somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীতে কোথও শ্রমিক-জনতা-পুলিশের লড়াইয়ে বা প্রতিপক্ষ করে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হয়নি। যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ হয়েছে যেখানে শ্রমিক-জনতা-পুলিশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কে কার বিরুদ্ধে লাঠি ধরবে। কাকে পিটিয়ে দাবী আদায় করব?
চালক-পুলিশ-ছাত্র-জনতা সবাই বাংলাদেশ।সবাই মিশে সমাধানে আসতে হবে।আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই ঐক্যের বাংলাদেশ ভাবতে শিখেনি। তারা তাদের নিজেদের ফায়দার জন্য তা কখনোই করেনি।

তারা যে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে রক্ষায় ব্যস্ত। তার প্রমাণ দায়িত্বশীল মন্ত্রী এখনো জানেন না কেন পদত্যাগ করতে হবে? নৌ মন্ত্রীর বক্তব্য খারাপ ছিল। কিন্তু সড়কে এই মহামারির জন্য যোগাযোগ মন্ত্রীর দায় বহুলাংশে বেশি।

শিক্ষামন্ত্রী এখনো ছাত্রদের কাছে আসতে পারেননি। তিনি এখনো বুঝতে পারেননি এই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব তার ছিল। যতক্ষন ছাত্ররা রাস্তা থাকবে ততক্ষণ তিনিও রাস্তায় থাকার কথা। বলা দরকার আমার ছাত্রদের উপর কোন নির্যাতন হবে না। তাদের যৌক্তিক দাবী মানতে হবে।

দেশের ইতিহাসে সরাষ্ট্রমন্ত্রী তো সব সময় জনবিরোধী।

কিন্তু তারপরও আমরা কার গাড়ি ভাঙ্গব?
এই গাড়িগুলো আমাদেরই কারো বাবা, ভাইদের জীবিকার উৎস। আপনার প্রতিদিনের যাতায়াত,খাবার,চিকিৎসা সবকিছুই নির্ভর করে এই যানবাহনগুলোর উপর।তাই তাদের প্রতিপক্ষ করে সমাধান আসবে না।

আন্দোলনের নামে পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে অনেকেই। কিন্তু যতই জোর দিয়ে বলেন না কেন পুলিশ ছাড়া বিকল্প নেই। শুধু পুলিশের দোষ দিয়ে সমাধান আসবে না। একটা পুলিশ কি আছে নিরাপদ সড়কের দাবীর বিপক্ষে?
ঘন্টাখানি যানজটে, গরমে অস্থির হই আমরা। আমাদের পুলিশরা ১২ঘন্টা গরমে থাকে।

কতদিন রাস্তায় লাইসেন্সে চেক করবেন?
একদিন কি বিআরটিএ তে আসেন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন চালকরা কেন লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়। সরকারী নিধারিত টাকায় কেউ লাইসেন্স পায় না। ১০/১২ হাজার টাকা ছাড়া লাইসেন্স ঢাকার মিলবে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। এই দায় যোগাযোগ মন্ত্রীর।

প্রতিদিন একটা গাড়ি গড়ে কত টাকা চাঁদা দেয় জানেন তো? শুধু মোহাম্মদপুর থেকে বড্ডা যাওয়ার গাড়িগুলো ৪০০টাকা চাঁদা দেয়।

এখন ১৯৭১ না আমরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হব। এখন বাংলাদেশ। আমার পাশে তুমি মানেই বাংলাদেশ, তোমার পাশে আমি মানে বাংলাদেশ।

পুলিশদের পাশে দাড়িয়ে তাদের কাজে সহযোগিতা করে আপনার যা দেখিয়েছেন তা কেউ পারেনি। আপনারা শক্তির প্রমাণ দিয়েছেন।পুরো দেশের লাইসেন্স দেখিয়েছেন।

তাই নিরাপদ যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে এই লাখ লাখ পরিবহন শ্রমিক-চালকের পাশে দাড়াতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স আমার আপনার যাতায়াত নিরাপদ করবে। তাই আসুন তাদের পরিবহন শ্রমিকদের চাঁদাবাজ থেকে মুক্ত করা, সঠিকভাবে লাইসেন্স পাওয়ার অধিকারগুলো নিশ্চিত করি।

যারা শুধুই ভাঙ্গা আর পিটানোর সমর্থন দিচ্ছে তারা ভাঙ্গতেই জানে। তারা মানুষকে সাদা-কালোতে ভাগ করে, কুমিল্লা-বরিশালে ভাগ করে, হিন্দু-মুসলিমে ভাগ করে, পাহাড়ি-সমতলে ভাগ করে, শ্রমিক-জনতাতে ভাগ করে, ধার্মিক-অধার্মিকে ভাগ করে।

আমরা ঐক্যের বাংলাদেশ চাই। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে সকালে পত্রিকায় পড় গত ১০০ দিনে বাংলাদেশে কোথায় সড়ক দূর্ঘটনায় কেউ আহত-নিহত হয়নি।

পৃথিবীতে কোথায় শ্রমিক-জনতা-পুলিশের লড়াইয়ে বা প্রতিপক্ষ করে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হয়নি। যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ হয়েছে যেখানে শ্রমিক-জনতা-পুলিশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে।

নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ার প্রয়োজনে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। সমস্যা শুধুই প্যাচানো নয়, আন্দোলনের পাশাপাশি সমাধানের কথা বলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×