somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকা শহরেও অনেকগুলো বাবু ভাইয়ের দরকার।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এ শহরে এক সময় বাবু ভাই ছিলেন আমাদের। কতটা যন্ত্রণা তাকে দিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যন্ত্রণায় অস্থির তারপরও অভিযোগ নেই। রাজাবাজার তার বাসার দারোয়ান থেকে পাশের বাড়ির প্রতিটা মানুষই অবাক হত। এই লোক এত যন্ত্রণা সহ্য করে কি করে? বাবু ভাই বর্তমান এই পৃথিবী নামক গ্রহের একমাত্র অভিযোগহীন মানুষ।

আমরা সব কয়টা অকৃতজ্ঞের মত বাবু ভাইকে ভুলে গেছি। মে মাসে শুনেছিলাম বাবু ভাই আর ভাবী বাড়ি চলে গেছে। বাবু ভাই তার শহরে ফলের দোকান দিয়েছে। শুধুই দেশি ফল বিক্রি করেন।

কি আজব ? এত কিছু থাকতে কেন দেশি ফলের দোকান? আর কেমনই বা দোকান?

সপ্তাহ কয়েক আগে দেশে এসে এ্যানি জানায় বাবু ভাইকে দেখতে যাবে।সারাদিন ঘুরাঘুরি আর আড্ডাবাজি করে সন্ধ্যায় তিনজন গেলাম বাবু ভাইয়ের দোকান দেখতে।

বাবু ভাইয়ের দোকান ফুটপাতের ভ্যানে। আসে পাশের সবাই বাবু ভাইকে চিনে। শহরের অনেক তার কাছে ফল কিনে নেয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের স্বামীরা তার বড় ক্রেতা।

বিষাক্ত রাসায়ানিকমুক্ত ফল বিক্রি করেন। ফল বিক্রির সাথে সাথে তিনি ক্রেতাদের জানান, আপনার বাড়ির গাছে যদি কোন ফল থাকে। তবে দিয়ে যাবেন। ভাল দাম পাবেন। শহরের অনেকই তার ভ্যানে ফল দিয়ে যায় বিক্রির জন্য।

এদেশে যে এখনো কত ফল বিদ্যমান আছে, তা বাবু ভাইয়ের দোকানে না গেলে বুঝতে পারবেন না।

বাবু ভাই ব্যবসা কেমন চলে?

খারাপ না, বিকেল ৩টার পর আসি। রাত ১০ টা পর্যন্ত ব্যবসা। ঢাকার আয় থেকে খুব একটা কম না। কিছু অপ্রয়োজনীয় চাহিদা বাদ দিতে হয়েছে দুজনের। তারপর এক কথায় ভাল আছি এখানে।

সবচেয়ে বড় কথা জীবন উপভোগ করছি। কত কত স্বামী নিশ্চিন্তে আমার ফল নিয়ে যায় গর্ভবতী স্ত্রীর জন্য। কত মধ্যবিত্তের মানুষজন কাগজে মুড়িয়ে আমাকে ফল বিক্রির জন্য দিয়ে যায়।

আমার মনে হয় না ফল বিক্রি করি। মনে হয় দায়িত্ব পালন করছি।

জীবন বাবু ভাইয়ের মত হয় না। অপ্রয়োজনীয় চাহিদার কাছে আমরা তিনজনই হার মেনে বসে আছি। তাই ভোর রাতের ট্রেনে ঢাকার পথে রওনা দেই।

বাবু ভাই ভালবাসা রইল, ভাল থাকেন।
ঢাকা শহরেও অনেকগুলো বাবু ভাইয়ের দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×