১ লেবু-নারকেলে হাঁস
উপকরণ: হাঁসের মাংস আট টুকরা, নারকেলের দুধ ২ কাপ, নারকেল ফালি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসা ১ চা-চামচ, (কুচিকরা), আদা, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, চিনি ২ চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।
প্রণালি: প্রথমে হাঁস ভালো করে পরিষ্কার এবং টুকরা করে ধুয়ে নিতে হবে। সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু নরম করে হাঁসের মাংস ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে আদা-রসুনবাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়া, লবণ, দারচিনি, এলাচ ও নারকেলের ফালি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। কষা হলে নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ৫ মিনিট। মাংস সেদ্ধ হলে লেবুর রস, লেবুর খোসা, কাঁচা মরিচ, চিনি এবং সবশেষে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় লেবু-নারকেলের হাঁস। —
২ হাসের রোস্ট
উপকরণ : হাঁস ১টি (মাঝারি সাইজের), রসুন ৪ কোয়া, পিঁয়াজ মোটা করে কাটা ২টি, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ৪টি, গোলমরিচ ৪টি, লবণ সামান্য, গাজর মোটা করে কাটা ৪-৫ টুকরা।
প্রণালী : হাঁস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে লোম উঠিয়ে চুলায় পোড়া দিয়ে নিতে হবে। এবার পেটের ভেতর খুব ভালো করে পরিষ্কার করে উপরের সব উপকরণ হাঁসের পেটের মধ্যে ভরে মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিতে হবে। এবার কাটা চামচ দিয়ে কুচিয়ে লবণ, ১ চা চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা ও শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে একটু লালচে রং করে ভেজে উঠিয়ে নিতে হবে
রোস্টের উপকরণ : আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, পিয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, জায়ফল গুঁড়া সিকি চা চামচ, জয়ত্রি গুঁড়া সিকি চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ৪ টুকরা, পোস্তদানা বাটা ১ চা চামচ, দই আদা কাপ, পিয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, মাওয়া ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ও কেওড়া ১ চা চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, তেল ১ কাপ।
প্রণালী : কড়াইয়ে তেল দিয়ে তার মধ্যে শুকনা মরিচ ছেড়ে একটু ভেজে দইয়ের মধ্যে পিয়াজ বেরেস্তা, মাওয়া, চিনি বাদে সব দিয়ে ফেটে নিতে হবে। এবার মরিচের মধ্যে ঢেলে কষাতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে হাঁস দিয়ে একটু কষিয়ে আধালিটার পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। যদি সেদ্ধ না হয় আবার আধা কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে পিয়াজ বেরেস্তার মধ্যে মাওয়া, চিনি দিয়ে মাখিয়ে হাঁসের মধ্যে ছাড়তে হবে এবং দমে রাখতে হবে আধাঘণ্টা। এবার পেটের ভেতর থেকে সব বের করে সার্ভিং ডিশে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
৩ টমেটো চিংড়ি মালায়কারি।
উপকরণ: বড় মাঝারি চিংড়ি ২০০ গ্রাম (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, লাল কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, টমেটো ৩টি (প্রতিটি লম্বায় ৪ টুকরো করতে হবে)। মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, গোটা জিরা সিকি চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, সরিষার তেল সিকি কাপ।
প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজার একই তেলে গোটা জিরার ফোড়ন দিয়ে আদা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ নারকেলের দুধ দিন। আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু হলে জ্বাল কমিয়ে লবণ ও চিনি দিয়ে হালকা নেড়ে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। সামান্য গরম পানি দিয়ে কষান। এবার বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে হালকা নেড়ে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিন। চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুুলে নাড়ুন। তারপর টমেটো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে, তখন চেরা কাঁচা ও পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।
৪ আলু দিয়ে লালশাক ভাজা
উপকরণ: কুচি করে কাটা লালশাক ৫০০ গ্রাম, আলু কুচি করে কাটা ১টি (ছোট), রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৪-৫টি, হলুদ এক চিমটি, পানি ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: আলুতে একটু হলুদ ও লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করতে হবে। এবার আলুর ভেতর শাক ছড়িয়ে দিয়ে ওপরে লবণ দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। প্রয়োজনে পানি দিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অন্য হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে শুকনো মরিচ লাল করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার রসুন লাল করে ভেজে রান্না করা শাক ফোড়ন দিয়ে নামিয়ে ভাজা মরিচ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
৫ খাসির কলিজা ভুনা
উপকরণ: খাসির কলিজা ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ চা চামচ, এলাচ, দারুচিনি, জায়ফল, জয়ত্রি গুঁড়া ১ চা চামচ, টক দই ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, তেল আধা কাপ।
প্রণালী: কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে মরিচ বাটা দিয়ে সব মসলা ও দই দিয়ে কষিয়ে কলিজা দিতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে কলিজা কষাতে হবে। ভুনা ভুনা হলে নামিয়ে নিতে হবে। চালের আটার রুটি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। —
৬ নিরামিষ
উপকরণ : সবজি (পছন্দমতো) ২ কাপ, সয়াবিন তেল ৪ টে. চামচ, ঘি ১ টে. চামচ, পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, শুকনা মরিচ ২/৩টা, তেজপাতা ২টা, ধনে বাটা ১ চামচ, জিরা বাটা ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে শুকনা মরিচ, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা এবং পরে আদা, জিরা, ধনে বাটা ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে মসলা কষিয়ে সবজিগুলো দিতে হবে। কিছুক্ষণ কষিয়ে সামান্য পানি দিয়ে তেল ওপরে উঠে এলে নামাতে হবে। নামানোর আগে ঘি দিয়ে নামাতে হবে
৭ সরিষা ইলিশ
উপকরণ : ইলিশ মাছ (বড়) ৮ টুকরা, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল পৌনে ১ কাপ, টকদই ৩ টেবিল চামচ, পানি দেড় কাপ।
প্রণালি : তেল গরম করে পেঁয়াজ নরম করে ভেজে সমস্ত বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে লবণ, দই, পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ দিতে হবে। তেলের ওপর এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।
৮ গরুর ঝাল ভুনা
উপকরণ: গরুর গোশত ১ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, শুকনা মরিচ ১০-১২টা, সয়াবিন তেল পৌনে ১ কাপ।
প্রণালী: আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে মাংস আধা ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। তেলে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে এবং শুকনা মরিচ ভেজে তুলে রাখতে হবে। ওই তেলে মাখানো মাংস দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। প্রয়োজনে অল্প গরম পানি দিতে হবে। সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও শুকনা মরিচ গুঁড়া করে দিতে হবে। ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
৯আমের টক আচার
উপকরণ : কাঁচা আম খোসাসহ ১ কেজি, সরিষার তেল দেড় কাপ, রসুন কুচি আধা কাপ, হিং আধা চা চামচ, মেথি আধা চা চামচ, পাঁচফোড়ন ভাজা গুঁড়ো ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী : আম খোসাসহ ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে রোদে দিন পাঁচ ছয় ঘণ্টা। মেথি ভেজে গুঁড়ো করে নিন। অর্ধেক সরিষার তেল নিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে তেল গরম হলে হিং এবং রসুন দিন। রসুন লাল হলে মেথি গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, সরিষা গুঁড়ো, পাঁচফোড়ন ভাজা গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিন। এরপর এ মসলা ঠাণ্ডা হলে রোদে দেওয়া আমে মেখে নিয়ে বৈয়ামে ভরে দুই-তিন দিন রোদে দিন। পরে বাকি অর্ধেক তেল জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা হলে আচারে ঢেলে কয়েকদিন রোদ দিয়ে খাওয়ার উপযোগী করুন।
১০ চিকেন স্যান্ডউইচ
উপকরণঃ
১. পাউরুটি ৮ টুকরা
২. মুরগির কিমা ১ কাপ
৩. পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ
৪. তেল বা মাখন ২ টেবিল চামচ
৫. গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. ময়দা দেড় টেবিল চামচ
৭. দুধ আধা কাপ
প্রণালীঃ
তেলে পেঁয়াজ হালকা করে ভেজে তাতে মাংস, গোলমরিচ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে ময়দা দিয়ে নাড়ুন। বাদামি রং হলে এবার দুধ দিয়ে নাড়ুন। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে নিন। পাউরুটির চার পাশ কাটুন, রুটির ওপর মাখন মেখে মাংসের মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করুন
দেশি রান্নার বিশাল সংগ্রহশালা.।.।সংগ্রহে রাখার মত একটি পোষ্ট।।বিশেষ করে ব্যাচেলরদের জন্য যাদের বঊ অভাবে নিজেদেরকে রান্না করতে হয়!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন