somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিউজিকের বর্ণমালার সাথে একটু পরিচিত হলে আশা করি ক্ষতি নেই …!!! :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বাদ্যযন্ত্রগুলা কিন্তু কথা বলতে পারে। অবাক হচ্ছেন ? উহু… অবাক হবার কিচ্ছু নেই। তবে এই যন্ত্রগুলির ভাষা আমাদের থেকে আলাদা, বর্নমালা আলাদা…আলাদা তার ব্যাকরন। আপনি যেই ওয়েষ্টার্ন মিউজিক নিয়ে কথা বলুন কিংবা শাস্ত্রীয় সংগীত- মৌলিক ব্যাকরন ঐ এক জায়গা থেকেই শুরু হয়। আমরা যেমন আমাদের ভাষাকে লিখিত ভাবে প্রকাশ করবার জন্য বর্ণমালা ব্যাবহার করি, তেমন মিউজিকের ক্ষেত্রেও একধরনের বর্ণমালা আছে। মিউজিকের এক একটি বর্ণকে Note বলা হয়। এরকম মোটামুটি ১২ টি নোট মিউজিকে আছে, তবে মৌলিক ভাবে বলা যায় সাতটির কথা। সেগুলো পর্যায়ক্রমেঃ সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি । আপনার প্রশ্ন আসতে পারে, আজ লন্ডনে বসে যে ছেলেটা মিউজিক শিখছে সে ও কি সা, রে, গা … এগুলো ব্যাবহার করে ? উত্তর হবে না । এই প্রথাটি শুধু আমাদের এই উপমহাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সাতটি মৌলিক নোটকে ওরা যেভাবে বলেঃ do, re, mi, fa, sol, la, ti । আবার এই সাতটি নোটকে সাংকেতিক ভাবে লেখা হয়ঃ C, D, E, F, G, A, B । তবে এই সাংকেতিক রূপটিই ওয়েস্টার্ন যন্ত্রগুলো শেখানো ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে ব্যাবহৃত হয়। আচ্ছা এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক । আমরা কম্পাংকের ব্যাপারে সবাই জানি, যেহেতু নোটগুলো শব্দ উৎপত্ত করে তাই কম্পাংক এর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমি যখন C নোট টি কোন বাদ্রযন্ত্রে বাজাবেন একটি শ্রুতিমধুর শব্দ উৎপন্ন হবে। এবার যখন D নোট টি বাজাবেন সেটা C এর তুলনায় বেশি তীক্ষন হবে অর্থাৎ কম্পাংক বেশি হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে কম্পাংক ও তীক্ষ্ণতা বাড়তেই থাকবে। অর্থাৎ সবচে কম তীক্ষ্ণতা বা কম্পাংকের নোট হল C (উপমহাদেশীয় শাস্ত্র মতে “সা”) এবং সবচে বেশি তীক্ষ্ণতা বা কম্পাংকের নোট হল B (উপমহাদেশীয় শাস্ত্রমতে “নি”)। এভাবে C থেকে B পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বাজিয়ে যাওয়াকে বলে Ascending Order এ বাজানো এবং এর উল্টোটাকে বলে Descending Order এ বাজানো।

আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক, আমি আগে লিখেছিলাম মিউজিকের ১২ টি নোটের কথা। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি মাত্র সাতটি। বাকি গুলো কই ? যখন আমরা পরপর দুটি নোট বাজাই তখন তখন তাকে বলা হয় Full Step । যেমনঃ কেউ যখন C নোট টির পরে D নোটটি বাজায় তখন একটা ফুল স্টেপ সম্পন্ন করল কারন এদুটি হল পর্যায়ক্রমিক নোট। কিন্তু মিউজিকে Half Step বলেও একটি কনসেপ্ট আছে। পর্যায়ক্রমিক দুটি মৌলিক নোটের মাঝামাঝি নোটটি বাজানোকে বলা হয় হাফ স্টেপ এবং মাঝের ঐ নোটটিকে বলা হয় প্রথম নোটটির Sharp Note । একে প্রকাশ করা হয় “#” চিহ্ন দ্বারা। ধরুন, আপনাকে জিজ্ঞাসা করা করা হল ১ এবং ২ এর মাঝের সংখ্যাটি কত ? আপনি বলবেন ১.৫ । ঠিক তেমন আপনাকে যদি এখন জিজ্ঞাসা করা হয় C এবং D এর মাঝের নোটটি কি ? আপনি ঠিক তেমন ভাবে বলবেন C# (উচ্চারনঃ সি শার্প ) । ঠিক তেমন ভাবে D এবং E এর মাঝের নোটটির নাম D# (ডি শার্প), F এবং G এর মাঝের নোটটির নাম F# (এফ শার্প) ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একটা কথা আজীবন মনে রাখতে হবে যে E এবং B নোটের কোন শার্প নোট নাই। তাছাড়া অন্য নোট গুলার শার্প নোট আছে। এবার কতগুলো নোট দাঁড়ায় গুনে দেখিঃ
C -> C# -> D -> D# -> E -> F -> F# -> G -> G# -> A -> A# -> B
এখানে লক্ষণীয় দুটি ব্যাপার আছে। প্রথমত, খেয়াল করে দেখুন নোট মোট বারোটি। দ্বিতীয়ত, E এবং B এর কোন শার্প নোট নাই অর্থাৎ নোট দুটির নামের পাশে কোন # চিহ্ন নাই। এই গেল মিউজিকের নোট গুলোকে চেনার একটা উপায়। মিউজিশিয়ানরা বিভিন্ন গানে বিভিন্ন স্কেল, তাল, লয় ইত্যাদির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই নোটগুলোর থেকেই গ্রামটিক্যালি বেছে বেছে বাজিয়ে শ্রুতি মধুর সুর তৈরী করেন। পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ গিটারের কিছু লেসনের মৌলিক দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব; যতটুকু আমার জ্ঞানে কুলোয় আর কি !!! :D
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×