নিউটন ( সেই আপেল পরা থেকে অভিকর্ষ আবিস্কারক )ছিল চেইন স্মোকার। একের পর এক বিড়ি ফুঁকত আর বিভিন্ন ভাবনায় থাকত মত্ত।প্রেমিকার হাতে হাত রেখে এক বিকালে সে বসে গল্প করছে । এমন সময় তার সিগারেটের নেশা পেয়ে বসেছে। আনমনে গল্প শুনতে শুনতে আর বিভিন্ন ভাবনা ভাবতে ভাবতে সে তার গফের আঙ্গুল মুখে পুরে ( সিগারেট স্টাইলে) নিচ থেকে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে দিয়েছে ( যদিও সে ভাবেনি সে সিগারেট না জ্বালিয়ে গফের আঙ্গুল জ্বালিয়েছে ) এই ঘটনার পর তাই গফ তাকে ছেড়ে চলে যায়। এবং নিউটনের প্রেমে খাদ না থাকার পরেও তার গফ আর ফিরে আসেনি। গফের লজিক ছিল এমন, যে লোক আঙ্গুল আর সিগারেটের মাঝে তফাৎ বুঝেনা এমন ভাবুক লোকের সাথে ঘর করা যায়না
এবার ছোট্ট একটি যাপিত জীবনের গল্প শোনাই, বাসে করে মহাখালীতে যাচ্ছিলাম। দুপুর বেলা মোটামুটি লোকজন কম থাকায় বাসে সিট থাকার পরেও পিছনে দিকে বসেছি। কাজী পাড়া থেকে বাসে ইউনিফর্ম পড়ুয়া এক ছেলে উঠল ( বুঝাই যাচ্ছিল কলেজ লেভেলের স্টুডেন্ট )
ওমা!!! আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই ছেলে বাস ফাঁকা পেয়ে বাসের পিছনে বিড়ি ফুকা শুরু করল
আমি পিছনে ঘুরে বললাম,"ভাইয়া,পাবলিক বাস,তাই......... স্মোকিং করনা" আমি ভেবেছিলুম সে তর্ক করবে বা বিবাদে যাবে। কিন্তু সে হাতের সিগারেট ফেলে দিয়ে আমাকে অবাক করে দিয়ে পিছন থেকে এসে আমার পাশে বসল।
এবার সে বলতে শুরু করল, সে একটি কলেজে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে, এক ক্লাস ম্যাটকে প্রপোজ করেছিল। তার সাড়া না পাওয়ায় দেবু বাবু হতে চাচ্ছেন। যাই হোক এ প্রসঙ্গের আপাত ইতি টেনে "নিউটন"নামা বলে শুনালাম।মুখে হাসি এনে এটাও বলিলাম,
না পড়ার আগে প্রেমে
ধরিলে বিড়ি ফুঁকা
কি ফুকিবে তখন
যখন গফ দিবে ছ্যাঁকা ???
বালক বলিল, তখন দাদা "বাংলাই" ভরসা বাস মহাখালী আসিল। আর আমিও এই বলিয়া নামিয়া গেলাম- " নেশা খাবি খা,মারা যাবি যা"
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২১