somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শের শায়রী
অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

মধ্যযূগীয় দশটি ভয়ংকর অস্ত্র

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ক্যালভেরিন



একটি মধ্যযুগীয় বন্ধুক। সাধারনত মধ্যযুগীয় অশ্বারোহীরা ব্যবহার করত। একটি নলের মধ্যে বারুদ এবং সীসা ঢুকিয়ে তারপর একটি সুতায় আগুন ধরিয়ে গুলি করা হত। ক্যালভেরিন কামান হিসাবে ও ব্যাবহৃত হত। আসলে আধুনিুক কামানের পূর্বপুরুষ।

ক্যালট্রপ



সুচাল মাথা যুক্ত কয়েকটি দন্ড একটি শলাকার সাথে লাগানো থাকত। সাধারনত যোদ্বা হাতি, ঘোড়া, পদাতিক সৈন্য দের সামনে এদের ফেলে রাখা হত যাদের কারনে এদের অগ্রযাত্রা মন্থর হয়ে যেত। ৩৩১ খ্রীঃ পূঃ রোমান সৈন্য রা প্রথম ক্যালট্রপ ব্যাবহার করে। আধুনিক কালে ভিয়েতনাম যুদ্বে ছোট আকারের ক্যালট্রপ ব্যাবহারের প্রমান যায় যার সুচাল আগায় বিষ মাখিয়ে রাখা হত।

ফুটন্ত তৈল



আগের কালে যখন শত্রু সৈন্য কোন দূর্গ বা শহর অবরোধ করত তখন ফুটন্ত তৈল ব্যবহার করা হত দূর্গের উপর থেকে শত্রু সৈন্যদের উপর কখনো কখনো তৈল এর সাথে আলকাতরাও ব্যবহার করা হত। দূর্গের যে সব গর্ত থেকে ফুটন্ত তৈল ফেলে হত সেই সব গর্তকে মৃত্যুগুহা বলা হত।

আরব্যালাষ্ট


দেখতে ক্রশবো মত, আসলে আরব্যালাষ্ট হল ক্রোশবো এর বড় ভাই। এক জন প্রশিক্ষিত আরব্যালাষ্ট যোদ্বা মিনিটে ২ টা তীর ছুড়তে পারে। আরব্যালাষ্ট ১১৩৯ সালে পোপ দ্বিতীয় ইনোসেন্ট নিষিধ্ব করেন এই যুক্তিতে যে এটি অমানবিক কারন এক জন নাইট ৫০০ গজ দূর দিয়ে বিনা যুদ্বে খুন হবেন এটা তিনি মানতে পারেন নি। একটা শক্তিশালী আরব্যালাষ্ট কাউকে ২২kN বেগে আঘাত করতে পারে। ভয়াবহ অস্ত্র।

হুঙ্গা মুঙ্গা



হুঙ্গা মুঙ্গা সাধারনত আফিকায় ব্যাবহৃত হত।দক্ষিন চাদের অধিবাসীরা এর নাম দেন হুঙ্গা মুঙ্গা, স্থান ভেদে এর আরো নাম আছে। ভিডিও গেম মেজ এ এটাই প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার হয় নায়ক বাফির হাতে। খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।( Mage The Ascension by the Euthanatos)

মর্নিং ষ্টার



একটি গদার মাথায় কিছু ছুচালো কাটা লাগিয়ে মর্নিংষ্টার তৈরি করা হয়। সামনা সামনি যুদ্বে এটা মারাত্নক। একে ভীমের গদাও বলতে পারেন। স্কান্ডেনেভিয়ান জলদস্যুদের খুব প্রিয় একটা হাতিয়ার।মরটাল কমব্যাটে হ্যাভিক এ রকম একটা অস্ত্র ব্যবহার করে।

মৃতদেহ


প্রাচীন যুদ্বে মৃতদেহ একটা ভয়ংকর অস্ত্র হিসাবে গন্য করা হত। সাধারনত কেউ যখন ছোয়াছে রোগে মারা যেত তার মৃতদেহ কোন অবরুদ্ব নগরের মধ্যে ফেলা হত ওই ছোয়াছে রোগের কারনে তখন ওই নগর ও মৃতপুরীতে পরিনত হত। কি আধুনিক কালের Biological warfare এর গন্ধ পাচ্ছেন না?

ট্রিবুচেট



দাদ্বশ শতাব্দী মমুসলমান খ্রীষ্টান উভয়েই এটা ব্যবহার করেন। শিশুপার্কে বাচ্চাদের একটা লম্বা কাঠের ওপর দুদিকে বসে দোল খাওয়া দেখছেন, একই পদ্বতি এখানেও ব্যাবহার করা হয়। একটা ট্রিবুচেট থেকে আধা মাইল দূর থেকেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোলা নিক্ষেপ করা যায়। মাসুদ রানার পালাবে কোথায় চমৎকার বর্নানা আছে ট্রিবুচেটের।


গ্রীক ফায়ার




৬৭০ খ্রীষ্টাব্দে গ্রীকরা এটা আবিস্কার করে।প্রতক্ষ্যদর্শির মতে “ওরা আমাদের ওপর নরকের আগুন নিক্ষেপ করছে। কোথা থেকে এটা আসছে আমরা জানিনা” এখন পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞান বের করতে পারে নাই কি ভাবে ওই সময় গ্রীকরা এটা করছিলো। সাধারন কিছু অনুমান করা যায় পেট্রলিয়াম, সালফার, নাইট্রেট, ন্যাপতা, কুইক লাইমের সংমিশ্রনে এটা গ্রীকরা তৈরী করেছিল।দেখা যায় চাইনিজরাও গ্রীক ফায়ারের ব্যাবহার যানত।

সাইথেড চ্যারিয়ট



চ্যারিয়েটের চাকায় যে ব্লেড লাগানো থাকত তাকে সাইথেড বলত। শত্রু সৈন্যর মধ্যে দিয়ে যখন দূরন্ত বেগে চ্যারিয়ট গুলো ছুটত তখন এর চাকার ব্লেডে লেগে শত্রু সৈন্যদের কচুকাটা করত আর তাদের মধ্যে প্রবল আতংক বিরাজ করত। এটাও রোমানদের আবিস্কার। পারস্য সম্রাট দারিয়ূসের বিরাট চ্যারিয়ট বাহিনী ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×