কয়েকজন দেখলাম মাফ, টাফ চেয়ে একাকার!
" নববর্ষের নারী লাঞ্ছনায় আমি পুরুষ হিসাবে লজ্জিত" এই টাইপ কথাবার্তা।
এমন কথা যারা বলেছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমি লজ্জিত না।
কারন, যারা লাঞ্ছনাটা করেছে তারাতো পুরুষ না! তাই আমি পুরুষ হয়ে কেন লজ্জিত হবো? বরং আমি লজ্জিত দেশের প্রশাসনের ভূমিকার জন্য।
নারীকে আঘাত করা, লাঞ্ছনা করা কাপুরুষ, কুপুরুষ, কুমানুষের কাজ। এই কাজ যারা করেছে তাদের কঠিনতম বিচারের অপেক্ষায় রইলাম।
এখন সরকার যদি মনে করেন, যারা লাঞ্ছনা করেছে তারা সরকারের দলের লোক। তাদের বিচার করা মানে দল থেকে লোক কমে যাওয়া। তাহলে বড় দুঃসময়ের মধ্যে আছে জননী বঙ্গভূমি। এ ছাড়া আর বেশী কিছু বলার নাই।
আর সরকার যদি মনে করেন, এদেরকে খোঁজে বের করে শাস্তি দিবে। তাহলে কোন দল-ই করেনা এমন মানুষগুলো অন্তত সরকারের দলে ভীড়বে। যাদের সংখ্যা লাঞ্ছনাকারীদের চাইতে হাজারগুন বেশী!
নূর হোসেন কিন্তু প্রমিনেন্ট কোন ফিগার ছিলো না। অথচ ছোট্ট একটা মেচের কাঠির বারুদের মত এই ঘটনা জ্বলে উঠলো। আর ফলাফলতো আজ সবার জানা। কে জানে, এই ঘটনাটাও আরেকটা এমন মেচের কাঠি কি না সরকারের জন্য!
আমার যুক্তিতে সে-ই পুরুষ
- পৌরষ যাকে বিনয়ী বানায়, বেয়াদব না।
- নারীকে যিনি সম্মান করেন, ভালোবাসেন।
- নারীর সমস্ত যৌক্তিক, অযৌক্তিক অনুরোধ, আদেশ মন দিয়ে শুনেন। এবং যতটা সম্ভব তা করেন।
অতএব বড়ভাইরা, যারা পুরুষ হিসাবে সরি বলা শুরু করছেন। আপনাদের সরি উঠায়ে নেন। আর যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করেন সঠিক বিচারের।
বিষয়টার সঠিক বিচার না হলে -
এই সরকারের আমলে কেউ কোনদিন আর উৎসবে বের হবে না। আর দুঃখজনক কথা হলো, এই সরকারের চেয়ে অন্য কোন সরকার ভালো হবে, এর সম্ভাবনাও নাই। অতএব, সরকারই একমাত্র ভরসা।
জননী জন্মভূমি, অপেক্ষা করো। তোমার ক্ষমতাবান সন্তানেরা দেখো কিছু করেন কি না।