বেইজিং থেকে নানজিং শহরের দূরত্ব ১০২০ কিলো মিটারের বেশী। বুলেট ট্রেনে করে যেতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। বুলেট ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলো মিটার ছুঁয়ে যায়। তিন ধরনের কোচ আছে, বিজনেস ক্লাস, প্রথম শ্রেণী আর দ্বিতীয় শ্রেণী। বেইজিং থেকে সাং হাই যেতে বিশটা স্টেশন পার হয়ে যেতে হয়, বুলেট ট্রেন ৪ টা স্টেশনে থামে। তিয়ান জিন, জু ঝু, বেংবু, নান জিং সবশেষে সাং হাই হোয়াং কি আও স্টেশন। বুলেট ট্রেনের ভাড়া শ্রেণী ভেদে ২৭১ ডলার থেকে ৮৬ ডলারের মধ্যে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে এক সারিতে পাঁচটা সিট। একপাশে দুই আরেক পাশে তিনটি চেয়ার। বেশ আরামদায়ক ভ্রমন
বেইজিং শহর থেকে যাত্রা শুরু করে গাড়ীর গতি হঠাৎ করে বেড়ে যায়। প্রথমে গতির সাথে দৃষ্টি সমন্বয় করতে হয়। ভেতরে সব এয়ার টাইট বলে কিছুই বুঝা যায় না।
যাত্রা পথে অনেক আকাশ চুম্বী এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। চারিদিকে খালি ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। বিশাল রাস্তা স্যাটেলাইট শহর, কারখানার পাশাপাশি আধুনিক গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও চলছে এখানে। চীন একটা সমন্বিত উদ্যোগে সবদিকে উন্নয়নের ধারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ, দুরে সবুজ বনানী। এখানে চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিশাল জন গুষ্টির জন্য খাবার উৎপাদিত হয় এই সব খামারে। এত বিশাল দেশ কিন্তু মানুষ খুবই কম দেখলাম। বেইজিং থেকে সাং হাই ১৩১৮ কিলো মিটার আর এই ট্রেনে যেতে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা।
অজানা জনপদ
অচেনা শহরের পাশ দিয়ে
অচেনা শহরের পাশ দিয়ে
অনেক এরকম কারখানা দেখা যায়
যাত্রা পথে অনেক আকাশ চুম্বী এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে
দুরে নাম না জানা শহরের নান্দনিক স্থাপনা
কৃত্রিম খালের উপর ব্রিজ
ট্রেন থেকে- কোন এক নগরে যাওয়ার রাস্তা
দুরে পাহাড়ের উপর বায়ু কল
এই এলাকাতে এরকম অনেক বায়ুকল আছে
নানা রঙ এর বাহারী গাছ পালা
দুরে পাহাড়ের উপর বায়ু কল
একটা ছোট্ট গ্রাম চীনা জনপদ
একটা ছোট্ট গ্রাম, চীনা জনপদ
রেল লাইনের পাশের রাস্তা , সমান্তরাল রাস্তার পাশে বিশাল খোলা মাঠ, হয়ত নুতন ফসল বোনার অপেক্ষায়
গ্রিন হাউজে ফসলের চাষ
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৬