় থাকুন ছাড়া আর কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। এই চারটি বন বিড়াল রক্ষায় যদি আমরা প্রতিবারে ন্যায় এবার ও কতৃপক্ষের অবহেলার জন্য ব্যর্থ হই। তবে সভা, সেমিনারে পরিবেশ রক্ষা ভাষণ আর শ্লোগানে গলা ফাটিয়ে চিৎকারই চলবে। বছর শেষে কোটি টাকা ব্যয়ে ছাপানো পুস্তুকে লিখা হবে বন বিড়ালের ছবি, বর্ণনা। আর বিপন্ন তালিকা থেকে মহা বিপন্নের তালিকায় যুক্ত হবে বনবিড়ালের নাম। এক সময় হারিয়ে যাবে বন বিড়াল। আমরা যে প্রাণীগুলো ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছি তার দায় কার এই নিয়ে বিস্তর যুক্তি তর্ক থাকবে। কিন্তু এই চারটি বন বিড়াল হত্যার দায় নিসন্দেহে বন্যপ্রানী অপরাধ দমন নিয়ন্ত্রনের নিয়োজিত কতৃপক্ষের। কারণ তাদের দায়িত্বহীন আচরণের জন্যই প্রাণীগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বনবিড়াল বিষয়ক তথ্য: ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত
বন বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম Felis chaus Ges এবং ইংরেজি নাম Jungle Cat। দেহের আকার ৬০ সে.মি.ও লেজ ২৬ সে.মি.। দেহের রঙ ধূসর-বাদামী মেশান। গলার নিচের পশম হালকা। দেহের পেছনের অংশে, পায়ে এবং লেজে বেশ কিছু কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ আছে। লেজের শেষ প্রান্ত কালো রঙের। চোখের নিচে লম্বা কালো রঙের দাগ আছে। এদের প্রজননকাল ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়
অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুষের ধর্ম নাই
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।
হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।
পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন