কি আশ্চর্য!কয়েকদিন বাদেই আবার অবিকল ট্যাঁ ট্যাঁ কান্না শুনে একটু চমকে উঠলাম।আমাদের সীমানার ওপারেই কয়েকঘর বস্তি; জানলাম, সেখানেই নাকি এসেছে এক নবজাতক-"সুতীব্রচিৎকারে" তাই সে আমাদের জানাতে চায় তার পদার্পণের সংবাদ..(হায়রে অবোধ শিশু! আরেকটুবড় হলেই বুঝতা,তোমার জন্ম অথবা মৃত্যুর সংবাদে আমরা ভদ্্রলোক দের কিছুই আসে যায়না)..
মাসখানেক গত হয়ে গেল,'মানুষের বাচ্চা' টার ট্যাঁট্যাঁআওয়াজ আর থামেনা..থামবেই বা কি করে?অপুষ্ট মা'র মুখেও পথ্য নাই,বুকেও দুধ নাই-দুধের শিশু কি আর তা বুঝে?আস্তে আস্তেহয়তোবা চ্যাঁচানোর জোরটা ক্ষীণ হয়ে আসছিলো,আমার কানে অবশ্য ধরা পড়ে নাই..বস্তি থেকে তো কত রকম চেঁচামেচি ই কানে আসে-আমি তখন আস্তে করে স্টেরিও'র ভল্যুম বাড়ায় দিতাম..
তারপর একদিন আওয়াজটা একদম থেমে গেল।না,আমি নিজে থেকে উৎসাহী হয়ে খবর নিতে যাই নাই,শুনতে পেলাম যে-বাচ্চাটা নাকি পৃথিবীর মায়া কাটায়ে ফেলছে(সামনে না জানি আরো কত সাঙ্ঘাতিক মায়া অপেক্ষা করছিল!!)..কিভাবে মায়া কাটালো-অতদূর পর্যন্ত অবশ্য আমি আর খোঁজ নিতে যাই নাই।মারী ও মড়ক,এবং আরো কতভাবেই না এইসব ছোটলোক মানুষের বাচ্চারা পৃথিবীর মায়া কাটায়!!আমরা ভদ্্রলোকরা শুধু গান শুনি,গান গাই,কবিতা লিখি-এইভাবে পৃথিবীর মায়া বাড়াই..
বেচারা!! বিড়ালের বাচ্চাগুলো পর্যন্ত এঁটো-কাঁটা খেয়ে টিকে গেল,আর তুই কিনা মানুষের বাচ্চা হয়ে টেঁসে গেলি?
পাদটীকা:দুইটা হাদীস জানতাম( আমার জানায়ভুল ও থাকতে পারে..)
1."তোমাদের সামনে,পিছনে,ডানে,বাঁয়ে চল্লিশ ঘর পর্যন্ত তোমাদের প্রতিবেশী।" 2."যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিদ্্রা যায়,সে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান আনে নাই।"
দোয়া করি,হাদীস দুইটা যেন স হীহ হাদীস না হয়!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:৫১