যখন আমরা ভগ্নাংশে বিভক্ত...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমরা যারা কর্মজীবী, এই ধরাধামে ৩৫ টি বা তারও বেশী বসন্ত পার করে ফেলেছি এই লেখাটির সাথে তাদের অনেক কিছুই মিলে যাবে বলে আশা করছি। ছেলেবেলায় শুনা একটি গানের কথাই ধরা যাক, “আমি শৈশবে মায়ের, কৈশোরে বাপের। আর যৌবনে হলাম বন্ধু-বান্ধবের...”। আজ যখন নিজেকে নিয়ে ভাবি তখন দেখতে পাই আমি আসলে আমার একার নই... কর্মস্থলের, পরিবারের, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে বিলীন হয়ে গেছি। এদের কেউই আমার প্রতি তাদের হিস্যা ছেড়ে দিতে নারাজ।
যাপিত জীবনের অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবে আমার উল্লেখিত মানুষদের/খাত গুলোর প্রতি কিছু দায়িত্ব এড়াতে পারি না। বরং ওই দায়িত্ব এড়িয়ে চললে আমাদের যাপিত জীবনের সুখ-শান্তির বিঘ্ন ঘটবে। ফলে আমরা একটা দায়িত্বের মানসিক চাপ নিয়ে চলছি প্রতিনিয়ত। বিভক্ত হয়ে যাচ্ছি ভগ্নাংশে। পক্ষান্তরে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কিন্তু ভগ্নাংশ নয়। ভগ্নাংশের চেয়ে সমস্ত বড়। অথচ যখন আমরা তা মেটাতে পারি না তখন জীবনে দেখা দেয় অসামঞ্জস্যতা। পরিচিত হই নিজেদেরই পরিমণ্ডলে দায়িত্বজ্ঞানহীন একজন অপাংতেয় জীব হিসেবে। জীব বললাম এইজন্য যে, আমাদেরই চেনা মুখগুলো তখন ভেংচি কাটে, আমাদেরকে অনেকে মানুষের মর্যাদাই দিতে চায় না। আর আমরা জানি বিপদে নিজের ছায়াও পর হয়ে যায়। আপনি/আমি তখন একা, অসহায়।
সুতরাং প্রয়োজন হয় কিভাবে আমরা জীবনের ভারসাম্য আনব! তখন আমরা যাই মেডিটেশনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। শিখতে চাই কিভাবে উপরোক্ত স্নায়ুবিক চাপগুলোকে মোকাবেলা করলে আমাদের হৃত মর্যাদা ফিরে পাব। সেক্ষেত্রে আমরা কী সবাই হারানো মর্যাদা সফল ভাবে ফিরে পাই!!
প্রিয় পাঠক; ভেবে দেখুন তো আমরা কী এমন জীবন আশা করেছিলাম। সবার তরে জীবনের মুল্যবান অর্জনগুলো ভাগ করে দেবার পরেও আমরা তাদের খুশী করতে পারি না। আর নিজের জন্য... সেটা আর নাইবা বললাম। শুধুমাত্র শুন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আসলে আমদের জীবনে আমরা প্রত্যেকেই একেকজন চাপরাশি (কলু/মুটে)। যাদের জীবন কাটে ভগ্নাংশে...... দায়িত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে। মুক্তি শুধুমাত্রই মৃত্যুতে। কথাটি কঠিন হলেও ধ্রুব সত্য।
(লেখাটি পুনঃপ্রকাশিত)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!
একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪
চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম
যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।