দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুইটা সিদ্ধান্ত (এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আসলে হবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়)।
১) মেয়েদের বিবাহযোগ্যতার বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ তে আনা। ১৮ বছরের পূর্বে আইনগত ভাবে বিয়ে করতে পারে না বলে না-কি মেয়েরা পালিয়ে বিয়ে করে । আবার এই অঞ্চলের মেয়েরা না-কি ১৮ এর আগেই না-কি বয়োপ্রাপ্ত হয়- এগুলোই বিয়ের বয়সসীমা কমিয়ে আনার পিছনের যুক্তি- যুক্তিগুলো খুবই হাস্যকর। মাতৃস্বাস্থ্য, পারিবারিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য, নারীশিক্ষার প্রসারণ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ১৬ বছর করা একটা বড় আঘাত হানবে।
এখনো অনেক পরিবার আইনগত বাধার কারণেই শুধু ১৮ বছরের নীচের মেয়েদেরকে বিয়ে না দিয়ে পড়া লেখা করায়, ১৬তে বিয়ের আইন পাশ হলে ১৬তেই বিয়ে দেয়ার সংখ্যা গ্রামে গঞ্জে বেড়ে যাবে। অপুষ্ট শিশুর জন্ম বেড়ে যাবে, নারী স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। ফলে দেশ ওসব নারীদের এবং শিশুদের সম্পদ হিসেবে গড়তে পারবে না।
আমার মতে মেয়ে এবং ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বিয়ের বয়স যথাক্রমে ২০ এবং ২৫ হওয়া উচিৎ।
২) গ্যাসের মূল্য দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধি করা। এটার পিছনে কি যুক্তি থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। আমার মতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করার আগে গ্যাসের অপচয় রোধ, কম জ্বালানীতে রান্নার উপযোগী চুলা এবং পাতিল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী চালু করা দরকার।
আমার গ্যাস জ্বালানী সীমিত, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু যখন দুইটা চুলার বিপরীতে ব্যবহারকারীকে ১০০০ টাকা দিতে হবে তখনতো ব্যবহারকারী এই জ্বালানী অপচয় রোধের চেষ্টা করবে না। সীমিত গ্যাসের দেশে গ্যাস ব্যবহারের উপর মূল্য না ধরে চুলা হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করাটা খুবই অযৌক্তিক ঠেকে।
চাই গ্যাস সম্পদ সংরক্ষণে এবং অপচয় রোধে কার্যকর সিদ্ধান্ত। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের টাকা সরকারী কোষাগারে জমিয়ে কি লাভ?