অনেক নারী জাগরণবাদী নারী জাগরণের ব্যাখ্যা করছেন পুরুষ ও নারীর মধ্যে শ্রেণী সংগ্রাম হিসেবে। যেটা সমাজের জন্য শুভকর নয়।
আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায় ধর্ষণের খবর খুব ফলাও করে ছাপা হচ্ছে। যাকে বলা চলে ধর্ষণ সাংবাদিকতা। আমার মনে হয় এই ধর্ষণ-সাংবাাদিকতাও ধর্ষণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।
নারী জাগরণের অর্থ দাঁড়িয়েছে বাইরে চাকরি করার ইচ্ছা;
আগে মহিলারা যে পরিমাণ বাইরে কাজ করতেন, এখন তার চেয়ে বেশি সংখ্যায় কাজ করছেন। আসছেন পুরুষের সান্নিধ্যে। যেটা তারা আগে আসতেন না। তাই বাড়ছে মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও বলাৎকারের মাত্রা।
(যুগান্তর, ২০ জানুয়ারি ২০১৮), জাতিসঙ্ঘে কর্মরত নারী কর্মচারীদের যৌন হয়রানি করছেন ওই সংস্থার ঊর্ধ্বতন পুরুষ কর্মকর্তারা। কিন্তু চাকরি হারাবার ভয়ে নিম্নপদস্থ মহিলা কর্মচারীরা এর প্রতিবাদ করছেন না।
জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশে অবস্থিত নয়। জাতিসঙ্ঘের মতো প্রতিষ্ঠানে কেন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, সেটা ব্যাখ্যা হওয়া প্রয়োজন। নিশ্চয় জাতিসঙ্ঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের অধীন নারী কর্মচারীদের যৌন নির্যাতন করছেন নারী জাগরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়।
নারী নির্যাতন কেবল যে বাংলাদেশেই বেড়েছে এমনও নয়।
নারী নির্যাতনের সাথে নারী জাগরণ রোধ করার কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।
আমাদের দেশে এখন কিছু সংখ্যক এনজিও প্রচার করছে, মেয়েরা হলো গৃহবন্দী। আর এই গৃহবন্দিতার কারণ হলো, এ সমাজ পুরুষশাসিত। কিন্তু মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানব শিশু মাতৃদুদ্ধ পান করে বড় হয়ে ওঠে। মায়েরা সন্তানের প্রতি বিশেষ মায়া মমতা অনুভব করেন। তাদের গৃহে থাকতে হয় এই কারণেও। এটা পুরুষের কোনো ষড়যন্ত্র নয়। অন্যান্য স্তন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে সাধারণত মায়েরা এককভাবে করে সন্তান পালন। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে জনক জননীকে সাহায্য করেন সন্তান প্রতিপালনে। যে পিতা এটা করেন না, তিনি সমাজে হন নিন্দিত।
নারীর ক্ষমতায়ন কথাটাও খুব বেশি করে বলা হচ্ছে। যা থেকে মনে হয়, আমাদের দেশে নারীরা ছিলেন এবং এখনো বহুল পরিমাণে আছেন ক্ষমতাহীন। আমার পিতার কোনো গুরুতর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে, সে বিষয়ে আমার মাতার সাথে আলোচনা করতেন। আমার মনে হয় গড়পরতা পরিবারে মাতা-পিতার সম্পর্ক এ ক্ষেত্রে একই রকমই ছিল। সংসারে নারীর কোনো কথা বলার অধিকার ছিল না। এই ধারণা যথার্থ নয়। কতিপয় পরিবার ছাড়া সব পরিবারের কর্তা তার গিন্নির কথা-মন রেখে চলতো।
পুরুষ ও নারীর মধ্যে কায়িক শক্তির পার্থক্য আছে। গড়পরতা একজন পুরুষ একজন নারীর থেকে কায়িক শক্তিতে শক্তিমান। একজন পুরুষ যত সহজে একজন নারীর ওপর বল প্রয়োগ করতে পারেন, একজন নারী তা পারেন না।
পুরুষ ও নারীর কায়িক শক্তির পার্থক্য তর্কের বিষয় নয়। তাই আমরা দেখি ছেলে ও মেয়ের অলিম্পিক পৃথকভাবে হতে; একসাথে অর্থাৎ একত্রে অনুষ্ঠিত হতে নয়। অন্তত এখন পর্যন্ত তা করা হচ্ছে না।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা যে পরিমাণ ভারোত্তোলন করতে পারছে, মেয়েরা তা পারছে না। ছেলেরা যে পরিমাণ ভারী বস্তু যতদূরে নিক্ষেপ করতে পারছে, মেয়েরা তা পারছে না। কিন্তু মেয়েরা অনেক অল্প বয়সে ছেলেদের চেয়ে সুন্দর করে সাজ-পোশাক পরতে পারে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অনেক কম বয়সে গুছিয়ে কথা কলতে পারে। ছেলেরা জীবাণুজনিত অসুখে যে হারে মারা মারা যায়, মেয়েরা তা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১