যে রাষ্ট্রে কবি সাহিত্যিক, লেখক, গায়কদের দলীয় পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়। কবি সাহিত্যিক, লেখক, গায়করা রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়ার লোভ-ক্ষোভ হৃদয়ে পুষে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চান। সে রাষ্ট্রে কবি সাহিত্যিক, লেখক, গায়কের জন্ম হয় না। জন্ম হয় তোষামদকারীদের তেল সাহিত্য।
৯০য়ে পোাশকি শাসকগোষ্ঠীর বুলেট,বুট,রাইফেলের বিরুদ্ধে সঞ্জীব চৌধুরী গেয়েছিলেন।
“আমি ঘুরিয়া ফিরিয়া সন্ধান করিয়া
স্বপ্নের অই পাখি ধরতে চাই
আমার স্বপ্নের ই কথা বলতে চাই
আমার অন্তরের কথা বলতে চাই।
গানটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় ব্যাপক সাড়া ফেলে।
বুক টান টান করে রাজপথে দাড়িয়ে মানুষের পক্ষে কথা বলার এই মানুষটিকে অনেকেই ভুল মানুষ বলে ব্যাখ্যা করতে চায়।শুধুই অর্থই জীবনের সবকিছু ভাবা মানুষরা বার বার বলে সঞ্জীব চৌধুরী নিজেকে হত্যা করেছেন।
আমি বিশ্বাস করি সঞ্জীব চৌধুর একজন মানুষ বিশুদ্ধতম শুদ্ধ মানুষ। গায়ক, কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীকের মূল্যায়ন করার ক্ষমতা আমাদের, আমার রাষ্ট্রের হয়নি।
মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে সঞ্জীবের জীবনে তার কলম কন্ঠ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা, গানের যা দিয়েছেন তার একটু কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা প্রয়োজন।
১৯ নভেম্বর, ২০০৭ সঞ্জীব চৌধুরী বিদায় নেন। কিন্তু সত্যি কি বিদায় নিতে পারেছেন মানুষের হৃদয় থেকে?
এখনো রাতে যখন কোন এফএম রেডিওতে মাঝে মাঝে যখন সঞ্জীবের গান বাজে তখন রাত জাগা হাজার যুবক যুবতী বিশ্বাস করে সঞ্জীব তাদের কথাই বলছে গানে।
আমি ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে গেলেই ভাবি আমার সাহস দরকার, আর একটু বেশি সাহস। সঞ্জীবের মত সাহস। যে সাহসের জোরে নিজের দেহটা মাটিতে পচে গলে কীটের খাদ্য হওয়া থেকে মানুষের কল্যানে ব্যয় করার জন্য উইল করে দেবার শক্তি দিবে মনে।
প্রিয় সঞ্জীব চৌধুরী আমি পরজন্মে বিশ্বাসী নই। শুধু বলি আমি তোমার গান শুনে তুমিই হতে চেয়েছিলাম। পরজন্ম থাকলে আমি তুমিই হতাম।
#সঞ্জীব_চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৩