রাত বাজে তিনটা। সুমি ভাই ভাবছেন নদী পার হবেন কিভাবে! বহু বছর আগের ঘটনা। তখন মোবাইলের যামানা না। নদীর দিকে যাচ্ছেন আর ভাবছেন, দেশের বাড়ীতে এমন করে কাউকে না জানিয়ে হুটহাট চলে আসাটা ঠিক হয় নাই। কিন্তু নদীর পাড়ে গিয়ে তিনি অবাক হয়ে গেলেন, মাঝি বসে আছে নৌকা নিয়ে। জিজ্ঞাসা করলেন
- কি রে এত রাতে?
মাঝি বললো
- আপনার মা আমাকে ঘুম ভাঙ্গায়ে বললেন, যা সুমি দাড়ায়ে আছে ঐ পাড়ে, নিয়া আয়।
-০-
গত কয় দিন আগের ঘটনা। আমার খালাতো শালা প্রতীক আসবে চিটাগাং থেকে। বাস লেট করলো। ঢাকা পৌছাইতে পৌছাইতে রাত আড়াইটা বেজে গেলো। রাস্তায় তাকে ধরলো জনগণের-বন্ধু। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর আইডি কার্ড দেখাইলো। তাতেও কিছু হইলো না।
এদিক দিয়া হঠাৎ খালাম্মার ঘুম ভাংলো। তিনি খালুকে বল্লেন
- গোয়ালবাড়ীর মোড়ে প্রতীকরে পুলিশে আটকাইছে। যাও নিয়া আসো।
-০-
শুধু মায়েদেরই উপরওয়ালা এত ক্ষমতা দিয়েছেন? আমার মরা মা টা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে তা আমি সন্তান হিসাবে একটা বার জানতে পারবো না! আল্লাহগো কেন পারবো না? খুব যে মা কে দেখতে ইচ্ছা করে গো মা'বুদ।
-০-
আব্বাস উদ্দীনের একটা গান আছে, মাঝি বাইয়া যাওরে...। এই গানের মাঝের একটা লাইন হইলো "বিদেশে বিভূয়ে যার বেটা মারা যায় / পাড়া পড়শী জানার আগে জানে তার মা'য় রে মাঝি বাইয়া যাওরে..."
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯