বউ আমাকে কেমন ভালোবাসে উদাহরণ দেই -
- সিম কত কইরা আনছো?
- ১০০ টাকা
- বাসায় আইসা ৮০ টাকা কইরা দিয়া যায়। আর বাজারে গিয়া ১০০ টাকা দিয়া আনছো?
শুনে মনে হচ্ছে না, আহারে কত মায়া? সিমওয়ালার প্রতিও তার মায়ার অভাব নাই।
- আচ্ছা ইচ্ছা কইরাই তলানীর সিমগুলা আনছো। নাকি উনিই বুদ্ধি করে দিয়া দিছে?
এই ২০ টাকা অতিরিক্তি খরচের কারনে অন্তত ২০ মিনিট তার মনযোগ আমার প্রতি থাকে, খারাপ কী?
-০-
সোলার প্যানেল কিনে একটা গবেষণা করছি। প্যানেল, ইনভার্টার ইত্যাদি দিয়ে ল্যাপটপ চালাচ্ছি। বউ ভ্রু কুঁচকায়ে বল্লো, বেড়ার ঘরে লোহার তালা দেওয়া বন্ধ করো।
প্রিয় ট্যা ট্যা করতেছিল। ওর মা আমারে ঝাড়তে দেখে চুপ মেরে গেলো। এরপর দেখি ফিক করে একটু হাসিও দিলো। এর মানে কী? ও কি এই ভেবে খুশি যে যাক, আমার উপর দিয়া তো যায় নাই, বাপের উপর দিয়া গেছে।
-০-
ইংরেজীতে একটা কথা আছে, এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। অর্থাৎ যুদ্ধ ও প্রেমে সব কিছুই হালাল। বউ আমারে ঝাড়ে, প্রেমেই তো ঝাড়ে! অতএব হালাল। আমিও হালকা পাতলা পলিটিক্স করি। প্রেমেইতো করি, অতএব এইটাও হালাল। পলিটিক্সের উদাহরণ দেই। হয়ত গিন্নি ভাত খাচ্ছে। নিজে এক গ্লাস পানি খেয়ে, আস্তে করে আরেক গ্লাস ওর হাতের কাছে রেখে দেই। হয়ত বাথরুমে গেলাম। জামা কাপর কিছু আছে, ধুয়ে ছড়ায়ে দিলাম। এই পলিটিক্সের লাভ টা কী? আছেরে ভাই, লাভ আছে। যখন আমি আশেপাশে থাকি না তখন নিশ্চয়ই বিষয়টা তার মাথায় আসে। আর এই কারেন ঝাড়িটা ঝাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। একটা কাল্পনিক উদাহরণ দিয়ে শেষ করি।
অফিসের পিওনটা কাঁদতেছে। বস জিজ্ঞাসা করলো
- কিরে কী হইছে?
- স্যার বউ মারছে।
- হারামজাদা বউ মারলে কাঁদতে হয়! আমারে কাঁদতে দেখোস্?
-০-
নিশ্চয়ই ইহাতে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে, যদি বুদ্ধিমান হও।