somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়ে

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানা গল্প। পড়েছিলাম ইংরেজীতে। বাংলায় লেখার লোভ সামলাইতে পারলাম না।

প্রেমিক প্রেমিকা বিয়া করলো। সিদ্ধান্ত হইলো, হানিমুনের এক সপ্তাহ তারা কোথাও যাবে না। দড়জা, জানালা বন্ধ করে নিজেদের ফ্ল্যাটেই থাকবে। ফোন টোন সব থাকবে বন্ধ। দুনিয়ার যে ই আসুক, তারা ফিরাও তাকাবে না
সময়টা কেবলই দুইজনার।

প্রথম দিন গেলো। দুই পক্ষের বাবা মা সন্তানদের না দেখে কোন মতে থাকলো। পরের দিন ভোর বেলা ছেলের বাপের আর মন মানে না। ভোর বেলা দড়জায় খটখট করে বললো
- কুটকুট আমার। বাবা পাখী আমার...
কিন্তু দড়জা বন্ধ ছিলো বন্ধই রইলো। একে একে সবার বাবা মা ই আসলো, ডাকলো। কিন্তু দড়জা আর কেউ খোলে না। ভিতর থেকে কেউ সাড়া শব্দও করে না। শেষমেশ মেয়ের বাবা বললো
- মা গো জানালা দিয়া একটু মুখটা দেখাওগো জননী। তোমারে না দেইখাতো কোনদিন ছিলাম না। আর পারতেছি না।

মেয়ে জানালা খুলবে কী! দড়জা খুইলা বাপের বুকে ঝাপায়া পড়লো। পরে জামাইকে বললো
- সরি আমি সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারলাম না।
জামাই কিছু বললো না। এরা সযসার শুরু করলো।

পরপর দুইটা ছেলে হইলো সংসারে। ছোটখাটো অনুষ্ঠানও করলো। পরের বার হইলো মেয়ে। গিন্নির মনে ভয় ঢোকে গেলো! ভাবলো, মেয়ে হয়ে আমি সংসার শুরুতেই নিয়ম ভাঙছিলাম। আমার জামাই নিশ্চয়ই মেয়ে হওয়াতে মন খারাপ করবো।

মেয়ের অনুষ্ঠানে এবার তার বাবা বি-শা-ল অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। রাস্তাঘাটের পরিচিত লোকদেরও দাওয়াত দিলেন। বউ অবাক হয়ে বললো
- মেয়ে হওয়াতে তুমি কষ্ট পাও নাই!

লোকটা বউয়ের দিকে ফেল ফেল করে তাকায়ে কেঁদে দিলো। বললো
- এই মেয়েইতো আমার জন্য দড়জা খুইলা বের হইয়া আসবো বউ! আর দুই হারামজাদাতো হইবো আমার মত। আমার ডাকাডাকিতে জীবনেও দড়জা খোলবো না।
-০-
গল্প শেষ। আমার একটা মেয়ের খুব শখ ছিলো। হইলো প্রিয়। দেখি ছেলেও কম মায়া লাগে না। তবে প্রিয় বড় হোক, সংসার করুক। যদি অদ্দিন বেঁচে থাকি, তার দড়জায় খটখট করবো না। এখন প্রিয় আমাকে ধাক্কায়ে শোয়ায়। তারপর পিঠে উঠে দাঁড়ায়। তখন অপেক্ষা করবো, কখন প্রিয় আইসা আমারে খাটে ফালায়া বাপের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলবে।
দুনিয়ার সব বালিকারাই এখন আমার মেয়ে। এরা সবাই আছে আমার জন্য দড়জা খুলে দিতে :)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×