আমি সস্তায় ভ্রমনে আগ্রহী। কত সস্তায় মানসম্পন্ন কিংবা মানহীন ঘুরা যায় তা নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নেই। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে বিনামূল্যে খানকা ঘর, মসজিদ,মন্দির,আশ্রম, গুদাম ঘর, সস্তা ডরমিটরি, কিংবা অনুরোধে কারো বাড়ি। কোন কিছুই বাদ যায়নি আমার ভ্রমণ তালিকা থেকে।
যেহেতু টাকার কম তাই খরচ কমাতে চাই। ঘুরতে চাই বেশি। সেই কম খরচে ঘুরা একটা অন্যতম বিষয় হল শহরে কি কি ফ্রি পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করা। চাইলেই পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে নানা ফ্রি সুযোগ থাকে। অথবা একটু চেষ্টা করলে আপনি ফ্রি থাকা-খাওয়া-যাতায়াত পেয়ে যেতে পারেন। যেমন ব্যাঙ্গালোর শহরে যাতায়াত।
এখানে লক্ষ লক্ষ বাইক চলাচল করে প্রতিদিন। আপনি একটু অনুরোধের ভাষা শিখে গেলেই যাতায়াত ফ্রি সারা শহরে। যেমন ডাইবেটটু, না নো নিম্মা গাড়িলি হো বে কু। আমি আপনার গাড়িতে যেতে চাই।
আমার যদিও ঐ শহরে বন্ধুর একাধিক স্কুটি ছিল। অলিগলি ছাড়া ঐ স্কুটি আমি চালাইনি। বড় রাস্তায় গেলেই কর্নাটাকা’র ছেলে মেয়েদের কাছে মোবাইল ফোনে গুলল ম্যাপ দেখে সহযোগিতা চাইতাম “ডাইবেটটু, না নো নিম্মা গাড়িলি হো বে কু”। আর একজন ভিন্ন দেশি হিসেবে সবাই সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসত। কেউ কেউ যে সাড়া দিত না তা নাইবা বলি।
সেই শহরে ট্রাফিক আইন কিছুটা কঠোর। মোটর সাইকেল চালক এবং আরোহী সবার হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক। তাই আমি একটা হেলমেট কিনে নিলাম। রাস্তায় হেলমেট পড়ে ঘুরি। ক্লান্ত হলে সহযোগিতা চেয়ে স্কুটিতে উঠে পড়ি। দিন কয়েকের মধ্যে আমার বেশ কয়জন বন্ধু জুটে গেল।
কেউ বাসায় দাওয়াত দেয়, কেউ আমাকে দাওয়াত দেয় ঘুরতে, কেউবা জানায় হনুমান মন্দিরে দুপুরে সবজি বিরিয়ানি একদম ফ্রি। তাদের উপর আস্থা রেখে আমি ঘুরতে যাই। আসার সময় ধন্যবাদ দেই। স্বল্প টাকায় ঘুরাঘুরির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দেশে দেশে শত মতের শত শত মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার যেহেতু টাকা কম তাই আমি কম টাকায় ঘুরার সুযোগ খুঁজি।
আপনার সস্তা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও উপায় আমার মত সস্তা ভ্রমণকারীদের জানান। টাকার কাছে বন্দি না হোক ভ্রমণের ইচ্ছে।
আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক,
শুভ ভ্রমণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২