ঢাকা আজব পেশার শহর। কিন্তু কতটা আজব পেশার নাম জানি আমরা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখন নতুন এক পেশা যুক্ত হয়েছে গালিবাজি/গালিবাজ।
পাওনাধার থেকে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গালিবাজ কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। সবাই মেয়েকর্মী। তাদের কাজ ফোন দিয়ে গালাগালি করা।
মাঝে মাঝে তারা পাওনাদারের অফিস ও বাড়িতে গিয়ে গালাগালি করেন। আজব এই পেশার অনুমোদন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক কিভাবে দেখে কে জানে।
এত সুন্দরী নারী কি করে এত সুন্দর সুন্দর গালি দেয় তা না শুনে বিশ্বাস করা যাবে না। চ বর্ণ দিয়ে তার সকল গালি।
নতুন এই পেশায় আসার আগে নাকি তাকে গালির পরীক্ষা দিতে হয়েছে। যাই হোক দেশে গালি শেষ পর্যন্ত স্বীকৃতি পেল।
#পেশা তাদের #গালিবাজি।
এই শিরোনামে আমি একটি পত্রিকার নারীদের বিশেষ পাতায় লেখা পাঠাই। বড় আপা ডেকে ঝারি দিলেন। বললেন ইতরামি করিস। ভাল কোন বিষয় নিয়ে লেখা লিখতে পারলে জানা। শুধু শুধু সময় নষ্ট। আমি বুঝাতে চাইলাম আমার কাছে সকল তথ্য আছে। অডিও আছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য আছে। আপা বললেন শোভন তুই অশোভন হয়ে যাচ্ছিস।
এক সপ্তাহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে আমি এই লেখা তৈরি করেছি। আমার সকল কষ্ট নষ্ট হল আপার এক ঝারিতে।
পত্রিকায় প্রকাশ না পেলে কি হবে। আমার আছে ফেইসবু, ব্লগ।
নগরের নতুন পেশা, পেশা তাদের গালিবাজি। অডিও সহ ( এডিট করা)
আপনি কি এ পেশা সর্ম্পকে জানেন? আমি দাবী করতেই পারি দেশে প্রথম গালিবাজ পেশা নিয়ে ফিচার লেখক ছিলাম আমি।
আমি কারওয়ান বাজার থেকে হেঁটে বাসায় ফিরছি। শুধু মেয়েটার কথা আমার কানে বার বার বাজে। পেশা হিসেবে আমি কখনোই গালিবাজ হতে চাইনি। খুবই ঘৃণা হয়। তবুও পেশা। ঢাকায় টিকে থাকতে আমাকে একটা পেশা তো বেছে নিতেই হবে বিকল্প নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিয়েও আমি গালিবাজ।
মাঝে মাঝে গালাগালি করে আমি বেসিনে গিয়ে বমি করতাম। এখন সব সহ্য হয়ে গেছে। গালিবাজিই আমার পেশা। আমিই গালিবাজ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬