বাংলাবান্দা থেকে ভারতের দিকে সুন্দর রাস্তা চলে গেছে, এই রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া যায়। এই পথে পাশের দেশ নেপাল ও ভুটান যাওয়ার সুযোগ আছে। নেপাল সীমান্ত বেশ কাছে, ভুটান সীমান্ত ৩৫ কিলোমিটারের মত। রাস্তা দিয়ে অনেক ভারতীয় পাথর বোঝাই ট্রাক ঢুকছে, এগুলো থেকে পাথর নামিয়ে আশেপাশের এলাকায় তা ভাঙ্গা হয়
চলার পথে অনেক ব্রিজ পার হতে হয়, বর্ষার সময় এগুলোর নীচে পানি থাকে, এখন এই মে মাসে নদীগুলো মরে গেছে, মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় পানি দেখা যায়। প্রকৃতি আমাদেরকে অনেক দিয়েছে , আর মানুষ লোভে পড়ে কিংবা বেশী লাভের জন্য প্রকৃতির ক্ষতি করছে।
বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্টে জিরো দিয়ে সুন্দর একটা মনুমেন্ট বানানো আছে, দর্শনার্থীরা এখানে এসে ছবি তোলে। এই এলাকাটাকে একটু উন্নত করে পর্যটক বান্ধব করা যায়। বাংলাবান্দা পৌঁছানোর কিছু আগে রাস্তা দুইদিকে চলে গেছে, এখানে একটা আইল্যান্ডের মত জায়গাতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা সুন্দর ছবি টাইলসের মধ্যে মনুমেন্টের মত দাঁড়িয়ে আছে। এই জায়গাটাকে সুন্দর করে ফুলের রাজ্য বানিয়ে ছবি তোলার জন্য তৈরি করা যায়। সব কিছুতে একটু আগ্রহ একটু আন্তরিকতা আনতে পারলে এই সুন্দর দেশকে আমরা আরও সুন্দর ভাবে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে পারব। আমাদের মানুষেরা এদেশের সম্পদ এদের দিয়েই সব করানো যাবে।
পথ চলতে চলতে দেখা ছবি, মনের চোখে আরও সুন্দর লাগে ক্যামেরা দিয়ে তা দেখতে পাচ্ছি না। আমার এই সবুজ বাংলার নদী এখানে শুষ্ক, মাঠে এখনো সবুজের ছড়াছড়ি। নদীকে বাঁচাতে হবে। অনেক গাছ লাগাতে হবে এখানে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। দেশকে আমাদের ভালবেসে এইসব সুব্দর জনপদকে আরও আকর্ষণীয় এবং পর্যটন বান্ধব করা যায়। আসুন সবাই এই বাংলাকে দেখি আর ভালবাসি এই দেশটাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৮