এবার ৩৫ তম বিসিএস এ পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষাধিক আর সর্বমোট পোস্ট সংখ্যা মাত্র এক হাজার আটশত তিন। তুমুল প্রতিযোগীতা, দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা, এবং প্রতি পর্বে হাজারো আশংকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী থেকে খুবই নগন্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী স্বপ্নের ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করবেন। প্রশ্ন হলো স্বপ্নে এ ক্যাডার সার্ভিস আসলে কতটা স্বপ্নময়?
জেনে বুঝে ক্যাডার সার্ভিসে না আসার ফলে দেখা যায় প্রত্যেক বিসিএস ব্যাচেই কিছু সংখ্যক ক্যাডারকে আবার চাকুরী পরির্তন করতে দেখা যায়। আর কেউ কেউ হতাশা আর অপ্রাপ্তি নিয়ে জীবনটাকে কাটিয়ে দেয়। এত কষ্টের চাকুরী হয়ে ওঠে গলার কাঁটা।
প্রমোশনঃ
সরকারী চাকুরীতে প্রমোশন হয় উপরের পদ খালি থাকা সাপেক্ষ এবং উপরের দিকে পদসংখ্যা নিচের দিকের পদসংখ্যা থেকে অনেক কম থাকে।
২৮ তম বিসিএস ক্যাডারগণ যোগাদান করেছেন ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আর ৩৩ তম বিসিএস এর সদস্যগণ যোগদান করেছেন ২০১৪ সালে। মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে ৬ টি বিসিএস ব্যাচ যোগ দিয়েছে চাকুরীতে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই পদে এত সংখ্যক ক্যাডার যোগদানের ফলে অধিকাংশ ক্যাডার সার্ভিসেই ৩৪ বা ৩৫ তম বিসিএস এর সদস্যগণ তীব্র প্রমোশন সংকটের সম্মুখিন হবেন।
কাজ বেশি বেতন কম
অধিকাংশ সরকারী দপ্তরেই জনবল সংকট রয়েছে অথচ সরকারী কাজের কর্মপরিধি দিনদিন বাড়ছে। এর ফলে সকলকেই একটু বেশিই পরিশ্রম করা লগতে পারে।আপনি যদি অন্য কিছু ভেবে থাকেন, তবে বলবো আপনা ভুল ভাঙ্গার সময় হয়েছে।একথা ঠিক যে, এ পরিশ্রম অনেক বেসরকারী চাকুরি থেকে কম। তবে, সেসব বেসরকারী চাকুরীর অধিকাংশেরই বেতন সরকারী চাকুরি থেকে বেশি।
আন্ত:ক্যাডার অসন্ত্বোষ
বিসিএস এ ২৮ টি ক্যাডার রয়েছে। সব ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা সমান নয়। সব ক্যাডারের সামাজিক মর্যাদাও এক নয়। একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই অসম বন্টন আপনার মানসকি ও সামাজিক কষ্টের কারন হতে পারে।
উপজেলা পর্যয়ে পোস্টিং
কিছু ক্যাডারে উপজেলা পর্যায়ে পোস্টিং রয়েছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারনকে আপনার সেবা দিতে হবে। সুতারং, গ্রামে যদি আপনার কাজ করার ইচ্ছে না থাকে তাহলে ঐ সব ক্যাডার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
শেষ কথাঃ
আরও এমন দূঃখজনক সত্য কিছু তথ্য হয়ত বলা যাবে। যে তথ্য দুঃখের কথা এই যে, আমাদের দেশে বেকারত্ব এতটাই প্রকট যে, আমারা অধিকাংশ সময়েই কোন চাকুরীর কি সুবিধা এসব বিবচেনা করার সুযোগ পাই না। বরং একটি চাকরি পাওয়াকেই জীবনের চরম আরধ্য মনে করি। তবে, বিসিএস চাকুরীরর সুযোগ সুবিধাও কম নয়। সুযোগ সুবিধা নিয়ে আর একদিন আর একটা পোস্ট দিবো। সে পর্যন্ত বিদায়।