somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হজ্জ্ব এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেককে দেখছি হ্জ্জ্ব নিয়ে একটা মন্তব্যের কারণে শাস্তি প্রদানের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান করছেন। এ প্রসঙ্গে তারা সাংবিধানিক অধিকার, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদি নিয়ে বাকচিত করছেন।

স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের বিষয়ে আমার মত হচ্ছে যে কেউ তার মতামত প্রকাশ করতেই পারে। কেউ নাস্তিক হলে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

কিন্তু আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা সব ধরনের স্বাধীনতাকে প্রশ্রয় দেয় না। যেমন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় গুরুজনের সামনে সিগারেট খাওয়া বা বড়দের সাথে বেয়াদবী করা ভালো চোখে দেখা হয় না। আমরা দেশদ্রোহীতাকেও ভালো চোখে দেখি না।

এখন যদি কেউ আমাদের এই দেশকে নিয়ে কটুক্তি করে তখন মাথায় রক্ত উঠে যায়। কারণ এটা আমার মতাদর্শ, আমার বিশ্বাস, আমার চেতনা। কিন্তু মতাদর্শ, বিশ্বাস এবং চেতনা শুধু একটা বিষয় নিয়ে হয় না। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শও আছে যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আবশ্যিক বিষয়। তা নিয়ে কম মারামারি হানাহানি হয় না। বছর কয়েক ধরে রাজনৈতিক মতাদর্শ, দলীয় মতাদর্শ, স্বাধীনতার মতাদর্শ আর চেতনা নিয়ে কম হুলুস্থুল হয়নি।

তেমনি ধর্মও একটা শক্তিশালী মতাদর্শ। যদি দেশদ্রোহীতার জন্য কারো বিচার করা যায় তবে কেন ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে এত নাক সিটকানো?

একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। ধরুন কেউ দেশ নিয়ে বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কাউকে নিয়ে কটুক্তি করলে আমরা তার শাস্তি চাই। তখন সেটা স্বাধীন মত প্রকাশের ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। (অবশ্য আমি দেশ নিয়ে কটুক্তি বা চক্রান্তকারীর সর্বেোচ্চ শাস্তির পক্ষে)। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে সেটা তখন কেন স্বাধীন মত প্রকাশের বিষয় হয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে ধর্ম একটা শক্তিশালী চেতনা বা বিশ্বাস বা মতাদর্শ। ঠিক যেমনটা দেশাত্ববোধ।

আমি আমার দেশকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার জাতিকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
আমি আমার ভাষাকে নিয়ে অবশ্যই কোন কটুক্তি বরদাস্ত করি না।
এবং অবশ্যই আমি আমার ধর্মকে নিয়ে কোন কটুক্তিকারীকে ঘৃণা করি । (বরদাস্ত করি না একথা বলতে ভয় হয়, চারিদিকে এত তথাকথিত সেকুলার যে আমাকে হয় জঙ্গি বা মৌলবাদী বলে গালাগাল শুরু করতে পারে।)

## হুম- অবশ্যই এবং অবশ্যই ধর্ম নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি ভালো না এবং অবশ্যই কারো কোন মন্তব্যে বা ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না। তাই বেশীর ভাগ সময়ই আমি এসব মন্তব্যগুলো স্কীপ করে যাই।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×