গাড়ীর চাকা গোল। এইটা পরীক্ষিত এবং প্রমানিত সত্য। এখন কেউ যদি গাড়ীতে চাইর কোনা চাক্কা লাগায়! কেমন লাগবো?
ঢাকা শহরে অনেকগুলা ফ্লাইওভার হইছে। ছোট, মাঝারি সব কয়টাতেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সুন্দর সমাধান করা আছে। পাইপ দিয়ে এই সমাধান করা। পাইপটাকে সুন্দর করে বাঁকা করে একেবারে মাটির কাছে এনে ছেড়ে দেওয়া হইছে। অতএব গাড়ীতে গোল চাকা লাগানোর মত সুন্দর সমাধান।
এখন বলি, গাড়ীতে চার কোনা চাকা লাগানোর উদাহরণ। বাংলাদেশের সব চাইতে বড় যেফ্লাইওভার, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। এতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অবস্থাটা দেখছেন? এইখানে বুদ্ধি করে তারা পানি নিষ্কাশনের পাইপ লাগাইছে এক হাত দৈর্ঘের। জাষ্ট ছিদ্রটা কইরা পাইপ লাগাইয়া থুইছে।
গাড়ীতে চার কোনা চাকা লাগাইলে কি হইবো? গাড়ী লক্কর, ঝক্কর করবো। তাই না? এই খানেও হইছে তাই। ফ্লাইওভারের উপর থেকে বিশাল পানির ফোয়াড়া সরাসরি মাটিতে পড়ে। শত শত পাইপ দিয়ে এই পানি পড়ে। তাই নীচের রাস্তায় শত শত ইয়া বড় মিনি পুকুর সাইজ গর্ত হয়ে গেছে। তার মানে বুদ্ধিতে কাজ দিছে। দেশের সব ফ্লাইওভারে ফ্রিতে উঠা যায়। আর সেই সবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও সুন্দর। পাইপ দিয়ে সুন্দর করে মাটি পর্যন্ত এনে তবেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
কিন্তু যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওয়ার তো আর ফ্রি না! মাইক্রোবাসে মেঘনা, দাউতকান্দি দুই নদী পার্ হওয়া যায় ৪০ টাকা দিয়া। অথচ সামান্য একটু রাস্তার উপর দিয়া যাওয়ার জন্য দিতে হয় দ্বিগুনেরও বেশী, ৮৫ টাকা! এখন নীচের রাস্তা যদি ভালো থাকে, তাহলে কেউ কি ফ্লাইওভারে উঠবো? উঠবো না তো। তাই একমাত্র এই ফ্লাইওভারেই ইচ্ছা করে বৃষ্টির পানি ফেলা হচ্ছে উপর থেকে সরাসরি নীচের রাস্তায়।
নীচের রাস্তায় মিনি পুকুর মানে হইলো বাধ্য হয়ে ফ্লাইওভারে উঠতে হবে। নাহলে টাকা গুনার মেশিন কি আর ঘরঘর কইরা ঘুরবো? ভালো তো, ভালো না!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬