somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দি ডিরেক্টর-বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা এক সিনেমায় আদিমতার হাতছানি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেইসবুকের কল্যানে মোটামুটিভাবে দি ডিরেক্টরের আনাগোনার সাথে আমি নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে আছি। কিন্তু এইটা নিয়া আগ্রহ টাগ্রহ তেমন ছিল না। কোন কোন দিন দেখা যাইত দ্যা ডিরেক্টর গ্রুপ থাইকা মেসেজ পাঠাইছে, কি মেসেজ আর পইড়া দেহি না। কই কই জানি দেখলাম এই সিনেমার গান নিয়া কারা কারা খুব প্রশংসা করতেছে। আমি সেই গানও শুনি নাই। আগ্রহ পাই না দেইখা। তারপরও দি ডিরেক্টর আমার আশপাশের বাংলা সিনেমার মতো একটা পোস্টার হয়া ঝুইলা থাকে, আমি খালি তাকাই, দেখি না। সেদিন একটা ছবি দেইখা চোখ আটকাইলো। তহনি মনে হইলো কি আছে এই সিনেমায়। এতো প্রচার দিয়া-আয়োজন নিয়া কি কইতে চায় দি ডিরেক্টর। পোস্টারটা দেহেন-এই পোস্টার ক্যান আমার দৃষ্টি আটকাইলো তা নিয়া আরা কথা না কই। বরঞ্চ বুঝবার চেষ্টা করেন, এই পোস্টার কি কইতে চায়। এই সিনেমার কাহীনি আর আরো কিছু স্থির চিত্র দেখলেই আপনাদেরও মনে হইতে পারে কি কইতে চায় এই সিনেমা, আর মনে না হইলে মাইনাস দিয়া যায়েন, নো আপত্তি। ছবি আর কাহিনীর সাথে ফাও হিসাবে পাইবেন ওই দি ডিরেক্টর গ্রুপের ওয়ালে লেখা কিছু কমেন্ট। আর সেই গ্রুপের কিছু ছবির পোস্ট ট্যাগগুলো উল্লেখ করবার মতো নির্লজ্জ হইতে পারলাম না।

এবার দেখুন এই ছবির কাহীনি কি-
‌''দাম্পত্য সংকট নিয়ে ছবি নির্মাণ করছে ডিরেক্টর রতন। তার বউ হেনা চাকরি করে রংপুরে। ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ে আদ্রিতাকে নিয়ে সে রংপুরেই থাকে। ছুটিছাটায় মা-মেয়ে বেড়াতে আসে ঢাকায়। এবারেও তারা এসেছে। ছবি আঁকা, কার্টুন দেখা, আর ঘর-বারান্দা-ছাদে খেলে বেড়ানো, ঢাকায় থাকার দিনগুলো এভাবেই কেটে যায় ফোকলা দাঁতের মিষ্টি মেয়ে আদ্রিতার। শুটিং শেষে গভীর রাতে ঘরে ফেরে রতন। ক্লান্ত আর অবসন্ন দেহ মুহূর্তেই হারিয়ে যায় ঘুমের অতলে। স্বামীকে কাছে পেয়েও পুরোপুরি পাওয়া হয় না হেনার। অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে তার অন্তর্গত রক্তের ভেতর।
রতনের সময় নেই। যতক্ষণ বাসায় থাকে, মেয়েকে নিয়ে মশগুল। আর যতক্ষণ শুটিং-এ, যতক্ষণ আড়ালে, ততক্ষণ-ই নায়িকা ফারিয়া। সেই আদিমের হাতছানি। সেই ছলনার মায়াজাল। যে দাম্পত্য সংকট নিয়ে ছবি বানাচ্ছিল রতন, সেই দাম্পত্য সংকটই তছনছ করে দিল আদ্রিতা ও তার মায়ের জীবন।
তারপর? তার পরই এক নতুন চমক। পত্রিকায় খবর এলো, ছবির কাজ অসমাপ্ত, নায়িকাসহ ডিরেক্টর উধাও। খবর পড়ে চান্দি গরম প্রোডিউসার কচি খন্দকারের। গল্প বাঁক নিয়ে দৌড় দেয় অন্য দিকে। বিপদে পড়ে কচি ফোন দেয় কামরুজ্জামান কামুকে। নারী-বেষ্টিত কে এই কামু ? আগে একবার তাকে দেখা গিয়েছিল ফারিয়া-রতনের অভিসারের সাক্ষী হিসাবে! এবার দেখা গেল তার আরেক রূপ। রহস্যময় কামুর মধ্যস্থতায় অসমাপ্ত ছবির কাজ শেষ করার দায়িত্ব পায় ডিরেক্টর মারজুক রাসেল। সে কাস্ট করে নায়িকা পপিকে। শুরু হয় মারজুক-পপির ফ্যান্টাসি।
কিন্তু কামুর বান্ধবী চৈতি কেন ফোন করে হুমকি দেয় মারজুককে? সংকট গভীর হয়। হাওয়া খেয়ে ফেরার পথে মারজুকের গাড়ি থেকে পপিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ভিলেনের মত কে এই কালো লোকটা ? এখন নায়িকা ছাড়া কিভাবে শেষ হবে ছবির কাজ ? তাহলে কি কচি খন্দকার ঈদের আগে মুক্তি দিতে পারবে না তার জীবনের প্রথম ছবি? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিবে বাস্তবে ভরা কল্পনায় ঠাসা নাচেগানে ভরপুর পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা দি ডিরেক্টর।''

সিনেমাটা দেখমু কি না জানি না। কিন্তু আমি যে কিছু জায়গায় একদমই বুঝি নাই। আপনেরা পারলে এট্টু বাঝায় দিয়েন। এই যেমন ধরেন-অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে তার অন্তর্গত রক্তের ভেতর। এখানে বিপন্ন বিস্ময়টা জিনিসটা কি। বাকি কাহীনি পইড়া মনে হয় নাই বিপন্ন বিস্ময় জাতিয় কিছু সেখানে আছে। অন্তত ছবি আর প্রচারণা দেইখা যা আছে বইলা মনে হইলো তা হইতাছে- সেই আদিমের হাতছানি। সেই ছলনার মায়াজাল।

এইটাও দেখেন-

আরেকটা-


আর যে কইলো সিনেমাটা হইতাছে পারিবারিক দ্বন্দ নিয়া। সেই দ্বন্দের কারণ কি। নারী। এবং এখানে নারীর প্রেজেন্টেশানটা দেখেন-
১.স্বামীকে কাছে পেয়েও পুরোপুরি পাওয়া হয় না হেনার-এইডার মানে কি।
২. তারপর? তার পরই এক নতুন চমক। পত্রিকায় খবর এলো, ছবির কাজ অসমাপ্ত, নায়িকাসহ ডিরেক্টর উধাও।-কাহীনি জমাইতে চাও, তাইলেও লাগবে নারী।
৩. নারী-বেষ্টিত কে এই কামু ?-সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে।
৪. কিন্তু কামুর বান্ধবী চৈতি কেন ফোন করে হুমকি দেয় মারজুককে? সংকট গভীর হয়। হাওয়া খেয়ে ফেরার পথে মারজুকের গাড়ি থেকে পপিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ভিলেনের মত কে এই কালো লোকটা ?-নারী এবং তাকে আসহায়ত্বে না ফেললে ক্লাইমেক্স জমে না।

৫. এখন নায়িকা ছাড়া কিভাবে শেষ হবে ছবির কাজ ? তাহলে কি কচি খন্দকার ঈদের আগে মুক্তি দিতে পারবে না তার জীবনের প্রথম ছবি?
- জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
৬. এইসব প্রশ্নের উত্তর দিবে বাস্তবে ভরা কল্পনায় ঠাসা নাচেগানে ভরপুর পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা দি ডিরেক্টর।- আমি কিছুতেই না হাইসা পারলাম না। বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা- হুদাই একটা লাইন, কোন মানে নাই এই লাইনের।

আবার মজা লাগতাছে-সিনেমার প্রচারও করতাছি এই ফাঁকে, যারা হয়তো জানতেন না এই সিনেমার নাম তারা জাইনা নিলেন, ছবি না দেহেন নামডাতো জানলেন। এখন থাইকাই ভাবতে শুরু করেন-বাস্তবে ভরপুর কল্পনায় ঠাসা বিষয়টা কি? ভাইবাই কুল পাই না।

এবার দুইটা ফাও কমেন্ট পইড়া নেন।
* hot silly..........................Wed at 9:59pm
* shorir kamon jani kore... Wed at 2:45pm

(যাগো ছবি আর কমেন্ট ইউজ করছি তারা আপত্তি থাকলে জানায়েন।)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২
২১টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×