সিউল শহর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা জার্নি করে আমরা কালচারাল ভিলেজে এসে পৌছালাম।
শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়াতে কোরিয়ানরা তাদের অতীত ভুলে যেতে বসেছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম। এরা কেবল আধুনিকতা আর প্রাচুর্য দেখে, তাদের অতীতের কষ্ট ও আগের প্রজন্মের মানুষের আত্মত্যাগ সম্বন্ধে জানতে এই আয়োজন। ছোট বাচ্চারা যাতে তাদের অতীত জানতে পারে তাই এই প্রয়াস।
এখানে শনে ছাওয়া ঘর, গরমের সময় কি করে শীতল রাখা হতো, শীতের সময় শীতের তীব্রতা কমাতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায় এসব দেখা যায়।
তাদের বিয়ে শাদী কিভাবে হতো সেসব অনুষ্ঠান ও আচার জানা যায়। এখানে অনেক কাপল আসে বিয়ের জন্য এবং সনাতন প্রথা অনুসারে তদের বিয়ে এখানে হয়। সব ব্যবস্থা আছে। বর কনের জন্য কাপড় ও ভাড়াতে পাওয়া যায় বাহিরের দোকানে। এছাড়া অনেকে এখানে তাদের ঐতিহ্য বাহী পোশাক ভাড়া নিয়ে পরে ভেতরে এসে ঘুরে ঘুরে সব দেখে। গাইডের ও ব্যবস্থা আছে, তাঁরা ভলান্টিয়ার সার্ভিস দেয়, আগে পর্যটন অফিসে জানিয়ে রাখলে তাঁরা ব্যবস্থা করে দেয়। পর্যটকরা তাদের কিছু সম্মানী দিয়ে দেয় খুশী হয়ে।
গৃহস্থলীর নানা সামগ্রী
ভেতরে গ্রামের বিচারকের/ পুলিশ স্টেশান। এখানে প্রাচীন রীতি মেনে বিয়ে অনুষ্ঠান হয়।
নানা ধরনের কুঠির শিল্প বিক্রয়ের দোকান, সুভেনির শপ, এখানে সব স্থানীয় ভাবে তৈরি।
সেই আমলের গ্রামের বাড়ী, মাটির দেয়ালের উপর ছনে ছাওয়া, দেয়াল যাতে নষ্ট না হয়।
অবস্থাপন্ন কৃষকের বাড়ী, ভেতরে বেশ বড় উঠান
ঘোড়ার নানা রকম খেলা, তীর ছোড়া ইত্যাদি।
মেঠো পথ, দুপাশে সারি সারি গাছের ছায়া, গ্রামের অনুভূতি এনে দেয়
মেঠো পথ, দুপাশে সারি সারি গাছের ছায়া
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২